Tag Archives: Chief Minister

Visva Bharati issue: মর্ত্যে অমর্ত্যে সন্মান রক্ষায় আইনি পথে হাঁটবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী

জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati issue) উপাচার্য বনাম নোবেলজয়ী অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) বিবাদ ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এই বিবাদে আবহেই সোমবাসরীয় বারবেলায় বীরভূম সফরে অমর্ত্যের বাড়িতে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে মমতার বার্তা, অনেকদিন ধরে সহ্য করছি। একজন মানুষকে অসম্মান করা হচ্ছে। আমরা আইনত কী করতে পারি, সেটা আমি ফিরে যাওয়ার পর জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়ে দেব। অমর্ত্য সেনের পাশে থেকে আইনত পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন প্রতীচীতে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে জেড প্লাস নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন সাফ জানিয়ে দেন, আমি ল্যান্ডের রেকর্ড নিয়ে এসেছে। আমি কয়েকদিন ধরে সরকারকে দিয়ে সার্ভে করিয়েছি। জমির রেকর্ড মেনন্টেন করে রাজ্য সরকার। বিশ্বভারতীর জমিও তো আমরাই দিয়েছি।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, কোর্ট কাছারি করে সব হবে না। জনতার আদালতও রয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর আশা করি এ ভাবে যথেচ্ছচারিতার খোঁজ নিয়ে দেখবে। বিজেপি করলে সাত খুন মাপ। এটা হতে পারে না। আমি ছোট্ট একটা ছক্কা মেরে গেলাম। কার্যত হুঁশিয়ারি সুরে বলেন, অমর্ত্যদাকে বিজেপি যেন অপমান যেন না করে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ওরা আপনার সম্পর্কে যা বলছে তা বাংলার মানুষ মোটেও ভালভাবে নিচ্ছে না। আপনি কখনও ওদের কথায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন না।

এদিন অমর্ত্যবাবুর হাতে সমস্ত কাগজপত্র তুলে দেন তিনি। বাড়ির সামনে ক্যাম্প বসানোর নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর বাড়িতে বসে চা পান করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফরের দিকে আগে থেকেই নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। আজ তাঁর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের সাক্ষাৎ জল্পনা বাড়িয়েছে।

Hate Speech: অখিলের বিরুদ্ধে মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদের নির্দেশ হাইকোর্টের

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে মন্তব্য করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য (Hate Speech) করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। যা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় হয়েছিল। মন্ত্রী অখিলের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম যোগ করার কারণ নেই। এমনটাই মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।

উল্লেখ্য, দাঁত ফোকলা হাফ মন্ত্রী। কাকের মতো দেখতে। এসব লোকের কথার উত্তর দিই না। মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এহেন মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসলেন রামনগরের বিধায়ক এবং রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি। মন্ত্রী বলেন, বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা? সেটাই কার্যত দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।

দেশজুড়ে মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। অখিলের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। অখিলের মন্তব্য সংবিধানের অবমাননা। এমনটাই জানান মামলাকারী নিলাদ্রী সাহা। তাঁর কথায়, সাংবিধানিক প্রধান সম্পর্কে এ হেন মন্তব্য করা যায় না। এমনকি রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। মামলায় যুক্ত হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।

পরে মন্ত্রী অখিলের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি খুবই সুন্দর মহিলা। অখিল অন্যায় করেছেন। আমি ধিক্কার জানাচ্ছি। বিধায়কের হয়ে ক্ষমা চাইছি। দুঃখপ্রকাশ করছি। পরে অবশ্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ক্ষমা চেয়েছিলেন মন্ত্রী নিজে। এখন অখিলের মামলা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

Himanta Biswa Sarma: ” শাহরুখ খান কে?” ‘পাঠান’ সম্পর্কে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর উত্তর

শাহরুখ খান কে? আমি তার সম্পর্কে বা ‘পাঠান’ ফিল্ম সম্পর্কে কিছুই জানি না…” শনিবার গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma) খুব সংক্ষিপ্ত উত্তর ছিল। মিডিয়া কর্মীরা বজরং দলের কর্মীদের সহিংস বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শুক্রবার বজরং দলের কর্মীরা শহরের নারেঙ্গিতে একটি প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে ‘পাঠান’ ছবির পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেয়। এই থিয়েটারে ‘পাঠান’ ছবির স্ক্রিনিং হবে।

শর্মা বলেন, “খান আমাকে কিছু বলেনি। যদিও বলিউডের অনেকেই সমস্যা নিয়ে এমনটা করে থাকেন। তবে তারা ফোন করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’ তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে মামলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বলিউড মেগাস্টার শাহরুখ খানের ছবি ‘পাঠান’-এর ‘বেশারম রঙ’ গানটিতে দীপিকা পাড়ুকোনকে গেরুয়া বিকিনিতে দেখা গেছে। এ জন্য শাহরুখ ও তার চলচ্চিত্রকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠনের একাধিক নেতা ছবিটি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন।
যখন সাংবাদিকরা তাকে বলেছিলেন, শাহরুখ খান একজন বলিউড সুপারস্টার, তখন শর্মা বলেছিলেন, রাজ্যের মানুষের হিন্দি ছবি নয়, অসমিয়া নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, প্রয়াত নিপন গোস্বামী পরিচালিত অসমীয়া ছবি ‘ডক্টর বেজবারুয়া-পার্ট 2’ শীঘ্রই মুক্তি পাবে। মানুষের এটা দেখা উচিত।

সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ছবি ‘পাঠান’ মুক্তি পাবে ২৫ জানুয়ারি।

শহীদ ভগত সিং-সুখদেবদের নামে রাজ্যে ১১৭টি নতুন স্কুল খোলার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

চণ্ডীগড়: পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann) শহীদদের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে একটি বড় ঘোষণা করেছেন। রাজ্যে ১১৭টি নতুন স্কুল খোলার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ বিষয় হল স্কুল অফ এমিনেন্স নামে খোলা এই স্কুলগুলির নামকরণ করা হয়েছে শহীদ ভগৎ সিং, সুখদেব, রাজগুরু প্রমুখ শহীদ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নামে৷ যারা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। সিএম মান বলেছেন, খুব শীঘ্রই এমন দিন আসবে যখন বাইরে থেকে মানুষ দিল্লির স্কুলের মতো পাঞ্জাবের স্কুল দেখতে আসবে।

সিএম মানে বলেছেন, ১৭টি স্কুল পাঞ্জাবের ২৩টি জেলায় প্রতিষ্ঠিত হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব হিসেবে প্রমাণিত হবে এসব বিদ্যালয়। এইগুলি খোলার উদ্দেশ্য হল, প্রতিশ্রুতিশীল এবং সক্ষম ছাত্রদের বিশেষ করে সরকারি স্কুলের শিশুদের স্বপ্ন পূরণের জন্য আরও ভাল সুযোগ দেওয়া, যাতে এই শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাকি ছেলেমেয়েদের বাদ দিয়ে ভালো নম্বর পেতে পারে। দেশ শিক্ষার্থীদের লুকিয়ে থাকা দক্ষতাগুলোকে উন্নত ও পরিমার্জিত করার জন্য এই স্কুলগুলোকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের পেশা বেছে নিতে পারে।

ভগবন্ত মান বলেছেন, “সেই দিন বেশি দূরে নয় যখন রাজ্যের সরকারি স্কুল বেসরকারি স্কুলের চেয়ে ভালো শিক্ষা দেবে এবং অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সরকারি স্কুলে পাঠাতে পেরে গর্বিত বোধ করবেন। তিনি বলেছিলেন যে দিল্লির এই জাতীয় স্কুলগুলি সেখানকার শিক্ষাক্ষেত্রের চিত্র পাল্টে দিয়েছে এবং আজ সেখানকার সরকারি স্কুলগুলি দুর্দান্ত কাজ করছে। দিল্লির মতো পাঞ্জাবের স্কুলও কভার করা হবে।

দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী মহান শহীদদের নামে স্কুল অফ এমিনেন্সের নামকরণ করা হবে। এ জন্য শিক্ষকদেরও প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার প্রথম ব্যাচের ৩৬ জন শিক্ষককে শিক্ষাদানের প্রশিক্ষণের জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর অন্যান্য শিক্ষকরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলমান প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রশিক্ষিত হতে পারবেন।

বামপন্থীরা ইতিহাস বিকৃত করেছে, নতুন করে লেখা দরকার: মুখ্যমন্ত্রী

গুয়াহাটি: আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma) বামপন্থী ইতিহাসবিদদের পরাজয় এবং আত্মসমর্পণের গল্প বলে ভারতীয় ইতিহাসকে ‘বিকৃত’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, দেশের বিজয় রেকর্ড করতে ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে বামপন্থী মতাদর্শের লোকেরা কয়েক দশক ধরে ভাষাগত ভিত্তিতে রাষ্ট্রকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। মানুষের উচিত তাদের ধর্মীয় অভিন্নতা অবলম্বন করে এ ধরনের প্রচেষ্টাকে পরাস্ত করা।

এখানে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) ২৮ তম রাজ্য সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময়, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “বামরা সর্বদা আমাদের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছে কারণ তারা ভারতকে একটি পরাজিত ‘জাতি’ হিসাবে দেখাতে চায়।” তিনি প্রতিবাদকারী রাজা ও বীরদের উপেক্ষা করেছিলেন। . যিনি সফলভাবে মুঘল আক্রমণকে পরাজিত করেন। বামপন্থীরা শুধু তাদের নিয়ে লিখেছে যারা পরাজিত হয়েছে।”

Himanta biswasarma

তিনি গুরু গোবিন্দ সিং, ছত্রপতি শিবাজী, দুর্গা দাস রাঠোর এবং লাঞ্চিত বোরফুকানের উদাহরণ তুলে ধরেন, যারা মুঘল বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে ইতিহাস লেখার সময় বামপন্থী ইতিহাসবিদরা তাঁর শোষণগুলি বাদ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে ইতিহাস পুনর্লিখনের সময় এসেছে। তিনি বলেন, “আমাদের উচিত ইতিহাসের ছাত্রদেরকে নতুন করে লেখার জন্য অনুপ্রাণিত করা, যা পরাজয় ও দাসত্বের গল্প নয়, গৌরব ও কৃতিত্বের গল্প। এটি আমাদের নতুন প্রজন্মকে জাতি গঠনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।

মুখ্যমন্ত্রী বাম বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে আসামের জনগণকে ভাষাগত ভিত্তিতে বিভক্ত করার অভিযোগও করেছেন। কারণ, রাজ্যে বহু ভাষায় কথা বলা হয়। তিনি বলেন, ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কিন্তু এটি কোনো সম্প্রদায় ও ধর্মের একমাত্র পরিচয় হতে পারে না। ইতিহাসও সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। “ভাষা তখনই বাঁচবে যখন আমাদের ধর্ম এবং সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে,” তিনি বলেছিলেন, অসমিয়া-ভাষী ভাষাভাষীদের রাজ্যের অন্যান্য ভাষা গ্রহণ করার এবং সমস্ত উপজাতি ও সম্প্রদায়কে সমান গুরুত্ব দেওয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

মুখ্যমন্ত্রী অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা এবং কৃষিতে ফোকাস করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “একটি সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও রাজনৈতিক গর্ব প্রয়োজন। কিন্তু, আমরা যদি অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি না করি, তাহলে আমরা ‘আত্মনির্ভর’ হতে পারব না, যেটার ওপর আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক জোর দিয়েছেন।

তিনি যুবকদের কৃষিকাজ করার জন্য এবং তাদের জমি অন্যকে চাষের জন্য না দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেছিলেন যে আসাম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বাকি অংশের সাথে ঐতিহাসিকভাবে যুক্ত নয় এমন একটি ভুল ধারণা তৈরি করা হয়েছিল, যা স্বাধীনতার পরে দেশের এই অংশে একটি “ভিন্ন চিন্তাধারার” জন্ম দিয়েছে। আসামে আমরা এখন একটি বিশেষ ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক পর্যায়ে আছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং ইতিহাসের সঠিক উপলব্ধি নিয়ে আমাদের সেগুলো মোকাবেলা করতে হবে।

ধর্ষকদের মাথা মুড়িয়ে প্রকাশ্যে প্যারেড করাতে চান মুখ্যমন্ত্রী

জয়পুর: দুর্নীতির অভিযুক্তদের নাম ও মুখ প্রকাশ না করার জন্য ACB-এর ভারপ্রাপ্ত ডিজি-র নির্দেশে মিডিয়ার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) বলেছেন, দুর্নীতি এবং অপরাধের জন্য আমাদের সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে এবং চলবে। আমি পারলে ধর্ষক ও গুন্ডাদের চুল কেটে বাজারে কুচকাওয়াজ করে পাবলিক প্যারেড করতাম। যাতে পুরো জনতা দেখতে পায় সে একজন ধর্ষক।

গেহলট বলেন- অভিযুক্তকে হাতকড়া পরানো যাবে না কেন নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট? হাতকড়া পড়লে মানুষ লজ্জা পেত।
হাতকড়া পরা অবস্থায় বাজারের ভেতরে গেলেই নিজেকে অপরাধী মনে হতো। হাতকড়া বন্ধ। এখন পুলিশ তার হাত ধরে নিয়ে যায়, এতে লাভ কী? যে একজন ধর্ষক তাকে ধরে জনসমক্ষে প্যারেড করুন। সে লজ্জা পেলে অন্য ধর্ষক টাইপের মানুষ ভয় পাবে। তারা ধর্ষণের কথা ভুলে যাবে। সেটা দূর করা হয়েছে। এখন হাতকড়া পরা যাবে না, এভাবে ঘোরানো যাবে না। অনেক কিছুই এমন যে বিচার বিভাগ তার কাজ করে, আমরা আমাদের কাজ করি। কিন্তু বিচার বিভাগ বিচার বিভাগ। তাকে সম্মান করা আমাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়, তাই আমাদের সেভাবে কাজ করতে হবে।

rajasthan Chief Minister Ashok Gehlot
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট

প্রয়োজনে এসিবির আদেশ প্রত্যাহার করা হবে
গেহলট বলেন- এসিবির এই নির্দেশও সেভাবেই বেরিয়েছে। মিডিয়াকেও জনসাধারণকে আবদ্ধ করা উচিত নয়। প্রযুক্তিগতভাবে, সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে তার ভিত্তিতে এটি করা হয়েছে। তারপরও সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে যে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে। আমি তাকে দেখাব। প্রয়োজন হলে, আমরা আদেশ প্রত্যাহার করা হবে. এতে বড় কোনো ব্যাপার নেই। সরকারের অভিপ্রায় আগের মতোই আছে।

