Batya Bose: টিএমসি যুবনেতা কুন্তলের বাড়িতে ওএমআর শিট মিলতেই দায় ঝাড়লেন মন্ত্রী

ডিসেম্বরে হওয়া টেটের ওএমআর শিট মিলেছে কুন্তলের বাড়ি থেকে। শাসকের মুখরক্ষা করতে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Batya Bose)।

Batya Bose

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন জেলে দিন কাটছে তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh)। দলের যুবনেতা কুন্তল সম্পর্কে নিয়োগ নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরতে শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অন্যদকে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইটে নাম দেখিয়ে ভুয়ো শংসাপত্র পেশ করে টাকা নিতেন কুন্তল। সদ্য ডিসেম্বরে হওয়া টেটের ওএমআর শিট মিলেছে কুন্তলের বাড়ি থেকে। শাসকের মুখরক্ষা করতে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Batya Bose)। তাঁর দাবি, দালালের বাড়িতে ওএমআর শিট মিললে দায় সরকারের নয়।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে থাকা TMC বিধায়ক লন্ডন ঘুরেছিলেন জোড়া পাসপোর্টে

   

শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পর্ষদ পরীক্ষা নিয়েছে। আপনি পরীক্ষা দিয়েছেন। পর্ষদের কাছে একটি কপি রয়েছে। আপনি পরীক্ষার্থী, আপনার কাছে একটি কপি রয়েছে। আপনি যদি সেই কপি কোনও দালালকে দেন তাহলে তার দায় পর্ষদের নয়, সরকারের নয়। পর্ষদ তো বটেই, আমিও বলছি, কোনও দালাল বা দুষ্টচক্রের ফাঁদে যদি পা দেন, সেটা দালাল বা দুষ্ট চক্রের মতো আপনারও সম অপরাধ। এধরনের কোনরকম প্ররোচনায় পা দেবেন না। আপনি কেবলমাত্র নিজের মেধা, নিজের যোগ্যতা এবং নিজের শ্রমের ওপর আস্থা রাখুন। আর আস্থা রাখুন পর্ষদের নিরপেক্ষতার ওপর।

আরও পড়ুন: Recruitment Corruption: সারদা-রোজভ্যালির মতো আলোচনায় বিলীন হবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা?

দীর্ঘ সময় ধরে কুন্তল-সহ চাকরি প্রার্থীদের জেরা করে তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, প্রথমে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নিত কুন্তল। পরে পাশের শংসাপত্র হাতে পেলেও ওয়েবসাইটে নাম না দেখতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। তাই চাকরি প্রার্থীদের ভুল বোঝাতে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে দেখাতেন কুন্তল। এবিষয়ে পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য, তিনি এসে ভুয়ো ওয়েবসাইট সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন।

আরও পড়ুন: Tet Scam: চার্জশিটে তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পুরো পরিবার ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত’

শুক্রবারেই প্রকাশিত হয়েছে টেটের ফলাফল। গত ডিসেম্বরে হওয়া টেটের ফলপ্রকাশ ঘিরে রাজ্যজুড়ে বইছে উচ্ছ্বাসের বন্যা। কিন্তু নিয়োগ না হওয়া অবধি এখনই সেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে গা ভাসাতে চাইছেন না চাকরি প্রার্থীরা। এদিন ব্রাত্য বসু জানান, টেট পরীক্ষায় যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা রাজ্যের ইতিহাসে প্রথম। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, এক শ্রেণির মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পরীক্ষা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল। তারপরও পর্ষদ স্বচ্ছভাবে ফল প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।