আরজি কর নিয়ে গোটা রাজ্য। এরই মধ্যে দলের একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূলের (TMC) কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। আরজি কর কাণ্ডে দলের একাংশকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বুধবার মদন মিত্র বলেন, ” রামায়ণে একজন বিভীষণ ছিল, কিন্তু তৃণমূলে অনেক বিভীষণ রয়েছে। সুযোগ বুঝেই ঘোলা জলে মাছ ধরছে অনেকেই। তাঁদের প্রত্যেককেই চিহ্নিতকরণ চলছে। প্রত্যেকের ফাইল রেডি হচ্ছে।” দাবি মদনের (Madan Mitra)।
বামেরা এগিয়ে, তাই লোক দেখানো আন্দোলন নয়, সুকান্তদের কড়া বার্তা দিল্লির
তাঁর এই মন্তব্যের নিশানায় যে শান্তনু সেন ও তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় তা বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। তবে কারও নাম না করেই এদিন তিনি দলের ভেতর অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলেন। স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “জাহাজ ডুবছে জানলে ইঁদুর পালায়। বাম-বিজেপির সঙ্গে না বুঝে মিছিলে যাচ্ছে দলের একাংশ।” মদনের এই মন্তব্যে যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
টানা সিবিআই জেরা, ভয়ে কুঁকড়ে ডাঃ সন্দীপ, তার মাঝেই হাইকোর্টের রায়ে মিলল সামান্য স্বস্তি
সম্প্রতি আরজি কর নিয়ে সপরিবারে ধর্ণায় সক্রিয় যোগদান করেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। আর তার জেরেই দলের মুখপাত্রের পদ হারান তিনি। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদ থেকেও সরতে হয় এই প্রাক্তণ তৃণমূল সাংসদকে। অন্যদিকে, একই ইস্যুতে সরব তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ও। একাধিক প্রতিবাদী ধর্ণা মঞ্চে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ফলে দুবার পুলিশের তলব পেয়েও হাজির হননি লালবাজারে। বরং গ্রেফতারির আশঙ্কায় দ্বারস্থ হন আদালতের। এই নিয়ে আরও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে।
মোদীর ইউক্রেন সফর, ‘ভারসাম্যে’ই কী ‘ভাবমূর্তি’ পুণরুদ্ধারের চেষ্টা?
এমন পরিস্থিতি আরজি কর (RG Kar) সংলগ্ন শ্যামবাজারে পাঁচদিনের ধর্ণায় বসেছে বিজেপি (BJP)। আগামী পাঁচদিন বেলা ১২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে।