Mamata Banerjee: মমতার আমলে নিয়োগ, রাজ্য জুড়ে ইস্তফার বন্যা ভুয়ো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

উৎসব শেষে বন্যার ভ্রুকুটি বঙ্গে। হু হু করে বেনো জল বেরিয়ে আসছে। এ বন্যা সম্পূর্ণ ‘ম্যান মেড’ বলেই চিহ্নিত হয়েছে! মমতার (Mamata Banerjee) আমলে রাজ্য…

উৎসব শেষে বন্যার ভ্রুকুটি বঙ্গে। হু হু করে বেনো জল বেরিয়ে আসছে। এ বন্যা সম্পূর্ণ ‘ম্যান মেড’ বলেই চিহ্নিত হয়েছে! মমতার (Mamata Banerjee) আমলে রাজ্য জুড়ে ভুয়ো শিক্ষকদের ইস্তফা (Mass Resignation) দেওয়া শুরু। এ যেন ইস্তফার বন্যা! এমনটি পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আর কোনও সরকারের (কংগ্রেস,যুক্তফ্রন্ট ও বামফ্রন্ট) আমলে হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) টানা দশ বছরের সরকারে বিপুল আর্থিক লেনদেনে নিয়োগ পাওয়া ‘মেধাহীন’ ভুয়ো শিক্ষক/শিক্ষিকারা আদালতের কড়া নির্দেশে ইস্তফা দিতে শুরু করেছেন।

high court

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ যারা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের কাছে আদালতের আবেদন তারা যেন আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করেন। ইস্তফা না দিলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এরপরেই জেলায় জেলায় চলছে ইস্তফার বন্যা৷ এই বার হাতে এল কর্মরত শিক্ষকদের তালিকা৷ যদিও সেই তালিকা যাচাই করেনি কলকাতা ২৪x৭।

কটাক্ষ আসছে উড়ে, যাঁরা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন বা দুর্নীতির করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা নিজেরাই সব জানেন। হয় টাকা দিয়েছেন নয় অন্য কিছু করে চাকরি পেয়েছেন।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির মাথায় কে বসে রয়েছেন সেটা খুঁজতেই সিবিআইয়ের হাতে একাধিক মামলার তদন্তভার তুলে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির বিরাট পদক্ষেপ নিয়ে আশার আলো দেখতে পাচ্ছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। দুর্নীতি যে হয়েছে, সেই দাবি শুরু থেকেই করে আসছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। এখন আদালতের নির্দেশে তা প্রমাণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত৷

প্রায় ১৮৩ জন ফেল করা ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। যা ভাইরাল হয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়। শোনা যাচ্ছে, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরকারি স্কুল থেকে উধাও একাধিক শিক্ষক শিক্ষাকর্মী,পদত্যাগ এর ঢল শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের ,স্কুল খুললেই জমা পড়বে ইস্তফা ভুয়ো শিক্ষকদেরও”। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে ফেছে ওয়াকিবহাল মহলে।

ফেল করা অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। একথা আগেই দাবি করছিলেন চাকরি প্রার্থীরা৷ এখন আদালতের নির্দেশে অযোগ্যরা চাকরি হারাতে শুরু করেছে। আগামী মাসের মধ্যে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের সম্ভাবনা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।