চলতি আইপিএল (IPL 2022) যত শেষের দিকে এগোচ্ছে, ততই যেন জটিল হচ্ছে প্লে-অফের অঙ্ক। এখনও পর্যন্ত পয়েন্ট তালিকার যা অবস্থা, তাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস ছাড়া সাতটি দলের সামনেই সুযোগ রয়েছে প্লে-অফে যাওয়ার। একমাত্র দল হিসাবে ইতিমধ্যেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে গুজরাট টাইটান্স।
শুক্রবার জিতলেই কার্যত প্লে-অফের টিকিট পাকা করে ফেলবে আরসিবি, এমনই একটা সমীকরণ দেখা গিয়েছিল। আবার পাঞ্জাব কিংসও যদি নিজেদের বাকি তিনটি ম্যাচে জয় পায়, তাহলে তাদেরও অবস্থা একই রকম হবে। এদিন কিন্তু সেই যুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে টেক্কা দিয়ে গেল কিংসরা। ৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ফাফ ডু প্লেসির দলকে হারিয়ে যেমন নিজেদের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াল মায়াঙ্ক অ্যান্ড কোং, ঠিক তেমনই অপেক্ষা দীর্ঘয়িত হল আরসিবির।
জয় ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এই চিন্তা-ভাবনা নিয়েই শুরু থেকে ঝড় তোলেন জনি বেয়ারস্টো। মাত্র ২৯ বলে ৬৬ রানে ধামাকাদার ইনিংস খেলে যান তিনি। আর এক ইংরেজ তারকা লিয়াম লিভিংস্টোনও পিছিয়ে ছিলেন না। ৪২ বলে ৭০ রান করেন এই অলরাউন্ডার। আর দুই তারকার দাপটে প্রথমে ব্যাট করে ২০৯ রান তোলে পাঞ্জাব। তবে উইকেট পতনের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। বিশেষ করে ইনিংসের শেষ দিকে। এই রান তুললেও ৯ উইকেট হারিয়েছে প্রীতির দল। যার মধ্যে একাই চারটি উইকেট তুলে নেন হর্ষল প্যাটেল। দুটি উইকেট পান হাসারাঙ্গা।
পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না আরসিবির সামনে। বিরাট কোহলি শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু ২০ রান করে রাবাডার বলে রাহুল চাহারের হাতে জমা হন তিনি। ফলে ব্যর্থ বৃত্ত থেকে যে বেরোতে পারলেন না ভিকে, তা বলাই যায়। এরপরই ফাফ এবং মহীপাল লোমরোরকে ফিরিয়ে বেঙ্গালুরুকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ঋষি ধাওয়ান। তরুণ রজত পাতিদারকে (২১ বলে ২৬) সঙ্গে নিয়ে ম্যাক্সওয়েল (২২ বলে ৩৫) চেষ্টা করেছিলেন দলকে টানার। কিন্তু ২০০-র ওপর রান তাড়া করার চাপ দু’জনের কেউই সামলাতে পারেননি।
আরসিবির শেষ ভরসা কার্তিক-শাহবাজ জুটিও পারেননি অসাধ্য সাধন করতে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট খুইয়ে ১৫৫ রানে থমকে যায় আরসিবির ইনিংস। রাবাডা নেন তিনটি উইকেট। দুটি করে উইকেট পান রাহুল চাহার ও ঋষি ধাওয়ান।