সংবাদমাধ্যমে কোনো বাধা নেই, অভিযুক্তের ছবি দিন, ব্যবস্থা নিন
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন- তাতে আপনার কোনো বাধা নেই। গতবার বসুন্ধরা রাজের আমলে একটি বিল পাস হয়েছিল যে মিডিয়া কিছু খবর প্রকাশ করতে পারবে না। সে একটা ইস্যু হয়ে গিয়েছিল। তারপর তিনি ব্যাখ্যাও করতে পারেননি। অবশেষে তাকে আদেশ প্রত্যাহার করতে হয়। আমি এই মামলা দেখিনি। আমি জয়পুরে যাব এবং দেখব কী ফর্মে অর্ডার করা হয়। আমি যতদূর জানি, সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে এই ধরনের কোনো মামলায়, যতক্ষণ না অভিযোগ প্রমাণিত হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এটিকে সরকারী মর্যাদা দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু কেউ ধরা পড়লে মিডিয়ার লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। সংবাদমাধ্যমের উচিত অভিযুক্তদের ছবি দেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, কোনো সমস্যা নেই। আমরা সবকিছুতেই খুব সংবেদনশীল। কাগজ বের হয়ে গেলে, আমরা সেই স্কুলগুলোকে ডি-অ্যাফিলিয়েট করি। অপরাধীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

গেহলট বলেছেন- দুর্নীতি দমন ব্যুরো রাজস্থানে যতটা কাজ করেছে, ভারতে করেনি। এখন বিরোধীদলীয় নেতা গুলাবচাঁদ কাটারিয়াকে বলা উচিত যে দুর্নীতি অনেক হচ্ছে। এর মানে আমাদের অভিযান চালানো উচিত নয়, এসিবির কাজ করা উচিত নয়। এই লোকেরা অন্য পথে যায়। তাদের বুদ্ধি উল্টো কাজ করে। আমরা বারবার অভিযান চালাচ্ছি। অভিযান চালালে আসামি ধরা পড়বে। দুর্নীতি দমন করা হবে। তারা কখনো প্রশংসা করতে শেখেনি। যদিও আমরা রাজস্থানে এফআইআর পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করেছি। আমরা এখানে খুব ভালো কাজ করছি। এখন যে আদেশ জারি করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের অভিপ্রায় বিবেচনা করে দায়িত্ব নেওয়া ডিজি নিশ্চয়ই জারি করেছেন। এই আদেশের অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই। সরকারের অবস্থান আগের মতোই রয়েছে। দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স থাকবে। মিডিয়ার কোন বাধা নেই, তারা যা খুশি ছাপাতে পারে। বৃহস্পতিবার উদয়পুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এরপর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে গুন্ডা-ধর্ষকের মতো অপরাধীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের বক্তব্য দেন।

মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির কাছে তাজা বোমা উদ্ধার, এলাকা সিল করল পুলিশ

চণ্ডীগড়ের কানসাল গ্রামে আমের বাগানে একটি জীবন্ত বোমা পাওয়া গেলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই জায়গাটি পাঞ্জাব (Punjab) ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীদের বাড়ি থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড এখান থেকে মাত্র ১ কিমি দূরে। পুরো এলাকা সিল করে দিয়েছে পুলিশ। এলাকার প্রতিটি কোণে তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই তাজা বোমা নিষ্ক্রিয় করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চণ্ডীগড় পুলিশের সিভিল ডিফেন্স নোডাল অফিসার কুলদীপ কোহলি বলেছেন, কানসাল এবং নয়া গাঁয়ের টি-পয়েন্টের মধ্যে একটি আম বাগানে একটি জীবন্ত বোমা পাওয়া গেছে। আমরা পুরো এলাকা কভার করেছি। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর বোম্ব স্কোয়াডকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, শিগগিরই সেনাবাহিনীর বোমা স্কোয়াড এখানে পৌঁছে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করবে। এরপর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আমরা খুঁজে বের করব কিভাবে জীবন্ত বোমা এখানে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে, উদ্ধারকারী দলের প্রধান সঞ্জীব কলেজ বলেছেন, চন্ডিগড় ও পাঞ্জাবের সীমান্ত এলাকায় একটি জীবন্ত বোমা পাওয়া গেছে বলে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল খবর পেয়েছিল। আমাদের দল তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে পুরো এলাকা সিল করে দেয়। আমরা সামরিক কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। শিগগিরই এই বোমা নিষ্ক্রিয় করা হবে। এটি একটি সংলগ্ন এলাকা এবং ভিআইপি বাড়ি এবং সচিবালয় কাছাকাছি। সে কারণে পুরো কাজটিই অগ্রাধিকার দিয়ে করা হচ্ছে।

TMC: দলের সমালোচনা করলেও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

তৃণমূল(TMC) সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক সমালোচনা করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক মন্তব্য করে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির এরূপ মন্তব্যকে ঘিরে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি তার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কাজের ভূঁয়সী প্রশংসা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বৈশ্যের সঙ্গে কথোপকথনে বিচারপতি এও জানিয়েছেন যে, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে। 

এদিন শুনানির সময় ভরা এজলাসে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ভালো কাজ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। ধেড়ে ইঁদুর বলতে কার প্রসঙ্গে একথা বলেছেন, সেটা ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতির বক্তব্য, চন্দ্রিমাকে বলে দেবেন আর কোনও মন্তব্য করব না। মুখ্যমন্ত্রী তো ভালো কাজ করছেন।  

একইসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধেও মন্তব্য করতে দেখা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর কথায়, রোজই কুণাল ঘোষ তাঁর সম্পর্কে কিছু না কিছু মন্তব্য করেন। সেগুলোতে তিনি আনন্দই পান। তিনি কুণাল সম্পর্কে বিশেষ মন্তব্য করতে চান না বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরপরেই সরকারের আইনজীবীর তরফে বিচারপতিকে বলা হয়, তাঁর মন্তব্যের বিকৃতি ঘটানো হচ্ছে। এই কাজ করছে সংবাদমাধ্যম। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, সংবাদমাধ্যম তাঁকে অনেক ভালোবাসে।  

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের একটি মামলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘কোনরকম ভয় না পেয়ে সিবিআই তদন্ত করলে ধেড়ে ইঁদূর বেরিয়ে আসবে’ এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের ট্যুইট করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় উদ্দেশ্যে বলেন, যদি কেউ সব জানেন, ‘মাথা’ চেনেন, ‘ধেড়ে ইঁদুর’ জানেন বলে ভাব দেখিয়ে প্রচার চান, তাঁকে অবিলম্বে সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তদন্তে ডেকে পাঠানো হোক। একইসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাসরি না বললেও তাঁর উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।

Mamata Banerjee: ইছামতী নদীতে লঞ্চ চালালেন মুখ্যমন্ত্রী

সুন্দরবন সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ টাকিতে ইছামতী নদীর উপর চালালেন লঞ্চ৷ লঞ্চে স্টিয়ারিং হাতে মমতার বিরল মুহূর্ত৷ ইছামতিতে তিনি লঞ্চ চালিয়ে নিয়ে যান

Mamata Banerjee: কম্বলে কেলেঙ্কারি-মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী

উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সরকারি আধিকারিকদের উপর রাগ করে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চে বসেই রইলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘সরকার একটা অন্যায় করলে গালাগালি খাই আমি! অথচ আমার কোনও দোষ নেই। আমি কিছু জানি না।’’ বিডিওর উপর রেগে কর্মসূচি থামিয়ে মঞ্চে বসে রইলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ উপস্থিত জনতাকে বললেন, ‘আপনারা বসুন, আমিও বসলাম’৷

নিয়োগ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি শুভেন্দুর

নিয়োগ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীসহ ক্যাবিনেটের গ্রেফতারের দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)।  সোমবার বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখিয়ে এই দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা।

