একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও কয়লা চুরি কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না: নয়াদিল্লি

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দেশে প্রতি বছর কী পরিমান কয়লা চুরি (coal steeling) এবং কয়লার কালোবাজারি হয় সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হোক। বিগত তিন বছরে কি…

coal

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দেশে প্রতি বছর কী পরিমান কয়লা চুরি (coal steeling) এবং কয়লার কালোবাজারি হয় সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হোক। বিগত তিন বছরে কি পরিমাণ কয়লা চুরি হয়েছে? চুরির কারণে প্রতি বছরে সরকারের কি পরিমাণ রাজস্ব নষ্ট (revenue loss) হচ্ছে। কয়লা চুরি ও কয়লার কালোবাজারি বন্ধ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? বুধবার কয়লা ও খনি মন্ত্রীর (coal and mines minister) কাছে এই প্রশ্নগুলি রাখেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ প্রতিমা মন্ডল (Pratima modal)।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের ওই প্রশ্নের উত্তরে সংসদ বিষয়ক তথা কয়লা ও খনি মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, গোটা দেশে বিভিন্ন খনি থেকে প্রতিদিনই বেশ কিছু পরিমান কয়লা চুরি যায়। অত্যন্ত গোপনে এই কাজটি করা হয়। তাই কী পরিমান কয়লা চুরি যাচ্ছে বা তার মূল্য কত তার সঠিক হিসাব করা অত্যন্ত কঠিন এক বিষয়। তবে এই চুরি বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য প্রশাসন একযোগে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। খনি ও সংলগ্ন এলাকায় নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন কয়লা চুরির বিষয়টি রাজ্য সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা হল রাজ্যের ব্যাপার। তাই এধরনের চুরি-ডাকাতি বন্ধ করা রাজ্য সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কয়লা চুরি বন্ধ করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও খনি সংলগ্ন এলাকায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। বিভিন্ন কাঁটাযন্ত্রের সামনেও লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। স্থানীয় সমাজবিরোধী বা কয়লা মাফিয়াদের গতিবিধির উপরেও সতর্ক নজর রাখছেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। চুরির ঘটনায় নিয়মিত এফআইআরও দায়ের করা হয়। এই চুরি বন্ধ করতে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক।

মন্ত্রী এদিন পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জানান, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ১৪৮৯৭.২২ টন কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত কয়লার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬৬৫.৮৩ লাখ টাকা। এই চুরির ঘটনায় গোটা দেশে ৬২ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মন্ত্রীর পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা গিয়েছে, দুই ২০২০-২১ অর্থবর্ষে গোটা দেশে ১৬৭৭৪.৩৮ টন কয়লা উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৮০৩.৬৫ লক্ষ টাকা। সারা বছর বিভিন্ন রাজ্যে ৭২টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে গোটা দেশে ২৩২৯৬.২৪ টন কয়লা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কয়লার আনুমানিক মূল্য.১১১৯.০১৮ লাখ টাকা। ওই চুরির ঘটনায় ২৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।