Sagardighi by-elections: সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের ভালো ফলে ‘বিস্ফোরক’ মমতা

সাগরদিঘির উপনির্বাচনে (Sagardighi by-elections) কংগ্রেসের (Congress ) ফলাফল নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাম-কংগ্রেস জিতলেও তাঁদের নৈতিক হার হয়েছে।

mamata banerjee

সাগরদিঘির উপনির্বাচনে (Sagardighi by-elections) কংগ্রেসের (Congress ) ফলাফল নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাম-কংগ্রেস জিতলেও তাঁদের নৈতিক হার হয়েছে। এমনটা দাবি করে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না করে বরং মানুষের সঙ্গে জোট করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গণতন্ত্র বিশ্বাস করলে বিরোধীদের পাওয়া ভোট মেনে নিতে হবে। কটাক্ষ সুকান্তর।

বালুঘাটের বিজেপি সাংসদের কথায়, লুট করে ভোট জেতা বা ছাপ্পা দিয়ে ভোট জেতার কোনও মানে হয় না। আপনি গণতন্ত্র যদি সত্যি বিশ্বাস করেন তাহলে বিরোধীদের ভোট দিলে সেটা আপনাকে মেনে নিতে হবে। একইসঙ্গে বাম ও কংগ্রেস জোটের জয় নিয়ে সুকান্তর মন্তব্য, আমাদের বিরোধীরাও অনেক সময় জেতে। আমরা সহাস্য বদনে সেটা মেনে নিই। জানি পরের বার আরও বেশি খেটে, আরও বেশি লড়াই করে আমরা ফিরে আসব।

   

এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সুকান্তর মন্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী খুব বেশি হতাশ হননি। মনে মনে আনন্দই পাচ্ছেন। কংগ্রেস এবং সিপিএম বাড়লে মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধা। যেহেতু বিরোধী ভোট সিংহভাগ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আছে। তাই বিভ্রান্ত করা যাবে যে বিরোধী কে! তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো যায় বলেই তো ৭৭টা ভোট পেয়েছিলাম। বহু সিট অনেক কম ভোটে পরাজিত হয়েছি। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছিলেন। হারানো যায় না এরকম বিষয় নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু দিনের বাসনা, বিরোধী ভোট যেন ভাগ হয় এবং তৃণমূল কংগ্রেস যেন রাজ করে।

প্রসঙ্গত এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরদিঘির ফলাফল নিয়ে বলেন, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস জিতলেও ওদের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। তৃণমূল হারলেও আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে। তাঁদের দাবি, ওখানে অনৈতিক জোট হয়েছে। বিজেপি ওদের ভোট কংগ্রেসকে দিয়েছে। আমার প্রশ্ন, এখন চুপি চুপি করছে কেন? আজ অধীর চৌধুরী এগুলি স্বীকার করে নিয়েছে। সাম্প্রদায়িক তাস খেলছে কংগ্রেস। তাঁর সংযোজন, আমাদের কাছে এটা শিক্ষা। আমাদের কংগ্রেস এবং সিপিএমের কথা শোনা উচিত না। তবে তৃণমূল এই তিন দলকে একসঙ্গে হারানোর জন্য প্রস্তুত।