খাদান মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকেই তলব করল ইডি

বেআইনি খনি খাদান ও আর্থিক তছরুপ মামলায় এবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) তলব করল ইডি। আগামীকাল তাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ বিরাট চাপের মুখে ঝাড়খণ্ড সরকার৷ পরিকল্পনামাফিক সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দাবি বিরোধীদের৷

কয়েকমাস আগেই একই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ঘনিষ্ঠ পঙ্কজ মিশ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। সেবার ঝাড়খণ্ড জুড়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। ইডির তরফে জানানো হয়েছিল, ঝাড়খণ্ডে বেআইনি খদি খাদান ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক তছরুপের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত পঙ্কজ মিশ্র।

এরপর বারবার ঝাড়খণ্ডে জনমুক্তি মোর্চার সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য সরব হয়েছে বিজেপি। এর জন্য রাজ্যপালের কাছেও দরবার করেছিলেন তারা। হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশন৷ সেই সংকটের মুখেও কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন হেমন্ত। এখন আবার একই সমস্যায় সম্মুখীন তিনি।

তবে কি আগামীকাল ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেক্ষেত্রে সরকার নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে হেমন্ত সোরেনকে। এখন এই জল কতদূর গড়ায়, সেটাই দেখার।

Explosive Mamata Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতির সম্পর্কে অবগত ছিলেন

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে এই মুহুর্তে জেল হেফাজতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে একাধিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। অপসারিত করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে হাত মিলিয়েছে ইডি। প্রত্যেকদিন তৃণমূলের বিধায়ক থেকে নেতাদের নাম জড়াচ্ছে। মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

তিনি বলেন, কয়েকটা ছেলেমেয়ে বসে ছিল রাস্তায়। আমার সাথে দেখা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম তখন এদের কয়েকজনকে করে দিক। তখন আমাকে তখনকার শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, যে এদের নম্বর পারমিট করছে না। তাও আমি বলেছিলাম, আমি একটু বেশী বেড়ে খেলি আর কি। আমার একটু দয়া মায়া একটু বেশী। এইজন্যেও গালাগালিও বেশী খাই। আমি বললাম দিন না করে দিন না। বাচ্ছা বাচ্ছা ছেলে মেয়ে কি আর হবে! এই করে করে আমি কিন্তু বলেছিলাম।

এরপরেই বাম আমলের কথা তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বাম তারপরেও আপনারা জানেন অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে সিপিএম চলে গেলেও যে অত্যাচার আমাদের সঙ্গে করেছে, আমরা তো কারোর চাকরি খাইনি। তাঁরা নীচে বসে আছে গেটে এখনও। সিপিএম আমলের একটা খুঁজে পান তো আলমারি। একটা কাগজ, একটা কাগজ পাবেন না। কাগজ আছে বলেই তো আপনি ভুলটা ধরতে পারছেন। আমাদের আমলে কাগজটা আছে। ওদের আমলে কাগজ একটাও নেই। আমরা পাইনি। আমরা ফাইল পাইনি। আমরা আলমারি পাইনি। আমরা কিছু দেখতে পাইনি।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, বুদ্ধদেব বাবুর কথা মনে আছে চোরেদের মন্ত্রীসভায় থাকব না। বিনয় চৌধুরীর কথা মনে পড়ে? গভর্মেন্ট অফ দ্য কন্ট্রাক্টরস, গভর্মেন্ট ফর দ্য কন্ট্রাক্টরস, গভর্মেন্ট বাই দ্য কন্ট্রাক্টরস। আমার একটু একটু মনে পড়ে। কারণ, আমি মার খেতে খেতে এই জায়গায় উঠে এসেছি।

মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বলেছিলেন, রাইট টু মেক ব্লান্ডার্স। ভুল করাটাও একটা অধিকার। অশোক গঙ্গোপাধ্যায় তিনি একটি রায় দিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন যদি দেখ ভুল হয়েছে, কেউ ভুল করে ফেলেছে তাহলে তোমরা ভুলটাকে শুধরে নাও। সিপিএমের আমলে বড় একটা স্বাস্থ্য কেলেঙ্কারি হয়েছিল এবং উনি সেটাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। গাদা গাদা কমিটি রয়েছে সবটা আমাদের হাতে থাকে না।

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এটুকু বলতে পারি, জাস্টিস যারা পায়নি, জাস্টিস তাঁরা আমাদের থেকেই পাবে। তবে পলিটিক্যাল কারণে নয়। কেউ কেউ হয়ে গেছেন পলিটিক্যাল কারণে আমিও খাবো না তুইও খাবিনা। ৮৯ হাজার ছেলেমেয়েদের চাকরির প্রসেস করতে সময় লাগে। সেই প্রসেস শুরু করে যদি তিন মাসে হয়ে যেত। এখন সেটা এক বছর লাগবে। তাঁর মানে চাকরি দেওয়াটা তো পিছিয়ে গেল। এটা করতে করতে চাকরির স্কোপ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি চাকরি দিতে চাই। কেউ কেউ মানুষ না খেতে পেলে ৫ টাকা দিতে যায় না। আর পিআইএল করে করে জীবনটাকে পিআইএল করে দিয়েছে। আপনি যাই করুন একটা পিআইএলে চলে যাচ্ছে। পিল খাওয়ারও গল্প রয়েছে। কখনও কখনও সাইলেন্স ইজ গোল্ডেন স্পিচ ইজ সিলভার।

PAC: অধ্যক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর কথার বাইরে কিছু জানেন না, কটাক্ষ দিলীপের

সোমবার পিএসির (PAC) চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মুকুল রায়। সেই পদের জন্য কাকে বেছে নেওয়া হবে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই পদে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ সেই জল্পনার মাঝেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির সদস্য৷

এখান থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা। বিধানসভা নির্বাচনের পর কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু খাতায় কলমে তিনি এখনও বিজেপির বিধায়ক৷ তবে কী মুকুল রায়ের ফর্মুলায় তাঁকেই কী পিএসির চেয়ারম্যান পদে আনা হতে পারে? রাজনৈতিক মহলে তুমুল শোরগোল পড়ে গেছে। এবিষয়ে এবার কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, অধ্যক্ষ কিছু জানেন না। কিছুই খবর রাখেন না। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলবেন সেটুকু জানেন। যেটুকু ওনাকে বলে দেওয়া হবে তার বাইরে কিছু জানেন না।

প্রসঙ্গত, বুধবারই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, খাতায় কলমে কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির সদস্য। উনি বাইরে কি বললেন সেটা দেখার বিষয় নয়। আইন মেনেই পিএসির চেয়ারম্যান পদে একজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই নাম ঘোষণা করা হবে। তবে কার নাম ঘোষণা হবে? তা নিয়ে মুখ খোলেননি।

প্রথা অনুযায়ী পিএসির চেয়ারম্যান পদে বিরোধী দলের বিধায়কদের বসানো হয়। কিন্তু নিয়ম ভেঙে মুকুল রায়কে বেছে নেওয়া হয়েছিল৷ এবারেও নয়া জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন কৃষ্ণ কল্যাণী৷

Maharashtra Crisis: রাজ্যপাল সাক্ষাতে ফড়নবিশ, শিব সেনার বিদ্রোহীরা যুদ্ধে নামছেন

দিল্লি থেকে ফিরেই রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। (Devendra Fadnavis) সূত্রের খবর, সরকার গঠন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে কথা শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই শিব সেনার বিক্ষুব্ধ শিবিরের বিধায়করা ফিরতে পারেন মুম্বইতে।

