Enforcement Directorate: অফিসারদের অন্তর্বর্তী স্বস্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি মিলল না

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের এই মুহূর্তে কোনওরকম অন্তর্বর্তী সুবিধা দেওয়া যাবে না। এই দাবি জানিয়ে একটি আবেদন করেছিলেন তৃণমূল…

ED abhisek

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের এই মুহূর্তে কোনওরকম অন্তর্বর্তী সুবিধা দেওয়া যাবে না। এই দাবি জানিয়ে একটি আবেদন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Avishek Banerjee)। ওই মামলায় মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi high court) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইডি অফিসারদের অন্তর্বর্তী স্বস্তি দেওয়ার বিষয়ে তারা কোনও রকম পাকা কথা দিতে পারছে না।

এদিন দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি রজনীশ ভাটনগরের (justice Rajnush Bhatnagar) এজলাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৌঁসুলি বলেন, এই মুহূর্তে মামলাটির তদন্ত এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এর আগে ইডি অফিসারদের একাধিকবার তলব করা হয়েছে। কিন্তু বারেবারেই তাঁরা সেই সমন এড়িয়ে গিয়েছেন। এই অবস্থায় যে কোন কিছুই হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট অফিসারদের অন্তর্বর্তী স্বস্তি দেওয়ার ব্যাপারে তিনি এখনই কোনও কথা দিতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডির বেশ কয়েকজন অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। অভিষেকের দায়ের করা ওই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করার আর্জি জানিয়ে ইডির পক্ষ থেকে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি রজনীশ ভাটনগরের এজলাসে ওই আবেদনের শুনানি চলছে।
এদিন আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জানিয়ে দেন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মাসে অর্থাৎ ২০২২- এর জানুয়ারিতে।

একই সঙ্গে বিচারপতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৌঁসুলির কাছে জানতে চান, পরবর্তী শুনানি হওয়ার আগে পর্যন্ত এই মামলায় ইডির অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তিনি কি এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন? বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, এই মুহূর্তে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে যে তদন্ত চলছে তা এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় রয়েছে। তাই এখনই তাঁদেরকে অন্তর্বর্তী সুবিধা দেওয়া যায়, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি তিনি দিতে পাচ্ছেন না।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। ওই এফআইআরে অভিষেক অভিযোগ করেন, অফিসাররা রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিক অনৈতিক কাজ করেছেন। ইডির অফিসাররা কার্যত প্রতারণা করেছেন। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট অফিসাররা তাঁদের ক্ষমতা ও আইনের অপব্যবহার করছেন। অভিষেকের আইনজীবী লুথরা আরও বলেন, অভিষেক অফিসারদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করলেও ইডি তাঁকে কোনও পার্টি করেনি।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী বলেন, এই মামলায় অভিষেককে পার্টি হিসেবে চিহ্নিত করার কোনও প্রয়োজন নেই। এই মামলায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যদি তদন্ত চালাতে চায় সেটা চালাতেই পারে। কিন্তু তাঁরা চাইছেন তদন্তের নামে ইডি অফিসারদের যেন অযথা হেনস্তা করা না হয়। কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় অভিষেকেই এফআইআর দায়ের করেছেন।

একইসঙ্গে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নিজেদের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এই মামলার তদন্ত করছে। নিজেদের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে তারা নতুন করে অফিসারদের বিরুদ্ধে অক্টোবর মাসে ফের সমন জারি করেছে। ইডির আইনজীবী আরও জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় যে তদন্ত চলছে সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কখনওই অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অফিসারদের কোনও প্রতিহিংসামূলক আচরণের নির্দেশ দেয়নি।

বরং অভিষেক এই মামলায় অনৈতিক সুবিধা ভোগ করছেন। কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো।পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সবদিক থেকেই তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে ২২ জুলাই ও ২১ আগস্ট যে সমন জারি করেছে তা কার্যত অবৈধ। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি ভাটনগর এদিন শুনানি স্থগিত রাখেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২২- এর জানুয়ারিতে।