Statue of Equality: ফের চিনের তৈরি মূর্তি উদ্বোধন করেছেন মোদী

স্ট্যাচু অফ ইউনিটির পর এবার স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিট্র (Statue of Equality) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার থেকে হায়দরাবাদে শোভা পাবে সাম্যের প্রতীক এই মূর্তি।…

স্ট্যাচু অফ ইউনিটির পর এবার স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিট্র (Statue of Equality) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার থেকে হায়দরাবাদে শোভা পাবে সাম্যের প্রতীক এই মূর্তি। মূর্তিটি ১১ শতকের হিন্দু সন্ন্যাসী রামানুচার্যের। ২১৬ ফুট উঁচু এই মূর্তি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামানুচার্যের এই মূর্তি জ্ঞান ও আদর্শের প্রতীক।

চিনের অ্যারোসান কর্পোরেশনকে ২০১৫ সালের আগস্ট এই মূর্তি তৈরির অর্ডার দেওয়া হয়। চিনেই মূর্তিটির ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। মূর্তিটি ১৬০০ টুকরো করে ভারতে আনা হয়। ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ শুরু হয় মূর্তিটির প্রতিস্থাপনের কাজ। মূর্তিটি প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ হতে প্রায় ১৫ মাস সময় লেগেছিল। ২১৬ ফুট উচ্চতার এই মূর্তিটিকে বসা অবস্থায় বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম। এটি পাঁচ রকম ধাতু মিশ্রিত একটি সংকর ধাতু দিয়ে নির্মিত। পাঁচটি ধাতুর মধ্যে আছে- তামা, রূপা, সোনা, দস্তা এবং টাইটানিয়াম। যার মধ্যে ৮০ শতাংশ তামা রয়েছে। শ্রী রামানুজাচার্য মূর্তির ১৪টি মডেল প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছিল। যার মধ্যে তিনটি মডেল 3D স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। এরপর চূড়ান্ত মডেলটি চীনে পাঠানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে খবর, রামানুচার্য ঐক্যের মতবাদ প্রচার করেছিলেন। বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে বাঁচতে শিখিয়েছিলেন। মূর্তির পর্দা উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মূর্তির মাধ্যমে রামানুজাচার্য আমাদের সাম্যের বার্তা দিচ্ছেন। ৫৪ ফুট উঁচু একটি বেদীর উপর বসানো হয়েছে মূর্তিটি। এর নাম বড় বেদী। তার নীচে রয়েছে প্রাচীন ভারতের পুঁথি সংক্রান্ত বৈদিক ডিজিটাল লাইব্রেরি ও রিসার্চ সেন্টার। এছাড়া এডুকোশনাল গ্যালারি ও থিয়েটারও রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম উঁচু স্ট্যাচু এটি। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী ১০৮ দিব্য দেশম পরিদর্শন করবেন। এগুলি স্ট্যাচুর আশপাশেই অবস্থিত।

রামানুচার্যের সহস্রাব্দ সমারোহ বা ১০০০তম জন্মদিনে এই এনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই সময়কে মূর্তি উন্মোচনের জন্য বেছে নেওয়া হয়। রামানুচার্যের সহস্রাব্দ সমারোহ উপলক্ষে ১২ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি ‘অষ্টাক্ষরী’ মন্ত্র উচ্চারণ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। শনিবার অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে উন্মোচিত হল স্ঠায়চু অফ ইয়ুয়ালিটি। অনুষ্ঠান চলবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে সি আর জানিয়েছেন, এই মূর্তির আকর্ষণে বহু পর্যটক এখানে আসবেন। শীঘ্রই অন্যতম পীঠস্থান হয়ে উঠবে এই জায়গা।

প্রসঙ্গত, গুজরাটের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ইতিমধ্যেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সর্দার বল্লবভাউ প্যাটেলের এই মূর্তি দেখতে বহু জায়গা থেকে পর্যটকরা ভিড় জমান। স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটিও এবার পর্যটকদের তালিকায় নতুন সংযোজন হতে চলেছে।