মোদীর নেতৃত্বে নারী উন্নয়নে ১১ বছরের সাফল্য উদযাপন

আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (modi) দূরদর্শী নেতৃত্বে নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের ১১ বছর উদযাপন করছি। গত ১১ বছরে ভারতের কোটি কোটি নারীর জন্য সুযোগ,…

modi in narikalyan

আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (modi) দূরদর্শী নেতৃত্বে নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের ১১ বছর উদযাপন করছি। গত ১১ বছরে ভারতের কোটি কোটি নারীর জন্য সুযোগ, সম্মান এবং নেতৃত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’

‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ থেকে ‘স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া’, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি থেকে ডিজিটাল দক্ষতা, প্রতিরক্ষা, রাজনীতি এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত ও চিকিৎসা (STEMM) ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্ব—এই সময়কাল ভারতের নারী শক্তির ক্ষমতায়নের এক অভূতপূর্ব গল্প রচনা করেছে। এটি শুধুমাত্র নারীর ক্ষমতায়ন নয়, বরং ভারতের উন্নয়নের দায়িত্ব দেশের কন্যাদের হাতে তুলে দেওয়ার এক মহান যাত্রা।

   

মোদী (modi) সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ গত ১১ বছরে নারীদের জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেছে। ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প কন্যাসন্তানের জন্ম ও শিক্ষার উপর জোর দিয়েছে। এর ফলে কন্যাশিশুর জন্মের হার উন্নত হয়েছে এবং মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। উচ্চশিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের উপস্থিতি

ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের উপস্থিতি এখন অতীতের তুলনায় অনেক বেশি। এই শিক্ষিত নারীরা কেবল নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ছেন না, বরং দেশের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ‘প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা’ এবং ‘মুদ্রা যোজনা’ নারীদের জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ নারী ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং নিজেদের ব্যবসা শুরু করার জন্য ঋণ পেয়েছেন। ‘স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া’ প্রকল্প নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা প্রদান করেছে। ফলে গ্রামীণ এবং শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই নারীরা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত করা

এই উদ্যোগগুলো নারীদের (modi) অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত করার পাশাপাশি তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এই ১১ বছরে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীতে নারীদের উপস্থিতি বেড়েছে। মহিলা পাইলটরা এখন যুদ্ধবিমান পরিচালনা করছেন, যা কিছু বছর আগেও অকল্পনীয় ছিল।

রাজনীতিতে নারীদের (modi) প্রতিনিধিত্বও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে পার্লামেন্ট পর্যন্ত নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’ নারীদের জন্য আইনসভায় সংরক্ষিত আসন নিশ্চিত করেছে, যা ভবিষ্যতে নারী নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নারীদের অবদান অসাধারণ।

Advertisements

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)-তে নারী

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)-তে নারী বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান এবং মঙ্গলযানের মতো মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। STEMM ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে, যা তাদের এই পুরুষ-প্রধান ক্ষেত্রে প্রবেশের পথ সুগম করেছে। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্কিল ইন্ডিয়া’ প্রকল্পগুলো নারীদের প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করেছে। গ্রামীণ নারীরা এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রি করছেন এবং নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা 

নারীদের (modi) নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে মোদী সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা এবং কঠোর শাস্তির বিধান করা হয়েছে। ‘উজ্জ্বলা যোজনা’-র মাধ্যমে কোটি কোটি গ্রামীণ নারীকে ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘর দেওয়া হয়েছে, যা তাদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর মাধ্যমে নারীদের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা তাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।

নারীদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন। ‘প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনা’ মাতৃত্বকালীন সুবিধা এবং শিশু স্বাস্থ্যের জন্য আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত সহায়তা প্রদান করছে। এই প্রকল্পগুলো নারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পাশাপাশি তাদের স্বাবলম্বী করে তুলছে।

গত ১১ বছরে নারীরা (modi) দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে কর্পোরেট বোর্ডরুম পর্যন্ত, নারীরা তাদের প্রতিভা ও নেতৃত্বের দক্ষতা প্রমাণ করছে। মোদী সরকারের নীতিগুলো নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পরিবেশ প্রদান করেছে। নারীরা এখন পাইলট, বিজ্ঞানী, আইন প্রণেতা, সৈনিক এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে পরিবর্তনকারী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন।

আলিপুরদুয়ারে মিলল বিরল গোলাপি কলা গাছ, চাঞ্চল্য

এই উদযাপন অতীতের (modi) সাফল্যের পাশাপাশি ভবিষ্যতের সম্ভাবনারও। নারী শক্তি ভারতের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে নারীরা এখন শুধুমাত্র স্বপ্নদ্রষ্টা নয়, স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী। তাদের হাতে ভারতের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে, এবং তারা এই দায়িত্ব পালনে সফল। ভবিষ্যতে নারীদের জন্য আরও বেশি সুযোগ, নিরাপত্তা এবং সম্মান নিশ্চিত করতে হবে। নারী শক্তির হাত ধরে ভারত একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে, এবং এই ১১ বছরের যাত্রা আমাদের সকলের গর্ব।