IPL 2023 at a glance:: রবিবার ফাইনালেই ইতি টানবে আইপিএল উৎসব

আইপিএল (IPL 2023 ) শেষ হতে আর দু’টো ম্যাচ বাকি। শুক্রবার কোয়ালিফায়ার ও রবিবার ফাইনাল হলেই এই বছরের মতো আইপিএল ইতি টেনে দেবে।

IPL Festival

আইপিএল (IPL 2023 ) শেষ হতে আর দু’টো ম্যাচ বাকি। শুক্রবার কোয়ালিফায়ার ও রবিবার ফাইনাল হলেই এই বছরের মতো আইপিএল ইতি টেনে দেবে। প্রতিবারে মতো এইবারেও ব্যাট বলের সাথে রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা কম হল না। আইপিএলের একেবারে শেষ অধ্যায়ে এসে একবার ফিরে দেখা যাক কিছু সংখ্যার খেলা।

২৪এ মে চেন্নাইয়ের চেপকে এলিমিনেটর ম্যাচে আকাশ মাধওয়াল টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স দিলেন। এছাড়াও তিনি প্রথম বোলার হিসেবে আইপিএলে প্লে-অফ ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করেন।

   

মাধওয়ালের পারফরম্যান্স শুধুমাত্র এই আইপিএলে যে কোনও বোলারের সেরা নয়, গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধেও সেরা। ২৭এ এপ্রিল, ২০২২এ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সানরাইজার্সের হয়ে উমরান মালিক ২৫ রানে ৫ উইকেটকে নেন। সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যায় মাধওয়াল।

অনিল কুম্বলে (১৮ এপ্রিল, ২০০৯-এ কেপটাউনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বিরুদ্ধে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ৫ রানে ৫ উইকেট) এবং মাধওয়াল এখন আইপিএলে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড রেখেছেন নিজেদের নামে।

আকাশ মাধওয়াল এই আইপিএল-এ পাঁচ উইকেট নেওয়া তৃতীয় বোলার হযলেন। প্রথম জন হলেন মার্ক উড – ১লা এপ্রিল লখনউতে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টস বিরুদ্ধে ১৪ রানে ৫ উইকেট নেন। দ্বিতীয় জন হলেন ভুবনেশ্বর কুমার- সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে আমেদাবাদে ৩০ রানে ৫ উইকেট নেন।

এইবার ৩৫ বার ২০০র ওপর টার্গেট দেওয়া হয়েছে যা যে কোনো সিজনের চেয়ে বেশি। ২০০ রান তাড়া কযা মোটেই সোজা নয়। তবে ৮ বার ২০০+ রান তাড়া করেও ম্যাচ জেতা হয়- যেটি আবারও একটি রেকর্ড। ২০০-র ওপর রানা তাড়া করে জেতার তালিকায় রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ানস (চার বার), কোলকাতা নাইট রাইডার্স (এক বার), লখনউ সুপার জায়ান্টস (এক বার), পাঞ্জাব কিংস (একবার) এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (একবার)।

এই সংস্করণে পনেরটি ম্যাচে মোট ৪০০র বেশি রান ওঠার সাক্ষী হয়েছে – একটি সর্বকালের রেকর্ড। মুম্বাই (ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম) এ চারবার, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কলকাতা ও মোহালিতে দু’বার, এবং জয়পুর, আহমেদাবাদ এবং ধর্মশালায় একবার।

পনেরো ম্যাচে গড়ে ১৭.৩৮ রানে ২৬ উইকেট নিয়ে, এই আইপিএলে মোহাম্মদ শামি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। রশিদ খান গড়ে ১৯ রানে নিয়েছেন ২৫টি উইকেট। রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।

আইপিএলের দু’ম্যাচ বাকি থাকতেও ফ্যাফ ডু প্লেসির কাছে রয়েছে সর্বচ্চ রানের শিরোপা। ১৫ ইনিংসে ৭৩০ রান করেছেন, গড় ৫৬.৬৫। ৩৬টি ছক্কা মেরেছেন তিনি যা কোনোবার কেউ করতে পারেনি।

৫০০র ওপর রান করা ব্যাটারদের মধ্যে সুর্যকুমার যাদবের স্ট্রাইক রেট সব থেকে বেশি (১৮৩.৭৮)। ১৫ ইনিংস খেলে রান করেছেন ৫৪৪, গড় ৪১.৮৪। করেছেন চারটি অর্ধশতরান ও একটি সেঞ্চুরি।

২৯টি ছয় মারেন রিঙ্কু সিং, যে কোনো কেকেআর ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে ২২টি মারেন রান তাড়া করতে নেমে, যা বর্তমান প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি।

ডু প্লেসিস আটটি অর্ধশতক করেছেন এবং কোহলি করেছেন দুটি শতরান এবং ছয়টি অর্ধশতক। আইপিএল-এর এই সংস্করণে আর কোনো ব্যাটারের কাছে আটটি বা তার বেশি পঞ্চাশ বা তার বেশি রানের ইনিংস নেই।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মোট পাঁচ উইকেটে ২১৮ – এই আইপিএলে তাদের সর্বকালের সেরা স্কোর। আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে যে কোনও দলের করা সর্বোচ্চ স্কোর এটি।

আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, এগারোটি শতরান নিবন্ধিত হয়েছে – শুভমান গিল (দুই), বিরাট কোহলি (দুই), হ্যারি ব্রুক, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, যশস্বী জয়সওয়াল, সূর্যকুমার যাদব, প্রভসিমরান সিং, হেনরিক ক্লাসেন এবং ক্যামেরন গ্রিন। বিরাট কোহলি আইপিএলে (৭) সর্বোচ্চ শতরানের রেকর্ড গড়েছেন। তাঁর পিছনেই রয়েছেন ক্রিস গেইল (৬)।

এই আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১০৮৫টি ছক্কা মারা হয়েছে – একটি আইপিএল মরসুমে একটি সর্বকালের রেকর্ড। য২০২২ সালে মারা ১০৬২টি ছক্কার রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে এ বছর।

বিরাট কোহলি ও ফ্যাফ ডু’প্লেসির পার্টনারশিপে চোদ্দ ইনিংসে মোট ৯৩৯ রান হয়েছে, গড় ৬৭.০৭। এর মধ্যেই রয়েছে তিনটি ১০০ রান ও পাঁচটি ৫০ রানে পার্টনারশিপ। প্রথম উইকেটে এতো রানের পার্টনারশিপ রেকর্ড আর কারর নেই।