বিজয় মাল্যর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মোদী সরকারকে তুলোধোনা কংগ্রেসের

 কংগ্রেস (congress) পলাতক মদ ব্যবসায়ী কিংফিশারের প্রাক্তন মালিক বিজয় মাল্যর একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মোদী সরকারের উপর তীব্র কটাক্ষ করেছে। মাল্য দাবি করেছেন যে ২০১৬…

congress slad modi govt

 কংগ্রেস (congress) পলাতক মদ ব্যবসায়ী কিংফিশারের প্রাক্তন মালিক বিজয় মাল্যর একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মোদী সরকারের উপর তীব্র কটাক্ষ করেছে। মাল্য দাবি করেছেন যে ২০১৬ সালে দেশ ছাড়ার আগে তিনি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

কংগ্রেসের বিবৃতি (congress)

কংগ্রেস (congress) এই মন্তব্যের উল্লেখ করে বলেছে, “নরেন্দ্রের পুরো ব্যবস্থাই আত্মসমর্পণে পরিণত হয়েছে।” এছাড়াও, বিরোধী কংগ্রেস মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে বলেছে, “মোদী সরকারের ‘পকোড়া অর্থনীতি’ এখন ‘ভাগোড়া অর্থনীতি’তে রূপান্তরিত হয়েছে।” কংগ্রেস প্রায়শই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০১৮ সালের একটি মন্তব্যের উল্লেখ করে ‘পকোড়ানমিক্স’ শব্দটি ব্যবহার করে, যেখানে মোদী বলেছিলেন যে পকোড়া বিক্রি করাও এক ধরনের কর্মসংস্থান।

   

বিজয় মাল্য, যিনি কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন মালিক এবং ব্যাঙ্কগুলোর কাছে ৯,০০০ কোটি টাকার ঋণখেলাপির অভিযোগে অভিযুক্ত, ২০১৬ সালে ভারত থেকে পালিয়ে যান। সম্প্রতি তিনি দাবি করেছেন যে তিনি দেশ ছাড়ার আগে অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

এই মন্তব্য কংগ্রেসকে (congress) মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের নতুন সুযোগ দিয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাটে এক্স-এ পোস্ট করে বলেন, “বিজয় মাল্য বলছেন তিনি জেটলিজির সঙ্গে কথা বলে দেশ ছেড়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে মোদী সরকার অর্থনৈতিক অপরাধীদের পালানোর সুযোগ দেয়।

নরেন্দ্র মোদীর পুরো ব্যবস্থাই আত্মসমর্পণে পরিণত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “মোদীজি যখন পকোড়া বিক্রি করে চাকরির কথা বলেন, তখন তিনি ভুলে যান যে তার সরকারের অধীনে মাল্যা, নীরব মোদী, মেহুল চোকসির মতো ভাগোড়ারা পালিয়ে গেছে। এটাই তাদের ‘ভাগোড়া অর্থনীতি’।”

কংগ্রেস (congress) অভিযোগ করেছে যে মোদী সরকার অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। দলটি দাবি করেছে, মাল্যর মতো ব্যক্তিরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পেরেছেন।

কংগ্রেস নেতা(congress) জয়রাম রমেশ বলেন, “মাল্যর মন্তব্য প্রমাণ করে যে মোদী সরকারের তথাকথিত ‘শক্তিশালী’ শাসন ব্যবস্থা কতটা দুর্বল। যদি মাল্য সত্যিই জেটলির সঙ্গে কথা বলে দেশ ছেড়ে থাকেন, তাহলে এটি সরকারের ব্যর্থতার প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, “এই সরকার সাধারণ মানুষের জন্য নয়, ধনী ও প্রভাবশালীদের জন্য কাজ করে।”

ব্যাঙ্ক জালিয়াতি এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ

বিজয় মাল্যর বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন, এবং ভারত সরকার তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রত্যর্পণ মামলা চালাচ্ছে। তবে, তার সাম্প্রতিক মন্তব্য রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিজেপি এই অভিযোগের জবাবে বলেছে যে মাল্যার মন্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি কংগ্রেসের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “কংগ্রেস (congress)মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। মাল্যর মামলা আদালতে বিচারাধীন, এবং আমাদের সরকার তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সব পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

Advertisements

‘পকোড়ানমিক্স’

কংগ্রেস (congress)তাদের সমালোচনায় ‘পকোড়ানমিক্স’ শব্দটি ব্যবহার করে মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতির ব্যর্থতা তুলে ধরেছে। ২০১৮ সালে মোদী একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “পকোড়া বিক্রি করাও একটি চাকরি।” এই মন্তব্যের পর থেকে কংগ্রেস এটিকে বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে সরকারের উদাসীনতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

সুপ্রিয়া শ্রীনাটে বলেন, “মোদীজি যখন পকোড়া বিক্রির কথা বলেন, তখন তিনি ভুলে যান যে তরুণরা চাকরি চায়, পকোড়া বিক্রি নয়। তার সরকার অর্থনৈতিক অপরাধীদের পালাতে সাহায্য করেছে, আর এটাই তাদের ‘ভাগোড়া অর্থনীতি’।”

এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। কংগ্রেস(congress) দাবি করেছে যে মোদী সরকারের অধীনে অর্থনৈতিক অপরাধীরা সুরক্ষিত, যখন সাধারণ মানুষ বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে। জয়রাম রমেশ বলেন, “মাল্য, নীরব মোদী, মেহুল চোকসির মতো ব্যক্তিরা সরকারের নাকের ডগায় পালিয়ে গেছে। এটি মোদী সরকারের শাসনের ব্যর্থতার প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, “সরকারের উচিত জনগণের কাছে এই ব্যর্থতার জবাব দেওয়া।”

Vivo ইউজারদের জন্য সুখবর! অ্যান্ড্রয়েড ১৬ আপডেট পাবে বেশ কিছু পুরনো ফোন, দেখুন তালিকা

বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন

এই বিতর্কের মধ্যে বিজেপি (congress)দাবি করেছে যে তারা অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা বলেছে, মাল্যার প্রত্যর্পণের জন্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, এবং কংগ্রেস এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে। বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “কংগ্রেসের সময়ে এই ধরনের অপরাধীরা সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করত। আমাদের সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।”

এই ঘটনা আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কংগ্রেসের ‘ভাগোড়া অর্থনীতি’ শব্দটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং #BhagodaEconomics হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করছে। এই বিতর্ক মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতি এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে, তবে মাল্যর মন্তব্য সরকারের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস (congress) দাবি করেছে যে তারা জনগণের পক্ষে কথা বলছে এবং সরকারের ব্যর্থতাগুলো তুলে ধরছে। তবে, বিজেপি বলছে যে কংগ্রেস শুধু রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এই ঘটনাকে ব্যবহার করছে। এই বিতর্ক আগামী দিনে আরও জোরালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ বিরোধী দলগুলো এটিকে নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে।