নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দেশে রবিবার পর্যন্ত ওমিক্রন (Omicron infected) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল পাঁচ। কিন্তু সোমবার সকালে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে হয়েছে ২১। নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে মহারাষ্ট্র ( Maharastra, Gujrat, Rajasthsn etc), রাজস্থান, গুজরাত, দিল্লি ও কর্নাটক থেকে।
করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে রুখতে ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (who) একাধিক সতর্কবার্তার কথা জানিয়েছে। হু-র সতর্কবার্তা মেনে কেন্দ্রীয় সরকারও (Central Government) দেশে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু তাতেও ওমিক্রনকে রোখা যাচ্ছে না।
ওমিক্রন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্রিটেন ও আমেরিকাতেও। আমেরিকার বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশের শরীরে ওমিক্রনের অস্তিত্ব মিলেছে। আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেনেও ওমিক্রন ক্রমশ আতঙ্ক হয়ে উঠছে। ব্রিটেনেও প্রতিদিনই নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। সেমবার দুপুর পর্যন্ত ব্রিটেনে আরও ৮৯ জনের শরীরে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটেনের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫০।
আমেরিকায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা জোর গতিতে বেড়ে চললেও মার্কিন প্রশাসনের অন্যতম স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যন্টনি ফাউচি জানিয়েছেন, ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ওমিক্রন প্রতিরোধ করতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করা যায়, অচিরেই ওমিক্রন প্রতিরোধ করা যাবে। তবে ফাউচির এই মন্তব্যেকে অনেকেই অশনিসঙ্কেত মনে করছেন। কারণ পূর্ববর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলেও শুরুর দিকে করোনাকে বিশেষ ধর্তব্যের মধ্যে আনা হয়নি। যে কারণে করোনা সবচেয়ে বড় মাপের প্রভাব ফেলেছিল আমেরিকায়। ফাউচির কথাতেও ওমিক্রনকে উপেক্ষা করার একটা ইঙ্গিত রয়েছে। এটাই মানুষের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
ভারতে নতুন করে মহারাষ্ট্রে ৭ জন এবং রাজস্থানের জয়পুরে ৯ জন এবং দিল্লিতে আরও একজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। মহারাষ্ট্রে যে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে এক মহিলা ও তাঁর দুই মেয়ে সম্প্রতি নাইজেরিয়া সফরে গিয়েছিলেন। একইভাবে এক ব্যক্তি সম্প্রতি ফিনল্যান্ড গিয়েছিলেন। এঁরা সকলেই ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে রাজস্থানে যে ৯ জন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য। কয়েক দিন আগেই পরিবারটি দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন। দিল্লিতেও ফের এক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন।
ওমিক্রনের এর হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। উল্লেখ্য, ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রনের সন্ধান মেলে। এই ভ্যারিয়েন্ট প্রাণঘাতী না হলেও অত্যন্ত সংক্রামক। ডেল্টার তুলনায় অনেক বেশি দ্রুতগতিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়ায়। এই মুহূর্তে বিশেষজ্ঞরা চলতি ভ্যাকসিনগুলির মাধ্যমে ওমিক্রন প্রতিরোধ করা যায় কিনা তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন।