আগে সিদ্ধান্ত নিলে ৭০০ কৃষকের অকালে প্রাণ যেত না: বরুণ গান্ধী

News Desk: বেশ কিছুদিন ধরেই দলের লাইনের বাইরে গিয়ে কথা বলছেন বিজেপির তরুণ সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi)। এবার বরুণের নিশানা থেকে ছাড় পেলেন না…

Varun Gandhi

News Desk: বেশ কিছুদিন ধরেই দলের লাইনের বাইরে গিয়ে কথা বলছেন বিজেপির তরুণ সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi)। এবার বরুণের নিশানা থেকে ছাড় পেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)।

কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে কার্যত সরাসরি মোদিকে কটাক্ষ করলেন বরুণ। শনিবার বরুণ অনলাইনে মোদিকে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে বরুণ বলেছেন, যদি কিছুদিন আগে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হত তবে ৭০০ কৃষককে (farmer) অকালে প্রাণ হারাতে হত না।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

একইসঙ্গে ওই চিঠিতে বরুণ ফের একবার লখিমপুর (Lakhimpur Khari) খেরির ঘটনার কথা উল্লেখ করে মোদি তথা বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। বরুণ এদিন বলেছেন, লখিমপুরের ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। তাই লখিমপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে এই বিজেপি (bjp) সাংসদ মূলত চারটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন।

BJP MP Varun Gandhi criticized the Centre's agricultural policy

প্রথম থেকেই বরুণ আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে ছিলেন। মাত্র একদিন আগেই নাটকীয় ভঙ্গিমায় কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি। আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গেই শনিবার বরুণ মোদিকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে বিজেপির এই বেসুরো সাংসদ বলেছেন, গত একবছরে আন্দোলন করতে গিয়ে ৭০০ কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত কৃষকদের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।

একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, গত এক বছরে কৃষকদের নামে বহু মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেগুলি অবিলম্বে তুলে নিতে হবে। আপনার অনেক বড় হৃদয় সেজন্যই আপনি কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছেন। এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু যদি এই সিদ্ধান্তই কিছুদিন আগে নিতেন তাহলে আমরা ৭০০ কৃষক ভাই-বোনকে হারাতাম না। বরুণ তাঁর চিঠিতে আরও বলেছেন, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার বিষয়েও সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তবে মৌখিক নয় এ ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত। পাশাপাশি লখিমপুরে চার কৃষককে পিষে মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে যত শীর্ঘ সম্ভব কড়া শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন বরুণ।

লখিমপুরের ঘটনার কথা তুলে ধরে বরুণ তাঁর চিঠিতে আরও লিখেছেন, দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা তথা অন্নদাতাদের নিয়ে অনেক আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। দলের উচিত ওই নেতাদের এ ধরনের মন্তব্যের জন্য কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। ইতিমধ্যে বরুণের এই খোলা চিঠি দেশের রাজনীতিতে আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ সম্প্রতি বরুণের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে।

যে কারণে বরুন এবং তাঁর মা সাংসদ মানেকা গান্ধীকে বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতি থেকে ছেঁটে ফেলেছে। পাশাপাশি গত দু’দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, বরুণ গান্ধী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। এসবের কারণেই বরুণের পথচলা নিয়ে অনেকেই কৌতুহলী হয়ে উঠেছেন। আগামী দিনে বরুণের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হয় তা নিয়ে দিল্লির রাজনৈতিক বাতাসেও নানা জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে।