কাউকে সন্দেহ হলে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত হবে, পড়ুয়াদের আশ্বাস সিপি বিনীত গোয়েলের

আর জি করে অশান্তি অব্যাহত। রবিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আর জি কর পরিদর্শনে যান কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েল। এদিন বিকালে হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভরত ডাক্তারি…

R G Kar Hospital CP visit

আর জি করে অশান্তি অব্যাহত। রবিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আর জি কর পরিদর্শনে যান কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েল। এদিন বিকালে হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে এমন কাউকে সন্দেহ হলেই তাঁকে জানানোর আর্জি জানান পড়ুয়াদের কাছে। পাশাপাশি যত দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীকে চরম শাস্তি দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

শ্লীলতাহানির অভিযোগে কাঠগড়ায় চিকিত্সক

   

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখতেও জুনিয়ার ডাক্তারদের পাঁচ কমিটির সদস্য তৈরি করার কথাও হয়েছে। সেই কমিটির সদস্যেরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টটি দেখতে পারবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ইতিমধ্যে মৃতের পরিবারকে রিপোর্টটি দেওয়া হয়েছে।

সিপিকে সামনে পেয়ে নিজেদের দাবিও তুলে ধরেন বিক্ষোভরত ডাক্তারেরা। হাসপাতালের সুপার, কার্ডিয়াক বিভাগের প্রধান সহ অনেকের ইস্তফা দাবি করেছেন বিক্ষোভরত ডাক্তারেরা। কিন্তু সেই বিষয় কিছু কথা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

সেবির মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘মোদী-ঘনিষ্ঠ’, হিন্ডেনবার্গ কী বিরোধীদের দাবিকেই মান্যতা দিল?

জুনিয়ার ডাক্তারদের আশ্বাস দিয়ে সিপি বলেন, “গোটা বিষয়টি স্বচ্ছতা বজায় রেখে তদন্ত হচ্ছে। কারও কাউকে সন্দেহ হলে আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখব।”

এদিকে আরজিকর হাসপাতালে (R.G. Kar Hospital) পড়ুয়া তরুণী চিকিত্সক হত্যার ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে একজনকে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুনের মামলা রুজুএ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে পুলিশ। পাশাপাশি তাঁর হেডফোনের ছেঁড়া তার থেকেই তাঁকে শনাক্ত করে পুলিশ। শনিবার সকালেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেছে পুলিশ।

যারফলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে জনমানষে। মৃত ওই তরুনীর পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁদের মেয়েকে। তার ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করে টালা থানার পুলিশ।

টানা নয় বছর ভারতের মাটিতে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের বিমানটি, কোন উদ্দেশ্যে?

শুক্রবার খবরটি সামনে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আরজিকর হাসপাতাল চত্বরে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের পরিবারের সদস্যেরা। প্রতিবাদে সামিল হয় বিজেপি সহ রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করে জুনিয়ার চিকিত্সকেরা। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। শনিবার সকাল থেকেই জুনিয়ার ডাক্তার ও নার্সদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত আরজিকর চত্বর। মৃত চিকিত্সকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ারা।