Mahua Maitra: “জনগণ রাষ্ট্রীয় গীত” অমিত শাহের বক্তৃতা নিয়ে কটাক্ষ মহুয়ার

বক্তৃতার একটি লাইন উদ্ধৃত করে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Maitra)। অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘গোটা দেশের মধ্যে কবিগুরু এমন একজন ব্যক্তি যিনি দুটি দেশের রাষ্ট্র গীত লিখেছিলেন’।

Mahua Maitra

শান্তিনিকেতনকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান বলে বাংলার রাজনীতিতে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার কলকাতায় রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে পরিপাটি বক্তৃতা দিতে শোনা যায় তাকে।

রবীন্দ্র সাহিত্য, স্বাধীনতা আন্দোলনে কবিগুরুর ভূমিকা, গুজরাতের সঙ্গে তাঁর যোগ, আইনস্টাইন-মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্ক, মুক্ত পরিবেশে শিক্ষার রবীন্দ্র চেতনা—ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন শাহ।

   

তার পরেও তার বক্তৃতার একটি লাইন উদ্ধৃত করে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Maitra)। অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘গোটা দেশের মধ্যে কবিগুরু এমন একজন ব্যক্তি যিনি দুটি দেশের রাষ্ট্র গীত লিখেছিলেন’।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই কথাটি নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা যায় মহুয়া মৈত্রের গলায়। তিনি বলেছেন, ‘এই রে! দুঃখিত অমিত শাহজি, ভারতের রাষ্ট্রীয় গীত হল ‘বন্দে মাতরম্’, যা লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত হল ‘আমার সোনার বাংলা’, সেটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা’। এখানেই না থেমে মহুয়া আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থাকলে বলতেন, ‘যা তা’, প্লিজ স্কুলে ফিরে যান।

প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘জন গণ মন’ হল জাতীয় সঙ্গীত তথা ন্যাশনাল অ্যানথেম। আর রাষ্ট্রীয় গীত হল, বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা বন্দে মাতরম্।

বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, অমিত শাহ বোঝাতে চেয়েছেন ভারতের আর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রবি ঠাকুরের লেখা। বড় কথা হল, হিন্দিতে যাহাই সঙ্গীত তাহাই গীত। মহুয়া খামোখা এটা নিয়ে খোঁচা দিচ্ছেন।

রাজনৈতিকবীদরা মনে করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথকে যেভাবে বাংলা ও বাঙালির গর্ব হিসাবে দেখাতে চান, অমিত শাহ তার পাল্টা হিসাবে দেখাতে চেয়েছেন যে, রবি ঠাকুরক সমগ্র বিশ্বের।