Recruitment Corruption: সারদা-রোজভ্যালির মতো আলোচনায় বিলীন হবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা?

নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Corruption) হয়েছে। দ্রুত অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্যদের নিয়োগ করুক কমিশন৷ মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এই বার্তা যেন চাকরি প্রার্থীদের কথা মনে করাচ্ছে।

Recruitment Corruption

নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Corruption) হয়েছে। দ্রুত অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্যদের নিয়োগ করুক কমিশন৷ মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এই বার্তা যেন চাকরি প্রার্থীদের কথা মনে করাচ্ছে। ৬৮৮ দিনের মাথায় যারা নিয়োগের দাবিতে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিনের পর দিন রাজপথে অপেক্ষায় তাঁদের আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন৷ অথচ আদালতের এজলাসে আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তদন্তকারী সংস্থাকে।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের সিট গঠন করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের এক অফিসারকে সিট থেকে বের করে জানালেন, তিনি তদন্তের কোনও ফাইল ছুঁয়ে অবধি দেখবেন না। আবার মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারিতে দেরি হওয়ায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তদন্তকারী সংস্থার দিকেই। কিছু মাস আগেই অন্ধকারের টানেল থেকে আলো দেখার জন্য সিবিআইয়ের ওপর ভরসা রেখেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল সিবিআই ম্যাজিশিয়নের ভূমিকা পালন করবে৷ এরপর নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষা দফতর জেলে রয়েছে।

এর মাঝেই দীর্ঘ সময়ে বদলেছে মামলার এজলাস৷ কিন্তু বদলায়নি বিচারপতিদের মন্তব্য। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকেও। কখনও বলেছেন দুন এক্সপ্রেস থেকে বন্দে ভারত না হোক, শতাব্দী যেন হয়। পরে সিবিআইয়ের রিপোর্ট এবং ভিন্ন হোমওয়ার্ক নিয়ে বেজায় চটলেন তিনি। একেবারে যেন রণক্ষেত্র অবস্থা আদালতে চত্বরে। তাহলে নিয়োগ দুর্নীতিতে যাদের নাম জড়িয়েছে, তাঁদের তালিকা আরও বড়!

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন চর্চা শুরু হয়েছিল তখন একাধিক তত্ত্ব বুঝিয়েছিলেন ওয়াকিবহাল মহল। কখনও বলা হয়েছে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে দুর্নীতি। আবার কখনও পেঁয়াজের খোসার মতো দুর্নীতির খোলস নিয়েও চর্চা হয়েছে। তবে সবথেকে বেশী চর্চা হয়েছে গতকাল থেকে যখন কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে দেড় মাস আগে হওয়া টেটের ওএমআর শিট মেলে। তাহলে কী সিবিআইয়ের নাকের ডগায় এখনও দুর্নীতি চলছে!

যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ওএমআর শিট সুরক্ষিত রয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের কেউ কেউ ওএমআর শিট দিতে পারে৷ কিন্তু একসঙ্গে ৩০ টি ওএমআর শিট শাসক দলের যুব নেতার কাছে কী করছে? দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল সম্পর্কে আরও তথ্য বের করার চেষ্টা করছে তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু বিচারপতিদের অসন্তোষ মনে করাচ্ছে রাজ্যের একাধিক মামলার কথা৷ যা শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই বিলীন হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপে আজ অবধি তার সুরাহা হয়নি।