সন্দেশখালি জুড়ে আবারও উত্তেজনার পরিবেশ। আজ বুধবার সন্দেশখালির দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুখদোয়ানি বাজারে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে ওঠে। অবশেষে ব়্যাফ এসে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। ওদিকে জনতার হাত থেকে বাঁচতে ঘরে ঢুকে তালা বন্ধ করা হয় সঞ্জীব আড়ি ও দেবব্রত ভুঁইয়া নামে অভিযুক্ত ২ তৃণমূল নেতাকে।
এর পাশাপাশি স্থানীয়রা দাবি করে সুখদোয়ানি বাজারে একটি কালভার্ট তৈরির জন্য বেশ কয়েক মাস ধরে কিছু ইঁট মজুত করে রাখা ছিল সেই স্থানে। সরকারি সেই ইঁট বুধবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কয়েকজন লোক। তাদের প্রশ্ন করে স্থানীয়রা জানতে পারেন, তৃণমূল নেতা সঞ্জীব আড়ি ও দেবব্রত ভুঁইয়ার নির্দেশেই তারা ইঁট সরাতে এসেছেন এখানে। এর পরই তাদের বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার সাথে গ্রামবাসীরা সুখদোয়ানি বাজারে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ওদিকে গ্রামবাসীদের একত্রিত হতে দেখেই ঘরে ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে দেন ২ তৃণমূল নেতাকে পুলিশ কর্মীরা।
অপর পক্ষে এক বিক্ষোভকারী জানান, আমাদের এখানে কালভার্ট হবে বলে কয়েক হাজার ইঁট রাখা ছিল। বুধবার সকালে দেখি সেই ইঁট ইঞ্জিন ভ্যানে তুলছে কয়েকজন লোক। ওরা সরকারি ইঁট চুরি করার চেষ্টা করছিল। তা দেখে আমরা প্রতিবাদ জানাই। গ্রামবাসীদের রণমূর্তি দেখে ভীত হয়ে পিছু হটে দুষ্কৃতীরা। তবে আমাদের দ্রুত কালভার্ট নির্মাণ করে দিতে হবে তা না হলে আরও বড় বিক্ষোভ হবে এই সন্দেশখালির মাটিতে। এ ছাড়া যাদের নির্দেশে সরকারি ইঁচ চুরি হচ্ছিল তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে পুলিশকে। না হলে পূর্ব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে এখানে।
