করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম ধাক্কা দিয়েছিল (COVID-19 Explained) ২০২০ সালে, আর সেই সময় বিশ্বের প্রায় সব দেশ লকডাউন ঘোষণা করে। ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত, করোনার একের পর এক ঢেউ আসতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে করোনা বিদায় নেবে না, বরং আমাদের(COVID-19 Explained) সাথে সহাবস্থান করতে হবে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে, করোনা এক নতুন আঙ্গিকে ফিরে এসেছে এবং সেই আগের আতঙ্ক আবার মানুষের মনে বাসা বেঁধেছে।(COVID-19 Explained)
করোনার সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিনের ভূমিকা(COVID-19 Explained)
করোনা নিয়ে উদ্বেগ এতদিনের জন্য কিছুটা কমেছিল, কারণ ভ্যাকসিন(COVID-19 Explained) এসেছে এবং তা দেশব্যাপী দেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ সালে ব্যাপকভাবে টিকা দেওয়া শুরু হয় এবং বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এতে অংশ নেয়। আমাদের দেশেও প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের ভ্যাকসিন গ্রহণের পর, অনেকেই (COVID-19 Explained) আশা করেছিলেন যে সংক্রমণ কমবে এবং করোনা এক সাধারণ ফ্লুয়ের মতো হয়ে যাবে। কিন্তু তারপরও কেন বারবার করোনার ঢেউ দেখা যাচ্ছে? কেন সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না?(COVID-19 Explained)
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫(COVID-19 Explained) সালের জুনে, করোনার নতুন সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু দুইটি টিকা নেওয়া সত্ত্বেও, করোনার নতুন ধরনগুলি (যেমন NF.7 এবং NB.1.8.1) সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। (COVID-19 Explained) এছাড়া, করোনার একাধিক সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে এই ভ্যারিয়েন্টগুলি অনেক বেশি সংক্রমণশীল এবং আগে পাওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম(COVID-19 Explained)
২০২৫ সালের করোনার নতুন উপসর্গ(COVID-19 Explained)
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে,(COVID-19 Explained) আগের বছরের সংক্রমণের তুলনায় এবারের উপসর্গ কিছুটা আলাদা। ২০২৫ সালে আক্রান্ত হওয়ার পর, অনেকেই সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো(COVID-19 Explained) সাধারণ উপসর্গ দেখছেন না।(COVID-19 Explained) এর বদলে, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, পেট খারাপ এবং গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেট খারাপ, জলের মতো পায়খানা, এবং অস্বাভাবিক ক্লান্তি এসব করোনার নতুন উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে(COVID-19 Explained)
নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব(COVID-19 Explained)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) জানাচ্ছে, বর্তমানে করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী একাধিক নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি।(COVID-19 Explained) এগুলি প্রধানত দক্ষিণ ভারত থেকে শুরু হয়ে এখন পশ্চিম ও উত্তর ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে। (COVID-19 Explained) এই নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলি এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে সংক্রমণের গতি অত্যন্ত দ্রুত। একদিকে যখন সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, তখন সঠিক উপসর্গও সহজে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। অনেকের শরীরে কোভিডের উপসর্গের পরিবর্তে সাধারণ সর্দি-কাশির বদলে গলা ব্যথা এবং পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারছেন না যে তারা আক্রান্ত(COVID-19 Explained)
ভাইরাসের মিউটেশন এবং ভ্যাকসিনের পরিণত(COVID-19 Explained)
করোনা ভাইরাসের মিউটেশন নতুন উপসর্গ সৃষ্টি করছে, এবং সেই কারণেই পুরনো ভ্যাকসিনগুলো সেভাবে কার্যকর হচ্ছে না। অনেকেই জানেন না যে করোনা আক্রান্ত (COVID-19 Explained) হওয়ার পরেও ভাইরাস শরীরে মিউটেশন ঘটিয়ে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সৃষ্টি করতে থাকে। সুতরাং, ভাইরাসের অতি দ্রুত পরিবর্তন এবং শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা এই অবস্থায় মেলবন্ধন তৈরি করতে পারছে না। এই(COVID-19 Explained) বিষয়টি নিয়ে অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সতর্কতা প্রদান করছেন যে একমাত্র টিকা নেওয়ার মাধ্যমে আর করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। করোনা আর টিকার বদলে অন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং সতর্কতা মেনে চলাই হবে একমাত্র উপায়।(COVID-19 Explained)
আগামীদিনের চিন্তা(COVID-19 Explained)
করোনা বর্তমানে এক কঠিন পরীক্ষা(COVID-19 Explained) হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে, কিন্তু করোনার(COVID-19 Explained) এই নতুন তরঙ্গ আবার আমাদের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও(COVID-19 Explained) সচেতনতার অভাব রয়েছে, এবং তারা ভাবছেন, ‘‘যেহেতু টিকা নিয়ে নিয়েছি, আর কিছু হবে না।’’ কিন্তু এটা ভুল ধারণা। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন যে করোনা একেবারে হারিয়ে যাবে না, আমাদের এর সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। সুতরাং, সতর্কতা অবলম্বন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সঠিক জীবনযাপন এবং প্রাথমিক লক্ষণগুলির প্রতি মনোযোগ দেওয়াই এখন একমাত্র উপায়(COVID-19 Explained)
আগামী দিনগুলোতে আরও নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে, তাই আমাদের একসাথে সচেতন হয়ে, সাবধানে থাকতে হবে এবং নিয়মিত টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।(COVID-19 Explained)