তদন্তে অসহযোগিতা করছে কেষ্ট, ফের হেফাজতে নিতে চায় CBI

গোরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের আজ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডলের যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ CBI পেয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত…

গোরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের আজ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডলের যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ CBI পেয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ পেয়েছে, সেটাই সিবিআইয়ের কাছে হাতিয়ার হতে চলেছে। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গোরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত নয়, এখনও তাঁর বিরুদ্ধে গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার কোনও তথ্য সিবিআই পায়নি। এটাকেই হাতিয়ার করে অনুব্রতর জামিনের আবেদন করতে চান আইনজীবীরা। এমনটাই সূত্রে খবর৷

গত অগাস্ট মাস থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখার জন্য একাধিকবার বীরভূম জুড়ে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকে। কিন্তু কৌশলে সিবিআইয়ের সমস্ত প্রশ্ন মনীশ কোঠারির দিকে ঠেলে দিয়েছেন সুকন্যা৷ শুধুমাত্র সুকন্যা নয়, সিবিআইয়ের নজরে বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনও৷

   

সিবিআইয়ের প্রশ্ন, গত কয়েক বছরে সুকন্যা ও বিদ্যুতের সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। সামান্য স্কুল শিক্ষকের চাকরি ও পুরসভার কর্মী হয়ে কীভাবে এত বিপুল সম্পত্তির মালিক হতে পারেন তারা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই বীরভূমের একাধিক জায়গায় অভিযোগ চালিয়ে আরও বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

অন্যদিকে, সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত৷ এখনও অবধি মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। শুধুই বয়ান রেকর্ড নয়। আতস কাচে পোস্ট অফিস, ব্যাঙ্কের নথি থেকে ভারত সেবাশ্রমের জমি কেনাবেচাও। এই সবটা সামনে রেখে অনুব্রতকে ফের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাবে সিবিআই।