বিজেপি সূত্রে খবর, দিল্লি গেছেন বিজেপি নেতা ও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ৷ অন্যদিকে, গুয়াহাটি থেকে দিল্লি যান একনাথ শিন্ডে। দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারপর মুম্বই ফিরে সোজা রাজভবনে যান।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আট জন নির্দল বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে আস্থা ভোটের দাবি জানাতেই রাজ্যপালের কাছে হাজির হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোট হতে পারে। তাতে উদ্ভব ঠাকরে শিবির যেমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। পাশাপাশি মহাবিকাশ আগাধি সরকারের মেয়াদ শেষের পথে এমনটাই দাবি করছে বিজেপি।

অন্যদিকে, সরকার বাঁচাতে তৎপর উদ্ভব শিবির। আগামীকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। উদ্ধব সরকারের মন্ত্রী সুভাষ দেশাই জানিয়েছেন, সরকারে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক চলছে। কিন্তু দিল্লি থেকে ফিরে রাতেই যে ঘটনা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ করলেন তাতে ঘুম উড়েছে উদ্ভব শিবিরের। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করবেন উদ্ভব ঠাকরে নাকি আগে থেকেই দেবেন ইস্তফা, চলছে আলোচনা।

Maharashtra Crisis: ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন ঠাকরে

Maharashtra Crisis: সতীর্থরাই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। তাঁরাই এখন মহারাষ্ট্রের সরকার ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাই দু’বার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন উদ্ভব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। কিন্তু দুবারই আটকে দেন শরিক দলের নেতারা৷ সরকার নিয়ে দড়ি টানাটানির খেলার মাঝেই এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জোট সরকার বাঁচাতে প্রথম দিন থেকে যে তৎপরতা শরদ পাওয়ার দেখিয়েছিলেন তাতে তাঁর নাম নিয়েই জল্পনা চলছে। তিনিই নাকি মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা আটকে দেন। শোনা যাচ্ছে, ২১ তারিখ থেকে একনাথ শিন্ডে সহ একাধিক বিধায়কদের খোঁজ না পাওয়ার পরেই এই পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলেন উদ্ভব৷ সেই দিনই বিকেলে ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন তিনি।

প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সন্দেহ করেছিলেন একনাথ শিবিরে বিধায়কদের সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই ইস্তফাই একমাত্র রাস্তা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তখন মহাবিকাশ আগাধির বড় মাপের এক নেতার কথাতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি৷ এরপরের দিনেও আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ফের বর্ষীয়ান নেতার হস্তক্ষেপে তা হয়নি৷

উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকেই মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ আগাধির সরকার গঠনের জন্য অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। বিজেপির একাধিক পরিকল্পনা সেবার বানচাল করেছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ। এখনও সরকার বাঁচাতে শেষ চেষ্টা করে চলেছেন৷ তাঁর সাফ বার্তা, যে কোনও সময় উদ্ভবের সঙ্গে রয়েছেন তিনি৷ মহারাষ্ট্রে এত সহজে সরকার ভাঙতে দেবেন না তিনি।

Howrah Violence: ‘পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা

হজরত মহম্মদকে নিয়ে হিন্দুত্ববাদী নেত্রী নূপুর শর্মা সমালোচনামূলক মন্তব্য করায় প্রতিবাদের নামে হিংসাত্মক আন্দোলন চলছে হাওড়ার বিভিন্ন স্থানে। টানা ৪৮ ঘন্টা উত্তপ্ত উলুবেড়িয়া। এই পরিস্থিতিতে হিংসা রুখতে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?”

অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনিক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তেমনই প্রতিবাদের নামে হিংসাত্মক আন্দোলনের জেরে ক্ষুব্ধ জনগণ। ক্ষোভ ছড়িয়েছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী একটি অংশের মধ্যে।প্রতিবাদের নামে অবরোধ ভাঙচুর ঘিরে প্রবল সমালোচিত আন্দোলনকারীরা।

এদিকে বিজেপি সাসপেন্ড করেছে দলেরই মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে। মিডিয়া সেলেপ নবীন জিন্দালকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নূপুর শর্মার মন্তব্যের কারণে একাধিক রাজ্যে হিংসাত্মক আন্দোলন চলে শুক্রবার। আর বৃহস্পতিবার থেকে হাওড়া অগ্নিগর্ভ। শনিবার থমথমে পরিস্থিতি।

Mamata threatens  Rabindranath: রবীন্দ্রনাথকে ‘ধমক’ দিলেন মমতা, উত্তরবঙ্গ সরগরম

আলিপুরদুয়ারের কর্মীসভায় উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বেশ খোশমেজাজে দেখা গিয়েছিল৷ অনুষ্ঠান শেষে রবিকে দেখেই মেজাজ চরমে উঠল মমতার। মঞ্চে ভর্তি নেতা-মন্ত্রীদের সামনেই ধমক দিলেন। সূত্রের খবর, কেএলও ইস্যু নিয়ে ধমক দিয়েছেন তিনি।

বুধবার হাসিমারার সুভাষিণী চা বাগানে আদিবাসীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার সময়েই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দেখে কিছু বলার জন্য এগিয়ে যান। তাঁকে দেখে এগিয়ে আসেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

সূত্রের খবর, এদিন রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ডেকে সাবধান করে মমতা বলেন, যারা বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছে তাদের হয়ে তাঁবেদারি করা তিনি পছন্দ করছেন না। তৃণমূল সূত্রে খবর, কেএলও সংক্রান্ত কিছু খবর মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর জন্যই বলতে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

উল্লেখ্য, পৃথক কামতাপুরের দাবিতে কেএলও জঙ্গি প্রধান জীবন সিংহ রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে গোপন ডেরা থেকে এক ভিডিওর মাধ্যমে বার্তা দেয় জীবন সিংহ। মমতার বার্তা, রক্ত দিতে হলে দেব। কিন্তু বাংলা ভাগ হতে দেব না। আমাকে ভয় দেখাচ্ছে ভাগ না করলে নাকি আমাকে মেরে ফেলবে। তোমার ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও। আমি অনেক বন্দুক দেখে এসেছি। আমাকে এ সব বন্দুক দেখিয়ে কিছু লাভ হবে না৷

রাজ্য-ভাগ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় কামতাপুর পিপলস পার্টি

উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই ফের রাজ্য ভাগের দাবি শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী। উড়ে এলো সমালোচনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের মাঝেই রাজ্য ভাগের দাবি জানাল কেপিপি (Kamatapur People’s Party)।

উত্তরবঙ্গ সম্পর্কে ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজবংশী, কামতাপুরী সহ বিভিন্ন জনজাতির কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ভৌগোলিক অবস্থান, রীতিনীতি, সম্পর্কে তেমন ধারনা নেই। উনি রাজ্য ভাগ হতে না দেওয়ার কেউ নন। বুধবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় দলীয় এক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করলেন কামতাপুর পিপলস পার্টির কোচবিহার জেলা সভাপতি কংসরাজ বর্মন।

মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্মী সভায় বিচ্ছিন্নবাদী শক্তিগুলিকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রক্ত দিয়ে দেব, তবুও রাজ্য ভাগ হতে দেব না।’

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন কামতাপুর পিপলস পার্টির কোচবিহার জেলা সভাপতি কংসরাজ বর্মন। পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে এর আগে একাধিক বিজেপি নেতাদের সরব।

মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগেই গোপন ডেরা থেকে কেএলও প্রধান জীবন সিংহ হুঁশিয়ারি দেয়৷ তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচ-কামতাপুরে পা ফেলবেন না। কোচ-কামতাপুর গঠনে কোনও হস্তক্ষেপ বা বিরোধিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারবেন না। বলপূর্বক কিছু করতে এলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন উৎসর্গ করে দেব। রক্তের বন্যা বইয়ে দেব।

