Tripura: বিজেপি পার্টি অফিসে ইভিএম প্রশিক্ষণ, ভোট লুঠ অভিযোগে তোলপাড় ত্রিপুরা

চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘিরে ত্রিপুরায় (Tripura) রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। কারণ, এই উপনির্বাচনেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ডা. মানিক সাহা বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন কি না সেটাই নির্ধারিত হবে।…

চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘিরে ত্রিপুরায় (Tripura) রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। কারণ, এই উপনির্বাচনেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ডা. মানিক সাহা বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন কি না সেটাই নির্ধারিত হবে। আর এই উপনির্বাচনের ভোট প্রশিক্ষণে নিয়ে বিতর্কে নির্বাচন কমিশন। শাসকদল বিজেপির পার্টি অফিসে চলছে প্রশিক্ষণ।

আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। শাসক দল বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল  সিপিআইএম, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, তিপ্রা মথা আছে লড়াইয়ে।

   

বিজেপি দলীয় কর্মী, পতাকা ও চিহ্ন দিয়ে ইভিএমে বোতাম টেপার পদ্ধতি শেখানো ও কমিশনের কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে প্রবল বিতর্কে শাসকদল। তবে এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। আগরতলার বিভিন্ন ওয়েব সংবাদ মাধ্যমে এই ভোট প্রশিক্ষণের ভিডিও আর ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। কিছু সংবাদপত্রে চরম সমালোচনা করা হয়েছে।

বিরোধী দল সিপিআইএমের অভিযোগ, ২০১৮ সালে পরিবর্তনের পর যতগুলি নির্বাচন হয়েছে সবেতেই চরম রিগিং করে জিতেছে বিজেপি। তাদের জনসমর্থন নেই। উপনির্বাচনেও তার ইঙ্গিত পেয়ে ভোট কারচুপির চেষ্টা চলছে।

অভিযোগ, যুবরাজনগর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ৩০ নম্বর বুথ যেটি যুবরাজনগর জেবি স্কুল বলে পরিচিত সেই এলাকার বিজেপি দফতরে বসে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন আধিকারিকরা

এই ছবি ঘিরে ত্রিপুরা শোরগোল। শাসক বিজেপি নীরব। প্রধান বিরোধী সিপিআইএম প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ বাকি দলগুলি প্রতিবাদে সামিল।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন বিরোধী দল সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী।

কোনওভাবেই ভোট লুঠ করতে দেব না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ৬-আগরতলা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি পদচ্যুত হওয়া মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। প্রবল ভোট সন্ত্রাস ও ব্যর্থ প্রশাসনের অভিযোগ তুলে বিজেপি ছেড়ে ফের কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন।