মহিলা সংরক্ষণ বিল বাস্তবায়নে কেন্দ্রের বড় পদক্ষেপ

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারত সরকার তড়িঘড়ি (Women’s reservation act)  মহিলা সংরক্ষণ আইনটি পাশ করানোর উদ্যোগ নেয়। যদিও এই আইনটি মহিলাদের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক…

Women’s Reservation Act in India’s Parliament Likely to Be Implemented from 2029 Lok Sabha Elections

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারত সরকার তড়িঘড়ি (Women’s reservation act)  মহিলা সংরক্ষণ আইনটি পাশ করানোর উদ্যোগ নেয়। যদিও এই আইনটি মহিলাদের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ ছিল, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগেই এটি (Women’s reservation act)  কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এমনকি বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই আইন বাস্তবায়নে ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য হিসেবে স্থির করা হয়েছে।(Women’s reservation act)  

২০১৯ সালে এই বিলটি সংসদে পাস হলেও, তা এখনও কার্যকর হয়নি। (Women’s reservation act)  বিশেষত, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলি এই বিলটির জন্য একজোট হয়ে সমর্থন জানিয়ে সরকারের চাপ সৃষ্টি করেছিল। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি, এবং(Women’s reservation act)  আরজেডির মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি এই বিলের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছিল। সোনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাবড়ি দেবী, ডিম্পল যাদব, মায়াবতী—সবাই একযোগে মহিলা সংরক্ষণ আইনটির পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।(Women’s reservation act)  

   

এই আইনটির অধীনে, দেশের আইনসভাগুলিতে ৩৩(Women’s reservation act)  শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মানে, দেশের আইনসভায় প্রতি(Women’s reservation act)  তিনজনের মধ্যে একজন মহিলা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন। এটাই ছিল মহিলা ক্ষমতায়ন এবং রাজনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিরোধী শিবিরের সমর্থনে বিলটি সংসদে পাশ হলেও, তা বাস্তবায়নে নানা বাধা সৃষ্টি হয়েছে(Women’s reservation act)  

বিলটি পাশ হলেও কার্যকর না হওয়ার কারণ(Women’s reservation act)  

মহিলা সংরক্ষণ আইনটি সংসদে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পাশ হয়েছিল। (Women’s reservation act)  এর পরেও আইনটির বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়েছে। কংগ্রেস এবং তৃণমূল(Women’s reservation act)  সহ বিরোধীরা আইনটি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যকর করার দাবি জানিয়েছিল। তবে সরকার সে পথে হাঁটেনি। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, এই আইন কার্যকর করার আগে দেশের লোকসভা এবং বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাস জরুরি। এ কারণে, সরকার জনগণনার প্রক্রিয়া চালু করতে চায়, যা ২০২১ সালে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি।(Women’s reservation act)  

সরকারের দাবি, জনগণনা শুরু হলে ২০২৬ সালে, এবং তারপর সেই তথ্যের ভিত্তিতে লোকসভা ও বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাস করা হবে। সুতরাং, ওই পুনর্বিন্যাসের পরই মহিলা(Women’s reservation act)  সংরক্ষণ আইন কার্যকর করার পরিকল্পনা। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে খবর, পুরো প্রক্রিয়াটি ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ হতে পারে এবং মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ তখন কার্যকর করা হবে।(Women’s reservation act)  

জনগণনা এবং আসন পুনর্বিন্যাস(Women’s reservation act)  

ভারতের জনগণনা প্রতি দশ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়, (Women’s reservation act)  তবে ২০২১ সালে পরিকল্পিত জনগণনা কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। এই জনগণনা প্রক্রিয়া ২০২৬ সালের মে মাসে শুরু হবে(Women’s reservation act)  এবং তার পর থেকেই আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হবে। আসন পুনর্বিন্যাসের জন্য জনগণনার তথ্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে দেশের জনসংখ্যার সঠিক পরিসংখ্যান থাকবে, যা আসনের সংখ্যা এবং বিভাজন নির্ধারণে সহায়ক হবে(Women’s reservation act)  

Advertisements

এদিকে, মহিলা সংরক্ষণ আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়(Women’s reservation act)  ও প্রতীক্ষা থাকা সত্ত্বেও, দেশজুড়ে এই আইনের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমেনি। বিশেষত, মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার প্রস্তাবনায় সমর্থন লাভ করা সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন(Women’s reservation act)  

২০২৯ লোকসভা নির্বাচন: মহিলাদের জন্য নতুন আশ(Women’s reservation act)  

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই মহিলা সংরক্ষণ ব্যবস্থা কার্যকর হবে। সেই অনুযায়ী, মহিলাদের জন্য আইনসভায় ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত (Women’s reservation act)  করার ব্যবস্থা চালু হবে। বিশেষভাবে, এই আইনের ফলে রাজনৈতিক জগতে মহিলাদের ভূমিকা আরও সুসংহত হবে এবং নির্বাচনে তাঁদের অংশগ্রহণের হার বেড়ে যাবে।

এটি শুধুমাত্র মহিলাদের রাজনৈতিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করবে না, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনও আনবে। মহিলারা তাদের নিজস্ব ক্ষমতায়ন ও প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে আরও সুস্পষ্ট ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন।

এছাড়া, এই আইনের বাস্তবায়ন দেশের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে, কারণ মহিলারা দেশটির বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। যেহেতু মহিলাদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের প্রশ্নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ, তাই আইনটির বাস্তবায়ন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।