আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। দিন যত যাচ্ছে, ততই বাড়ছে জনঅসন্তোষ। এখনও মূল অপরাধীরা অধরা। তাই দ্রুত তদন্ত শেষ করে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে রাজ্যেবাসী। এমন পরিস্থিতি আরজি কর (RG Kar) সংলগ্ন শ্যামবাজারে পাঁচদিনের ধর্ণায় বসেছে বিজেপি (BJP)। আগামী পাঁচদিন বেলা ১২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে এই ধর্ণা। তবে এই ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশও এসেছে বিজেপির কমিটির পক্ষ থেকে। এই আন্দোলন যেন লোক দেখানো না হয়।
টানা সিবিআই জেরা, ভয়ে কুঁকড়ে ডাঃ সন্দীপ, তার মাঝেই হাইকোর্টের রায়ে মিলল সামান্য স্বস্তি
মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে মুরলীধর সেন স্ট্রিটকে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে দিল্লির হাইকমান্ড। মঙ্গলবার রাতে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় রাজ্য নের্তৃত্বের। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, এ ভাবে লোকদেখানো আন্দোলন করলে হবে না। সংবাদমাধ্যমে কথা কম বলে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে আরও সক্রিয় হতে হবে। তারপরই রীতিমতো ধর্ণা ও স্বাস্থ্যভবন অভিযানের তোড়জোর শুরু করে রাজ্য বিজেপি।
আরজি কর সংলগ্ন শ্যামবাজারেই আদালতের অনুমতি নিয়েই এই ধর্ণায় বসেছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। কারণ আগামী ২৪ অগস্ট পর্যন্ত আরজি কর চত্বরে কোনওরকম জমায়েতের পক্ষে নিষেধাজ্ঞা জারি করছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। তারপরই মেলে অনুমতি।
সিবিআই-সিটে রক্ষে নেই, এবার প্রাক্তন অধ্যক্ষের দুর্নীতির তদন্তে ইডি?
বুধবার ধর্ণা মঞ্চে রয়েছেন সুকান্ত-শুভেন্দু থেকে দিলীপ ঘোষের মতো রাজ্য বিজেপির প্রত্যেক হেভিওয়েট নেতাই। বুধবার সুকান্ত বলেন, “আমরা তো আন্দোলনেই রয়েছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের অপসারণ এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের আগে আমাদের আন্দোলন থামবে না।”
আরজি কর কাণ্ডে পাঁচদিনব্যাপী ধর্ণা, স্বাস্থ্যভবন ঘেরাও অভিযান বিজেপির
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। আর এই গোটা কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো। আরজি কর ইস্যুতে যথেষ্ট পড়েই নড়েচড়ে বসে মুরলীধর সেন স্ট্রিট। সেদিক থেকে প্রথম থেকেই কিছুটা হলেও এগিয়ে বামেরা। হাসপাতাল ঘেরাও থেকে রাত-দখলের অভিযান সবেতেই বিরোধী দল হিসেবে প্রসংশনীয় ভূমিকা নিয়েছে বামেরা। বিজেপিকে সেইদিক থেকে বামেরা টেক্কা দিতে পেরেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাই বঙ্গ বিজেপির ‘দেরীতে ঘুম ভাঙায়’ রীতিমতো ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব। শাহ-নাড্ডাদের এই কড়া বার্তা তারই ইঙ্গিত, দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।