প্যাংগং হ্রদে তৈরি চিনের সেতু ‘অবৈধ’, বরদাস্ত করবে না ভারত

আবারও একবার চিনকে নিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারত। প্যাংগং-এ চিনের তৈরি সেতু ‘অবৈধ দখলদারিত্ব’। শুক্রবার সংসদে এমনটাই বলছে সরকার। সরকারের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে…

আবারও একবার চিনকে নিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারত। প্যাংগং-এ চিনের তৈরি সেতু ‘অবৈধ দখলদারিত্ব’। শুক্রবার সংসদে এমনটাই বলছে সরকার।

সরকারের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে যে তারা আশা করে যে অন্যান্য দেশগুলি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে। প্যাংগং হ্রদে চিন যে সেতু নির্মাণ করছে, তা সরকার আমলে নিয়েছে। ১৯৬২ সাল থেকে চিনের অবৈধ দখলদারিত্বের অধীনে থাকা অঞ্চলগুলিতে এই সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ভারত সরকার কখনোই এই অবৈধ দখলদারিত্ব মেনে নেয়নি। সরকার বেশ কয়েকবার এটা স্পষ্ট করেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আশা করা হচ্ছে, অন্যান্য দেশগুলি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে।

প্রায় ৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই হ্রদের এক তৃতীয়াংশ ভারতের মধ্যে পড়ে। বিশিষ্ট মহলের আশঙ্কা, এই সেতু তৈরি হয়ে গেলেই তিব্বতের রুতোগে বিতর্কিত এলকায় চিনা সেনা ছাউনির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে পিপলস লিবারেশন আর্মি।

এদিকে জানুয়ারি মাসেই নয়াদিল্লির তরফে প্যাংগং হ্রদের উপর চিনা সেনার সেতু বানানোর কথা স্বীকার করা হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, ২০২০ সালের গালওয়ান-কাণ্ডের সময় প্যাংগং হ্রদের ওই জমি চিনের দখলে যায়নি। গিয়েছিল ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের সময়। তিনি বলেছিলেন দখল করা এলাকায় প্রায় ৬০ বছর আগে থেকেই পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করে চিন।