পুরুলিয়াতে ফিল্ম সিটি তৈরির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পুরুলিয়াতে আজ প্রশাসনিক সভা করেন তিনি। সম্প্রতি পরিচালক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, পুরুলিয়া এমন একটি জায়গা, ক্যামেরা যেখানেই বসানো হবে সেখানেই ফ্রেম তৈরি হবে।

সেই অনুযায়ী সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার পুরুলিয়াতেও তৈরি হবে ফিল্ম সিটি। রাজ্যের পর্যটন বিভাগ ও পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ফিল্ম সিটি গড়তে বেসরকারি বিনিয়োগে ১০ একর জমি দেবেন বলে ওই বৈঠক থেকেই জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই প্রশাসনিক পর্যালোচনা সভায় থাকা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে কথা বলে এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রূপসী পুরুলিয়ার এত সৌন্দর্য। বিগত কয়েক বছরে এখানে বহু ছবির শুটিং হয়েছে। এখনও ধারাবাহিকভাবে হচ্ছে। তাই ফিল্ম সিটি গড়ার জন্য ১০ একর জমি দেব। এদিকে ফিল্ম সিটি তৈরির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শিল্পশহর রঘুনাথপুরে জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীর ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা।

সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের হিন্দি ছবি, একাধিক সিনেমার শুটিং হয়েছে কলকাতায়। শুধু কোলকাতা নয়, বাংলার একাধিক জায়গায় শুটিং হয়েছে আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়েই পুরুলিয়াতে ফিল্ম সিটি তৈরির ভাবনা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রেও জঙ্গলমহলকে ঘিরে একাধিক ছবি তৈরি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুরুলিয়াতেও একাধিকবার শুটিং করতে হয়েছে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। তাই পরিচালক থেকে প্রযোজক সকলেরই মনে হয়েছে পুরুলিয়া সিনেমা তৈরীর জন্য অসাধারণ একটি ফ্রেম।

Recruitment corruption case: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা

পশুখাদ্য মামলায় খাদ্য মামলায় কিছুদিন আগে স্বস্তি মিলেছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav)৷ এবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ উঠল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দিল্লি ও বিহারে আরজেডির মোট ১৭ টি ঠিকানায় শুরু হয়েছে তল্লাশি।

সিবিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অনেককে রেলে চাকরি দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ। অভিযোগ, বিনিময়ে সস্তায় জমি হাতিয়েছিলেন আরজেডি নেতার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি জমি কেনার সময়ও টাকার লেনদেন হয়নি বলে সন্দেহ সিবিআইয়ের। এই সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। আজ এমনকি লালু স্ত্রী, রাবড়ি দেবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই অফিসাররা।

শুধুমাত্র লালু প্রসাদ যাদব নয়, এই মামলায় লালু কন্যা সহ পরিবারের একাধিক সদস্যদের নাম জড়িয়েছে। সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমনটাই সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের। ১৩৯ কোটির ট্রেজারি দুর্নীতি মামলায় জেল হয়েছিল তাঁর। সম্প্রতি পশু খাদ্য মামলায় জামিন পেয়েছিলেন লালু প্রসাদ যাদব৷ এবার নতুন করে অভিযোগ উঠল আরজেডি প্রধানের বিরুদ্ধে৷

Bicycle factory in Bengal: ন্যানো তাড়িয়ে বাংলায় সাইকেল গড়বেন মমতা

বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিপুল বিনিয়োগের বার্তা দিলেও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও কিছু আসেনি রাজ্যে। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সাইকেল শিল্পের বিষয়ে বার্তা দিলেন।

যতবারই ভারি শিল্প, কারখানার কথা মুখ্যমন্ত্রী মুখে শোনা গেছে, ততবারই ইতিহাসের পাতা থেকে সিঙ্গুরে টাটা কারখানা বন্ধ করতে মমতার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল সাইকেল তৈরির কারখানা হবে বাংলায় তখনও পিছু নিল টাটা কারখানার ছায়া।

Tata nano factory in singur
বাম আমলে সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো গাড়ির কারখানা তৈরি হয়েছিল

জেলা সফরে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভা থেকে তিনি বলেন, আমরা এত সাইকেল দিই, অথচ রাজ্যে কোথাও কোনও সাইকেল তৈরির কারখানা নেই। একটা কারখানা ছিল। সেটাও ধুঁকছিল। বন্ধ হয়েছে সেটাও। তিনি বলেন, এবার খড়্গপুরেই সাইকেল হাব তৈরি করা হবে। প্রচুর কর্মসংস্থানও তৈরি করা যাবে ওই কারখানার মাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রীর এই কথাতেই ফের আলোচনা শুরু হয়েছে সিঙ্গুরকে ঘিরে।

বামেদের সূর্য যখন মধ্যগগনে। কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্পি আমাদের ভবিষ্যত। রাজ্য জুড়ে এই স্লোগানকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় শিল্প তালুক গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টচার্য। এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন তৎকালীন শিল্প মন্ত্রী নিরূপম সেন।

কিন্তু বাধ সাধল বিরোধী নেত্রী মমতার আন্দোলন। জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে মমতা সেই আন্দোলনের ঝাঁঝ দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তখন মমতাকে সমর্থনকে এগিয়ে এসেছিল বিজেপি সহ বেশ কয়েকটি বাম সংগঠনও৷ দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে মমতার ধর্না পরবর্তীকে তাঁর নবান্নের ১৪ তলার রাস্তা মসৃণ করে দিয়েছিল৷ ন্যানো কারখানা বন্ধ হয়। নষ্ট হয় রাজ্যে বহু বেকারের কর্মসংস্থান৷ সিঙ্গুর আন্দোলনের সেই ক্ষত রাজ্যবাসীর কাছে এখনও কাঁচা। বিপুল জনসমর্থনের পরে আফসোস থেকে যায় আম জনতার।

বাম আমলে সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো গাড়ির কারখানা গড়ার প্রতিবাদে তৃণমূলের আন্দোলন

গড়ে ওঠা কারখানা ভাঙতে যে বিপুল অর্থ রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হয়েছে তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়েছে। কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হলেও তা নিয়ে এখনও বিতর্ক থেকে গেছে৷ সর্ষে ছড়িয়ে কৃষি বিপ্লব আনতে পারেননি মমতা। আলাদা করে সুবিধের পরেও কর্ম সন্ধানী সিঙ্গুরবাসীর অবস্থা চাতক পাখির মতো। শোনা যায় সেই জমিতে তৈরি হচ্ছে মাছের ভেড়ি।

গত এক দশক ধরে শিল্পের খরায় রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে কর্মের সন্ধানে যেতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। গত সাত বছর ধরে বন্ধ রয়েছে এন্নোর কোক। বন্ধ রোহিত ফেরোটেক আয়রন কারখান, মর্ডান কনকাস্ট, জেভিএল৷ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে একাধিক চটকল। যেগুলো চলছে তাঁর অবস্থা শোচনীয়। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সাইকেল তৈরির কারখানার কথা ঘোষণা করে চমক দেওয়ার মতো কিছুই দেখছে না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সাইকেল ব্যবহারে এগিয়ে বাংলা৷ পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলেই৷ কিন্তু যেখানে ন্যানো ফিরে গেল, যেখানে শিল্প তালুকগুলোর অবস্থা একেবারে আইসিইউতে চলে গেছে, সেখানে সাইকেলের কারখানা তৈরি করে রাজ্যে বৃহৎ শিল্পের বিরাট বিপ্লব আনতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

দুর্যোগের রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়া হবু শিক্ষকদের ফেরাল পুলিশ

মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) আশ্বাসের পরেও হয়নি চাকরির সমাধান। দীর্ঘ আন্দোলনের মাঝেই শনিবার দুর্যোগের রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন শরীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার চাকরীপ্রার্থীরা৷ পরে ডিসি সাউথ আকাশ মগারিয়ার কথায় সরে আসেন তাঁরা।

ঈদের দিন সকালেই শহিদ মিনারের সামনে আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে ডিসি সাউথের ফোন মারফত কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা দিয়েছিলেন, তাঁদের বিষয়টি তিনি নিজে দেখবেন।

কিন্তু তা হয়নি বলে অভিযোগ হবু শিক্ষকদের। সেকারণেই শনিবার কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরিকল্পনা নেয় চাকরি প্রার্থীরা। পরিস্থিতি আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণে আনতে ধর্মতলা চত্বরে মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন আকাশ মগারিয়া।

চাকরি প্রার্থীদের তরফে জানানো হয়েছে, রাত্রি ১ টা ১৫ নাগাদ আমাদের ডিসি সাউথ জিজ্ঞাসা করেন এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনে নামতে হবে কেন? তিনি নিজে প্রথম থেকে বিষয়টি দেখছেন। চাকরি প্রার্থীদের নিরাপদে থাকার জন্য আবেদন জানা তিনি। পুলিশের তরফে আশ্বাস মেলার পরেই পিছিয়ে আসে চাকরি প্রার্থীরা।

আন্দোলনকারী হবু শিক্ষকদের বক্তব্য আমরা ২০১৯ সাল থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। দিদি জানিয়েছিলেন ১৬০০ টি আসন বাড়ানো হবে৷ কিন্তু এখনও তা হয়নি। কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। দুর্যোগের রাতে যে কোনও মুহুর্তে বিপদ হতে পারে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসএসসির নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ৫,২৬১ টি পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এর মধ্যে ১৬০০ টি পদে শারীর শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা পদে নিয়োগের কথা জানান তিনি৷ দুই সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরেও কেন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে পথে নামলেন আন্দোলনকারী হবু শিক্ষকরা৷

Next Prime Minister in India: শাহকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

অসমে বিজেপি জোট সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের মঞ্চে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁকেই আগামী প্রধানমন্ত্রী (next Prime Minister) বলে ঘোষণা করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Bishwasharma)।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁর ভাষণে বলেন, মঞ্চে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের শ্রদ্ধেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে অভিনন্দন জানাই। হিমন্তের ওই বক্তব্যের ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়।

বিজেপি নেতৃত্বের সাফাই, নিতান্তই মুখে ফসকে এই কথা বলেছেন হিমন্ত। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, মুখ ফসকে এত বড় কথা বলতে পারেন না হিমন্ত। এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জের।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত অমিত শাহর অনুগামী বলেই পরিচিত। সে কারণেই তিনি শাহকে প্রধানমন্ত্রী বলে তুলে ধরেছেন। তাছাড়া মোদী জমানায় পেট্রোল-ডিজেল থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এতটাই বেড়েছে যে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরে পরবর্তী নির্বাচনে লড়াই করলে বিজেপির ভরাডুবি অবশ্যম্ভাবী। সে কারণে এখন থেকেই কৌশলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহর নাম তুলে এনেছেন হিমন্ত।

কংগ্রেস কটাক্ষ করে বলেছে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিজেই বেছে নিয়েছে বিজেপি। যদিও কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে এনডিএ। কিন্তু বিজেপি শিবির যে শরিকদের মতামতকে পাত্তা দিতে আদৌ রাজি নয় হিমন্ত সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

নেটিজেনরা হিমন্তের এই ভিডিও ক্লিপ সামনে আসতেই সরব হয়েছেন। তাঁরা একটি পুরনো ফেসবুক পেজ পোস্ট করে বলেছেন, সর্বানন্দ সোনওয়াল অসমের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের এক সাংসদ হিমন্তকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্মোধন করেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যায় হিমন্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ঠিক একইভাবে শাহকে প্রধানমন্ত্রী বলে বিজেপির গোপন পরিকল্পনা ফাঁস করে দিয়েছেন হিমন্ত।

অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় এটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এনডিএ-র কোন শরিককেই ধর্তব্যের মধ্যে রাখছে না বিজেপি। গেরুয়া দলই কে কোন দফতরের মন্ত্রী হবেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নিজারাই ঠিক করছে। শরিকরা শুধুই দর্শক মাত্র।

হিমন্ত স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ হতে চলেছেন শাহ। হিমন্ত অনিচ্ছাকৃত কোনও ভুল করেননি, বরং রীতিমতো পরিকল্পনা মতোই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহর নাম ঘোষণা করেছেন। হিমন্তের এই ঘোষণায় বলা যেতে পারে বিজেপিতে মোদী জমানা শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে।

Sourav meeting with Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে সৌরভ, কী এমন ঘটল

নবান্নে যাচ্ছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। তিনি দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যদিও এটি সৌজন্য সাক্ষাত বলে জানিয়েছেন মহারাজ।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগদান ঘিরে তুমুল জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিত্নু সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সৌরভ। এবার কী তবে তিনি রাজনীতিতে ঢুকছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে এই জল্পনা প্রবল।

এদিকে খবর আসছে, আগামী ২৭ এবং ২৯ তারিখ প্রথম প্লে অফ এবং এলিমিনেটর রাউন্ডের ম্যাচ হবে ইডেন গার্ডেন্সে। প্রতিটি ম্যাচেই ১০০ শতাংশ দর্শক উপস্থিতি থাকবে। আগামী ২২ মে লিগ পর্যায়ের ম্যাচগুলি আয়োজন করা হবে। জানা যাচ্ছে, আইপিএল টুর্নামেন্টে দর্শক অনুমতি চাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন সৌরভ।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় সরগরম হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। কিন্তু, তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আসতে তিনি ইচ্ছুক নন। এমনকী, বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনাও তুঙ্গে উঠেছিল।

Maoists Threat: মাওবাদীদের প্রতিরোধে জঙ্গলমহলে বিশেষ ব্যবস্থার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বেড়েছে মাওবাদী (Maoists) দাপট। আগামী ১৫ দিন জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। পড়ছে হুমকি পোস্টার। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার সর্বত্র আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মাওবাদীদের প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বললেন।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটা-দুটো পোস্টার বিজেপি লাগিয়ে দিয়েছে। আর তা নিয়ে কোনও কোনও টিভি চ্যানেল মাওবাদী-মাওবাদী বলে রাজনীতি করছে। মানুষের মধ্যে ভয় ঢোকাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের ইস্টার্ন জ়োনাল কাউন্সিলের বৈঠকে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

নবান্ন থেকে জঙ্গলমহলের জেলা প্রশাসন কর্তাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন মমতা। পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে মানুষের মধ্য থেকে মাও ভয় কাটাতে আরও পদক্ষেপ নিতে বলেন। একইসঙ্গে কোনও মাওবাদী যদি ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,বেলপাহাড়ি সীমান্ত থেকে ঢোকা কিছু মাওবাদীই নতুন করে সমস্যা তৈরি করছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেও তা মানতে এদিন রাজি হননি জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তাতে খানিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

