Digha Hilsa: দীঘায় বড় বড় ইলিশের ঢেউ, রান্নাঘরে মারবে ঘাই

দীর্ঘ তিন বছর ধরে অধরা ছিল দীঘার ইলিশ। অবশেষে তার দেখা মেলে। শনিবার জালে উঠেছে প্রচুর ইলিশ। এবার বাঙালি তাদের মধ্যাহ্নভোজের পাতে স্বাদ গ্রহণ করতে…

দীর্ঘ তিন বছর ধরে অধরা ছিল দীঘার ইলিশ। অবশেষে তার দেখা মেলে। শনিবার জালে উঠেছে প্রচুর ইলিশ। এবার বাঙালি তাদের মধ্যাহ্নভোজের পাতে স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে সুস্বাদু ইলিশের। ইলশেগুড়ি বৃষ্টি সঙ্গে গরম গরম ইলিশ ভাজা। না হলে কলা পাতায় মুরে সরষে ইলিশ ভাপা। এ যেন বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু বেজায় সমস্যায় পড়ে বাঙালি। ইলিশের এতটাই চড়া দাম যে কিনতি পারছিলেন না অনেকেই। আজও ইলিশ ওঠায় স্বস্থি দিয়ে দাম কমল কিছুটা।

বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে এসেছে ইলিশ। কিন্তু দাম ছিল প্রচুর। তাই অনেক ইলিশপ্রেমী পছন্দের মাছ কিনতে পারেননি। গতকাল ও আজ মিলিয়ে পর পর দু দিন দিঘায় মৎসজীবীদের জালে উঠল বিপুল পরিমাণে ইলিশ। এরপরই কমল দাম। প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ায় দীঘায় পাইকারি বাজারেও ইলিশের দাম বেশ কিছুটা কমেছে৷

গতকাল ৪০ থেকে ৫০ টন ইলিশ আসে মোহনা বাজারে। ওজনও যথেষ্ট ভালো। ৭০০ থেকে ১ কেজি ওজনের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। ৭ থেকে ১০ দিন আগে ট্রলারগুলি গিয়েছিল মাঝ সমুদ্রে। মাছ সমুদ্রে ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি আর ইলিশের অনুকূল আবহাওয়ায় ইলিশ দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা।

প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টন ইলিশ দীঘার মোহনা বাজারে আমদানি হয়েছে। বহু ট্রলার ফিরে আসলেও এখনো আরও বেশ কিছু ট্রলার আসতে বাকি রয়েছে। তারা ইতিমধ্যে দীঘার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। আজও এতটাই ইলিশ আসবে বলে মনে করা হয়েছিল। ঠিক তাই হয়েছে। আজও উঠেছে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ। আগামী দু একদিনের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে যাবে এই সুস্বাদু ইলিশ।

মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, এই ইলিশ স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই তা কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরের বাজারে পৌঁছে যাবে। এরপর প্রত্যেক বাঙালির ঘরে ঘরে ঢুকবে দীঘার এই ইলিশ। যতটা পরিমাণে ইলিশ পাওয়া গিয়েছে মৎস্যজীবীরা মনে করছে তা রপ্তানির যোগ্য।