Ranji Trophy: ফুটবল-জগদ্ধাত্রী ভুলে রঞ্জিতে মজেছে কলোনিয়াল শহর

এই প্রথম, ফুটবল নয়, জগদ্ধাত্রী নয়। ক্রিকেট নিয়ে মেতেছে চন্দননগর। সৌজন্যে রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) ফাইনাল। জানে না কি হতে চলেছে, তবু তারা দলে দলে ইডেন যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। কারণ তাঁদের মাটির তিন ছেলে খেলছে রঞ্জি ট্রফিতে।

Ranji Trophy

এই প্রথম, ফুটবল নয়, জগদ্ধাত্রী নয়। ক্রিকেট নিয়ে মেতেছে চন্দননগর। সৌজন্যে রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) ফাইনাল। জানে না কি হতে চলেছে, তবু তারা দলে দলে ইডেন যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। কারণ তাঁদের মাটির তিন ছেলে খেলছে রঞ্জি ট্রফিতে। ফাইনাল খেলছে অনুষ্টুপ মজুমদার, ঈশান পোড়েল, অভিষেক পোড়েল। তাই অন্তত ওদের জন্য গলা ফাটাতে ইডেনমুখী হতে চাইছে চন্দননগর।

রাহুল দত্ত বলছেন, ‘দীর্ঘ ৩৪ টা বছর কেটে গেছে বয়ে যাওয়া জলে গঙ্গার পাড়ের ভাঙাগড়া চলেছে।আরও আধুনিক হয়েছে শহর।সৌন্দর্য বেড়েছে ক্রমে। পাল্টায়নি আবেগতাড়িত হওয়ার পরম্পরা। গর্বিত হওয়ার সুযোগ পেলে আজও আমরা চিৎকার করে বলে উঠি ‘আমরা চন্দননাগরিক।’ শম্পা পাল বলছেন, ‘দীর্ঘ ৩৪ টা বছর কেটে গেছে।

শেষবার যখন বাংলা রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ান হয়,তখন আমাদের অনেকেরই হয় শৈশব অথবা কৈশোর।কেউ হয়ত সদ্য জন্মানো শিশু।জয়ের আস্বাদ কি বুঝতেই পারিনি।আবার কেউ কেউ আছেন যারা সেদিন মাঠেই ছিলেন।

৩৪ বছর পর রঞ্জি ট্রফি জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। সেই সুযোগ এনে দিয়েছেন আমাদের শহরের তিন কীর্তিমান ক্রিকেটার। এই মুহুর্তে বাংলা ক্রিকেট দলে তিনজন বাঙালি ক্রিকেটার আমাদের শহরের।মেজরিটির কথাই যদি বলেন,তাহলেও আমরাই এগিয়ে।তাই না?’

প্রদীপ মন্ডল বলছেন, ‘ আসুন,আমরাও তৈরি হয়ে নিই মাঠে গিয়ে গলা ফাটাবার জন্য। চিৎকার করে সৌরাষ্ট্র দলকে হারিয়ে দেব আমরা।না,এবারে ফাইনালে কোনো টিকিট লাগছে না।এক্কেবারে ফ্রী। অনুরোধ করব এই শহরের ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পের কোচেদের কাছে।নিয়ে যান ছেলেমেয়েদের খেলা দেখাতে।অনুরোধ করব কানাইলাল,অরবিন্দ আর খলিসানি স্কুলের ছেলেদের।মাঠে যাও বাবারা।তোমাদের স্কুল গুলো থেকেই এই তিন ক্রিকেটার উঠে এসেছেন।স্কুলকে ভালোবাসো।

১৬ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত ওই পাঁচটা দিন চন্দননগরের তিন কৃতি ক্রিকেটার অনুষ্টুপ,অভিষেক আর ঈষাণ-এর জন্য চলুন ইডেন গার্ডেন্সে।আমাদের আবেগের বিচ্ছুরণ ঘটুক মাঠে।আমরা তো চন্দননাগরিক! আবার কবে এমন সুযোগ আসবে জানিনা।’