Mamata Banerjee message: দুর্নীতি হলেই নিতে হবে অ্যাকশন, নবান্ন থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসার পর থেকেই খুন-খুনি, দুর্নীতির একেকটি খবর ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সেই নিয়েই বুধবার নবান্নের বৈঠক থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, বালি চুরি হোক বা গাছ কাটা, অন্যায় এবং বেআইনি কাজের ক্ষেত্রে রং দেখার প্রয়োজন নেই। অভিযোগ সঠিক হলে দলমত নির্বিশেষে সকলের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বুধবারের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন, গভর্মেন্ট সেক্টরে কেন্দ্রে চাকরি দেওয়া হবে বলে টাকা তোলা হচ্ছে। এসব হবে না। গড়বেতা কেসে আমি বলছি কড়া ব্যবস্থা নিন ইচ অ্যান্ড এভরিবডি। যেটা বলছি ইচ অ্যান্ড এভরিবডিই হবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, এসপি, ডিএম, আইসি যাঁরা আছেন, চিটফান্ড, তোলাবাজি করে, অস্ত্রের কারবার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করার চেষ্টা করলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, বালি চুরি, গাছ কাটা, অন্যায় এবং বেআইনি কাজ দেখলে রাজনৈতিক রং দেখার দরকার নেই। তথ্য সঠিক হলে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনও বড় নেতাও যদি দুর্নীতি করেন, গ্রেফতার করতে হবে। কারণ পার্টি তাঁকে বলেনি এমন করতে।

পাশাপাশি এদিন রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ডিএসপি ঐদিন সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এত বড় ঘটনা ঘটে যেত না। এতগুলো মানুষের মৃত্যু হত না।

‘Let Muslims live peacefully’: বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে ইয়েদুরাপ্পার দাবি মুসলিমদের শান্তিতে বাস করতে দিন

সম্প্রতি কর্নাটকের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর একাধিক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের ঘটনায় নিন্দা করেছেন তিনি। ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন দয়া করে মুসলিমদের শান্তিতে থাকতে দিন (Let Muslims live peacefully)। ইয়েদুরাপ্পার এই মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন দলের আরও কয়েকজন বিধায়ক ও নেতা। বিষয়টি নিয়ে পদ্ম শিবিরে রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি কর্নাটকের মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর একের পর এক বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। রাজ্য সরকারের এই খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। এবার বিরোধীদের সুরেই সুর মেলালেন ইয়েদুরাপ্পা। বরং আরও একধাপ এগিয়ে এই প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেছেন, রাজ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে যা করা হচ্ছে সেটা ঠিক না। গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের আচরণ কখনওই সমর্থন যোগ্য নয়। মুসলিমরা যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে সরকারের উচিত সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।

কয়েকদিন আগে কর্নাটকের ধারওয়াড়ে একটি মন্দিরের বাইরে একজন মুসলিম ফল বিক্রেতার গাড়ি ভাঙচুর করে হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। ওই ঘটনায় নিন্দা করেছেন ইয়েদুরাপ্পা। তিনি হিন্দু সংগঠনগুলিকে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে বিজেপি বাসবরাজ বোম্বাইকে কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে বিজেপির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ইয়েদুরাপ্পা। সে কারণেই তিনি দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এমন একটি বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন যা দলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে।

Fine for Drinking: মদ্যপানের জরিমানা অর্থ কমিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

বছর ছয়েক আগে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। কয়েকদিন আগে নীতীশ জোর গলায় বিধানসভায় ঘোষণা করেন, মদ খাওয়া মহাপাপ। যারা মদ খায় তারা ভারতীয় নাগরিক নয়। স্বাভাবিকভাবেই মদ নিষিদ্ধ বিহারে মদ পান করে কেউ ধরা পড়লে তাঁর কপালে ছিল অশেষ দুর্গতি। কারণ ধৃতকে দিতে হত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। কিন্তু প্রথমবার মদ্যপান করে কেউ ধরা পড়লে জরিমানার অংক অনেকটাই কমল বিহারে।

আর ৫০ হাজার টাকা নয়, মদ খেয়ে ধরা পড়লে দিতে হবে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা। চলতি বাজেট অধিবেশনে রাজ্যের মদ সংক্রান্ত আইন সংশোধন বিহার করেছে সরকার। সংশোধিত আইন ২০২২-এ বলা হয়েছে, প্রথমবার মদ খেয়ে কেউ পুলিশের হাতে ধরা পড়লে তাকে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আর কেউ যদি একান্তই জরিমানা দিতে না পারে তবে তাকে একমাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জরিমানার পরিমাণ কমানোর কথা জানানো হয়েছে। ২০১৮ সালের সংশোধনী অনুযায়ী মদ খেয়ে প্রথমবার ধরা পড়লে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হতো।

প্রশ্ন হল বিহার সরকার হঠাৎই কেন জরিমানার অংক এতটা কমাল? কয়েকদিন আগে বিহারের এই মদ বিরোধী আইন নিয়ে নীতীশ কুমার সরকারকে তুলধোনা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মদ বিরোধী আইনের জেরে রাজ্যের আদালতগুলিতে জমেছে মামলার পাহাড়। বেশিরভাগ মামলাই জামিনের। এই পাহাড়প্রমাণ মামলার একমাত্র কারণ বিশাল অঙ্কের জরিমানা। যে টাকা দেওয়ার দেওয়ার সামর্থ্য নেই বেশির ভাগ মদ্যপায়ীর। আবার যাদের সামর্থ্য আছে তারাও এত বিপুল পরিমাণ টাকা জরিমানা দিতে নারাজ। সে কারণেই জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতে জমছে একের পর এক মামলা। এই সব মামলার নিষ্পত্তি করতেই নীতীশ সরকার জরিমানার অংক এক ধাক্কায় ২০০০ টাকায় নামিয়ে আনল

Purba Medinipur: মমতা ব্যানার্জির ঝাড় যা, তার থেকে একই বাঁশ বেরোবে: শুভেন্দু

দেশদ্রোহী তোলা মূল পার্টির ছাপ্পা মেরে জেতা কাউন্সিলররা যে অপমান করেছে আজকে এক হাজার মানুষ জাতীয় সংগীত গেয়ে শুদ্ধ করলাম। বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)।

তিনি বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার কাঁথি দেশপ্রানের জায়গা,বলাই লাল দাস মহাপাত্র, সুধীর চন্দ্র দাস, রাসবিহারী পালেদের জায়গা, ঠিক এইখানেই পদ্মাবতীর নামের রাস্তা যিনি ব্রিটিশ রুখে দিয়েছেন। রবিবার বিকেলে কাঁথির বন্দেমাতরম স্পোর্টিং ক্লাব প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত গেয়ে টিএমসিকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

গত ২৯ শে মার্চ কাঁথি শহরে তৃণমূলের একটি রাজনৈতিক মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ঐদিন পথসভায় ভরা মঞ্চে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির উপস্থিতিতে এবং কাঁথি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরির উপস্থিতিতে ভুল জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন কাঁথি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রিনা দাস, আর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় সর্বত্রই উঠতে শুরু করে।

বিজেপি বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা বলেন, শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক নিশানা করেন তিনি। পাশাপাশি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন যারা ৫০০ টাকার ভাতা এবং বাংলার মেয়েকে চেয়ে ছিলেন তারাই বুঝুক।

তিনি বলেন, বাঁশের ঝাড়ে যেমন বাঁশ হয় ঠিক তেমন যেমন কাটা বাঁশের ঝাড়ে কাটা বাঁশ হয় সরল বাঁশঝাড়ে যেমন বাঁশ হয়, ঠিক তেমনই মমতা ব্যানার্জির ঝাড় যা তার থেকে একই বাঁশ বেরোবে।

বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনায় বুদ্ধিজীবীরা মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিয়েছেন সেই বিষয় নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন অনেক পরে ঘুম ভেঙেছে ওগুলো বুদ্ধিজীবী নয় ভাতাজীবি।