পূজা খেদকরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং বিতর্কের মাঝেই এ বার এই প্রবেশনারি আইএস-কে তলব করল লালবাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের নোটিসে বলা হয়েছে, তাঁর প্রশিক্ষণও আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার, ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে সংরক্ষণ-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছিল পূজার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এক সদস্যের একটি তদন্তকমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত চলাকালীনই পূজাকে উত্তরাখণ্ডের মুসৌরিতে আমলাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে তলব করা হয়েছে।
চাকরির জন্য ইউপিএসসিতে যে সব শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন পূজা, সেই সবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমবিবিএস পড়ার সময়ে পূজা ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবহার করেছিলেন, জমা করেছিলেন প্রতিবন্ধী সংশাপত্রও। তবে তাঁর শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কোনও লক্ষণ তেমনভাবে সামনে আসেনি বলেই জানা গিয়েছে।
পূজার বিরুদ্ধে আগেই ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, ইউপিএসসি পরীক্ষায় তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত সংরক্ষণের সুযোগ নিয়েছিলেন। অথচ মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময়ে জাতিগত সংরক্ষণের সুবিধা নিতে ওবিসি নোম্যাডিক ট্রাইব-৩ ক্যাটেগরিতে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর কলেজের ডিরেক্টরের দাবি, ২০০৭ সালে ভর্তির সময়ে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট পূজা জমা দিয়েছিলেন, সেখানে প্রতিবন্ধকতার কোনও উল্লেখ ছিল না। তবে ২০২২ সালে আংশিক প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন।
নিয়োগের আগে ২০২২ সালে এমসে প্রতিবন্ধকতার পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হলেও একাধিক বার পূজা তা এড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও তিনি কী ভাবে চাকরি পেলেন, উঠছে প্রশ্ন। আজ পূজা অবশ্য দাবি করেছেন, সংবাদমাধ্যম যে ভাবে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছে, তা ঠিক নয়। পূজা জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটির সামনে শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছেন। কমিটি যে রিপোর্ট দেবে, মেনে নেবেন।