
বহু চর্চিত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের (Tripura Election 2023) ভোট গণনা ঘিরে তীব্র সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গণনায় কারচুপি হবে এমন আশঙ্কা করে রাজ্যের বিরোধী দল সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে গণ জমায়েতের ডাক দিয়েছেন।
সিপিআইএম সূত্রে খবর, রাজ্যের সবকটি ভোট গণনা কেন্দ্রে জনতার জমায়েত হবে। বিভিন্ন আসনে বাম-কংগ্রেসেরের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করলেও তিপ্রা মথার তরফে এই গণ জমায়েতকে সমর্থন করা হয়। দলটির প্রধান রাজা প্রদ্যোত দেববর্মণের নির্দেশে মথার কাউন্টিং এজেন্টরা বাম ও কংগ্রেসের এজেন্টদের সাথেই গণনা কেন্দ্রে যাবেন।
বৃহস্পতিবার উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় তিন রাজ্য মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা। তবে সর্বাধিক চর্চিত ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী সহ কংগ্রেস, টিপ্রা মথার অভিযোগ, পরাজয় নিশ্চিত বুঝে শাসক বিজপি ভোট গণনা ভন্ডুল করতে মরিয়া। জীতেন্দ্র চৌধুরী রাজ্যের ২১টি গণনা কেন্দ্রের বাইরে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছেন। তাঁর আহ্বানকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস, টিপ্রা মথা। টিপ্রা মথা প্রধান রাজা প্রদ্যোত দেববর্মণের কটাক্ষ, এক্সিট পোল দেখার আগেই রাজ্যবাসী বিজেপিকে এক্সিট দরজা দেখিয়েছেন।
সর্বভারতীয় একাধিক এক্সিট পোলে জানানো হয়, এ রাজ্যে সরকার ধরে রাখার সম্ভাবনা বেশি বিজেপির। আর ত্রিপুরার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির অধিকাংশের এক্সিট পোল জানাচ্ছে সরকারে আসার সম্ভাবনা বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোটের। তবে তিপ্রা মথা হবে বড় ফ্যাক্টর।
এক্সিট পোল ঘিরে শাসক বিজেপি শিবির প্রাথমিক উচ্ছাসে বাজি ফাটাতে শুরু করে। তবে আগরতলার বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবর, বিজেপি নেতারা নিজেরাই এক্সিট পোল নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন। তাৎপর্যপূর্ণ, এক্সিট পোল বের হবার পর প্রদেশ বিজেপি নেতাদের তেমন উচ্ছাস দেখা যায়নি। আর বিরোধী বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও তিপ্রা মথার দাবি এই এক্সিট পোল বানানো। গণণা টেবিলে এজেন্ট পাওয়া যাবে না বলেই দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়তে এক্সিট পোল করানো হয়েছে।