বৃষ্টি হলেই বিষ্ণুপুর পার্কিং জোন ডুবে যায়, পুরসভা আসলে ‘জলসভা’

বাঁকুড়া: ‘মন্দির নগরী’ হিসেবেই খ্যাত বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর। মল্ল রাজাদের অসামান্য কীর্তির টানে বছরভর দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক এখানে আসেন। আগত পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে…

Bishnupur municipality parking

বাঁকুড়া: ‘মন্দির নগরী’ হিসেবেই খ্যাত বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর। মল্ল রাজাদের অসামান্য কীর্তির টানে বছরভর দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক এখানে আসেন। আগত পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে বিগত ২০০৩ সালে পৌরসভার তরফে ইন্দিরা মার্কেটের নিচে একটি পার্কিং জোন তৈরী করা হয়। উদ্বোধন করেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী। বর্তমানে সেই পার্কিং জোন নিয়ে বেড়েছে বিড়ম্বনা। অল্প বৃষ্টিতেই সেই পার্কিং জোন স্যুইমিং পুলের চেহারা নেয়।

ইন্দিরা মার্কেটের পার্কিং জোনে গিয়ে দেখা গেল পুরো এরাকা জুড়ে প্রায় হাঁটু সমান জল। তার মধ্যেও যারা একান্তই নিরুপায় তারাই জলের মধ্যে গাড়ি রাখছেন, আবার অনেকেই সযত্নে এড়িয়ে চলছেন পার্কিং জোনটিকে। আর এই সুযোগে শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়ছেন না বিরোধীরাও।

পার্কিং জোনের দায়িত্বে থাকা কর্মী প্রদীপ কর্মকার বলেন, পৌরসভাকে জানানোর পর জল বের করা হয়েছিল। ফের নতুন করে জলে ভরে যাচ্ছে পুরো পার্কিং জোন। এই অবস্থায় অনেকেই এখানে গাড়ি রাখতে চাইছেননা বলে তিনি জানান।

বিজেপির নগর মণ্ডল সভাপতি উত্তম সরকার এবিষয়ে বলেন, ‘পরিকল্পনাহীন’ কাজের জন্য সাধারণ মানুষকে ভূগতে হচ্ছে। সরকারী অর্থের অপচয় হয়েছে। ঐ জায়গায় যারা গাড়ি রাখেন তারা পৌরসভা নির্দ্ধারিত টাকা দেন। তারপরেই এই চূড়ান্ত অব্যবস্থা কেন? সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই বিজেপি নেতা।

বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবু চ্যাটার্জীর দাবি, সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভেবে বিষ্ণুপুর পৌরসভা পরিচালিত হয়না। এই পৌরসভা ‘জলসভা’তে পরিনত হয়েছে। পৌরসভার সঠিক নজরদারীর অভাবেই এই সমস্যা বলে তার দাবি।