দেশ আলোড়িত: প্রকাশ্যে শিক্ষিকাদের বিষ পান নিয়ে ‘নীরব’ মমতা

নিউজ ডেস্ক: বেতন বৈষম্য ও দূরে বদলির প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতায় বিক্ষেভকারী ৫ শিক্ষিকা বিষ পান করেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী…

Teachers protest

নিউজ ডেস্ক: বেতন বৈষম্য ও দূরে বদলির প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতায় বিক্ষেভকারী ৫ শিক্ষিকা বিষ পান করেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও নীরব। ঘটনার জেরে আলোড়িত দেশ।

প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রী কেন নীরবতার পথ নিয়েছেন
মঙ্গলবার কলকাতায় বিকাশ ভবনের সামনে চরম নাটকীয় পরিস্থিতিতে ৫ জন শিক্ষিকা প্রকাশ্যে বিষ পান করেন। বুধবার পর্যন্ত মু়খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে নীরব। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নীরব। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল ক্ষোভ শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনার বন্যা বইছে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

স্বাধীনতার পরে পশ্চিমববঙ্গ, দুটি রাজনৈতিক জমানা
কংগ্রেস, বামফ্রন্টের আমলে যা হয়নি তা হয়েছে মঙ্গলবার। পাঁচ শিক্ষিকা প্রকাশ্যে বিষ পান করেন। বিষের ফেনা ওঠা মুখে চিৎকার করে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করছিলেন তাঁরা।

টানা তিনবার জয়ী হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জমানা চলছে রাজ্যে। এই মমতা জমানা আগের দুই রাজনৈতিক জমানার তুলনায় অনেকবেশি উন্নয়নমুখী বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সরকারের আমলেই যখন বেতন বৈষম্য, দূরে বদলির বিরোধিতা করে শিক্ষক আন্দোলন চলছিল তখনই ঘটেছে বিষ পান করার ঘটনা। কলকাতায় বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকারা যেভাবে গলায় বিষ ঢেলেছেন তাতে শিহরিত সবাই।

অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে ত্রিপুরায় গিয়ে সে রাজ্যের ভয়াবহ বেকারত্বের বিষয় ও সেখানকার ১০৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকার কর্মচ্যুতি নিয়ে প্রবল সরব। খোদ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরার গত বাম জমানা ও বর্তমান বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের কর্মসংস্থান ইস্যুতে প্রবল সরব হয়েছিলেন। তিনিই এখন নিজ রাজ্যে পাঁচ শিক্ষিকার বিষ পান নিয়ে ‘মুখ লুকিয়েছেন’ বলে কটাক্ষ বিরোধীদের।

ত্রিপুরার কর্মচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের আত্নহত্যার পাশাপাশিপশ্চিমবঙ্গের ছবিটা হচ্ছে রাজপথে শিক্ষিকারা বিষ পান করছেন। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তাদের আন্দোলন চলছেই।