দেশের সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে বিজেপি সরকার। কংগ্রেস সহ বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিদ্ধ করে এসেছে। অতীতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদনে নোটবন্দী এবার সেই অভিযোগ আরও জোরদার হল হিন্ডেনবার্গের তালিকায় সেবির নাম জড়ানোয়। মার্কিন সংস্থাটির তালিকায় সেবি প্রধান মাধবী পুরি বুচকে ‘টার্গেট’ করা হয় বলে অভিযোগ। কারণ আদানীর বিভিন্ন সংস্থায় তাঁর বিপুল শেয়ার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আমেরিকার দাবি না মানায় ক্ষমতাচ্যুত হলাম, ভারত থেকে বার্তা হাসিনার
এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেতই শোরগোল পড়েছে ঘরোয়া রাজনীতিতে। কারণ সেবির মতো জাতীয় আার্থিক প্রতিষ্ঠানে মাধবী পুরির মতো ‘বিতর্কিত’ ব্যক্তিত্বকে মেনে নেওয়া বিরোধী দলগুলির পক্ষে আদৌ সম্ভব কিনা ইতিমধ্যে উঠছে সেই প্রশ্ন। কারণ সেবির মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিরপেক্ষ থেকে আইন অনুসারে কাজ করে যাওয়াই সংবিধানসিদ্ধ।
খেলা ঘুরছে! রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন
কিন্তু এক্ষেত্রে মোদী ঘনিষ্ট শিল্পপতির সংস্থায় অংশীদারিত্ব থাকায় তিনি কতটা নিরপেক্ষ থাকতে পেরেছেন তা নিয়েও আপত্তি কংগ্রেস সহ বিরোধীদের। লোকসভা ভোটের সময় নির্বচনী বন্ড কাণ্ডে সেবির আদালতের পাশাপাশি সেবির দ্বারস্থও হয়েছিল বিরোধীরা। একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি সেবির আওতায় এনে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়। তখনও মাধবী পুরির সম্পর্কে এমন তথ্য বেফাঁস করেনি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। এবার প্রকাশ্যে আসায় মোদী সরকারকে আরও চাপে পড়তে হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আজ শিয়ালদহ-হাওড়া ডিভিশনে বাতিল প্রচুর লোকাল ট্রেন, দেখুন তালিকা
গতবছর আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। যারফলে এক ঝটকায় তলানিতে নেমে যায় আদানির দর। বিশ্বের সেরা পাঁচ ধনীর তালিকা থেকেও ছিটকে যান তিনি। এবার ফের হিন্ডেনবার্গের হামলা মোদী-শাহরা কীভাবে সামলান সেটাই দেখার।