আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। দিন যত যাচ্ছে, ততই বাড়ছে অসন্তোষ। তার কারণ নির্যাতিতার মৃত্যুতে এখনও মূল অপরাধীর নাগাল পায়নি পুলিশ ও গোয়েন্দারা। তাই দ্রুত তদন্ত শেষ করে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যেবাসী। এমন পরিস্থিতি আরজি কর সংলগ্ন শ্যামবাজারে পাঁচদিনের ধর্ণায় বসেছে বিজেপি।
ফুৎকার সুপ্রিম আবেদন! দিল্লির AIIMS-এ জারি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, OPD যন্তমন্তরে
কোর্টের অনুমতি নিয়েই এই ধর্ণার আয়োজন বলে রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে। আগামীকাল স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। ইতিমধ্যেই আজ বুধবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানে নেমেছে বিক্ষুব্ধ চিকিত্সকেরা। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মস ফর ডক্টরসের সমর্থনে এই বিরাট মিছিলে পা মিলিয়েছেন চিকিত্সকেরা।
বুধবার সাতসকালে উদ্ধার মহিলার রক্তাক্ত দেহ!
এদিকে আগামী ২৪ অগস্ট পর্যন্ত আরজি কর সংলগ্ন শ্যামবাজারে ১৬৩ ধারা জারি করেছিল কলকাতা পুলিশ। কোনওরকম জমায়েতের বিরুদ্ধে পুলিশের এই পদক্ষেপে প্রবল নিন্দার মুখে পড়তে হয় রাজ্য প্রশাসনকে। তারপরই ধর্ণার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এই ধর্ণা মঞ্চে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা রয়েছেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ”আমরা তো আন্দোলনেই রয়েছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের অপসারণ এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের আগে আমাদের আন্দোলন থামবে না।”
গণহত্যায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনার মুখোমুখি জবাবদিহি চায় রাষ্ট্রসংঘ, মোদীকে ইঙ্গিত বার্তা
মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যের নেতাদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানে ছিলেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল ও মঙ্গল পাণ্ডে।
আগামী পাঁচ দিন বেলা ১২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ধর্ণা চলবে বিজেপির। যার দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো। আগামীদিনে এই আন্দোলন আরও জোরদার করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।