কৃষি আইনের বাতিলের পর আসামে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের হুংকার

নিউজ ডেস্ক, গুয়াহাটি: বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ ) বিরোধী দল সংগঠন যেন ফের অক্সিজেন পেয়েছে। এই আইন বাতিলের দাবিতে হুংকার…

anti-CAA movement in Assam roared

নিউজ ডেস্ক, গুয়াহাটি: বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ ) বিরোধী দল সংগঠন যেন ফের অক্সিজেন পেয়েছে। এই আইন বাতিলের দাবিতে হুংকার দিচ্ছে বিভিন্ন দল সংগঠন।শুধু তাই নয় ,কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন থেকে অসমে এই সংগঠনগুলি অনেকটা শিক্ষা নিতে চাইছে। কিন্তু এই আইন বিরোধী শক্তির মধ্যে অনেক নেতা ইতিমধ্যে শাসক দল বিজেপিতে অমিল হয়েছেন।

কংগ্রেস ,অখিল গগৈ নেতৃত্বাধীন রাইজর দল ,সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু ), অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন ইতিমধ্যে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ফলে সিএএ বিরোধী শক্তি আবার জাগ্রত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে।

anti-CAA movement in Assam roared

গোটা দেশের সঙ্গে বিতর্কিত সিএএ আইন বাতিলের দাবি আসামেও উঠছে। উল্লেখ্য, সংসদে এই আইনটি পাশ হলেও সিএএর রুলফ্রেম প্রস্তুত করেনি সরকার। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আসুর নেতারা। সংগঠনটির সভাপতি দীপাংকর নাথ বলেন ,কৃষি আইন থেকে আমরা শিক্ষা নেওয়া উচিত এতে প্রমান হলো যে একটি বিষয়কে নিয়ে যদি আমরা আন্দোলন করি তাহলে ফল বৃথা হয় না। সেইসঙ্গে কৃষি আইনের মতো সিএএ বাতিল করা উচিত। তবে আগামীতে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন ফের করা হবে।

তিনি বলেন ,করোনা মহামারীর জন্য এই আন্দোলন স্থিমিত ছিল। কেননা বিতর্কিত এই আইনকে আসামের মানুষ কোনওদিন মানবে না। তাই সর্বাত্মক এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠার প্রয়োজনীয়তা এসে গেছে বলেও ওই আসুর নেতা দাবি করেন। বলেন ,আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কাছে সরকার শীরনত করতেই হবে।গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করলে সিএএ বাতিল হবেই।

বিধায়ক অখিল গগৈ এদিন বলেন ,আগামীদিনে সিএএ আইন বাতিলের বিজয় উৎসব অসমের মানুষ পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।এনিয়ে অপসবিহীন আন্দোলন করলে সরকার বাতিল করতে বাধ্য হতো। তাই অসমবাসীকে বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন অখিল। তিনি বলেন ,সমগ্র প্রক্রিয়াকে বিপথে পরিচালিত করা হয়েছে।এমনকি আমাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।

অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা বলেন ,এ নিয়ে মানুষের মনে এখনও ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। অসমের জাতীয় জীবনকে বাঁচাতে এই আইনের বিরোধিতা করতেই হবে। তবে বাস্তবে এই আইনের বিরুদ্ধে এক কাট্ঠা করাটা সম্ভব হবে ,সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।