লোকসভা ভোটের মুখে মহুয়া মৈত্রর (Mahua Maitra) বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলা করেছিল সিবিআই। এর আগে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কান্ডের জেরে মামলা করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু এতে বিপর্যস্ত করা কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীকে। মহুয়া নিজেই জানিয়েছেন নিজের দৃঢ় অবস্থানের কথা।
কিছুদিন আগে কৃষ্ণনগরের সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন এক সভামঞ্চ থেকে মহুয়ার পক্ষ গর্জে উঠে বলেন, ‘ভোটে দাঁড়ালে আবার জিতবে মহুয়া।’ তখনই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে আবার ভোটে দাঁড় করাবে তৃণমূল। গত ১০ মার্চ ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে কৃষ্ণনগরের প্রার্থী হিসেবে মহুয়া মৈত্রর নাম ঘোষণা করেন দলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে র্যাম্পে হেঁটেছিলেন মহুয়া মৈত্র।
এক সংবাদ মাধ্যমে মহুয়া জানিয়েছেন, ‘২০০৮ থেকে ২০০৯ এই একবছর আমি কংগ্রেসে ছিলাম। আবার ১৫ বছর তৃণমূলে আছি। তৃণমূলের হয়েই আমি প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলাম। প্রথমবার সাংসদ হয়েছি। দ্বিতীয়বার সাংসদ হতে চলেছি।’ পাশাপাশি মহুয়া এও বলেন যে, এখন বিজেপি ঠিক করছে কে জেলের বাইরে থাকবে আর কে ভেতরে! লোকসভা ভোটের মুখে মহুয়া মৈত্রকে বারবার বিরক্ত করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জেলের ভেতর হোক বা বাইরে, তিনি ভোটে জিতে ফের সাংসদ হচ্ছেন। দিল্লি গিয়ে আবার তিনি মানুষের হইয়ে সওয়াল ওঠাবেন। তবে কৃষ্ণনগরের মানুষ কি ভোটবাক্সে আদৌ মহুয়া মৈত্রকে বেছে নেবেন? সেটাই এখন দেখার।