CPIM: তৃণমূল নেতাকে পেটাল সিপিআইএম, কেউ আসেনি বাঁচাতে

তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল গলসিতে। অভিযোগের সিপিএমের বিরুদ্ধে। গলসি-১ ব্লকের রামপুর গ্ৰামে। অভিযোগ, সেখানেই তৃণমূলের কার্যালয়ে সোমবার রাত ৯টা নাগাদ সিপিএমের ১০-১২ জন কর্মী…

তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল গলসিতে। অভিযোগের সিপিএমের বিরুদ্ধে। গলসি-১ ব্লকের রামপুর গ্ৰামে। অভিযোগ, সেখানেই তৃণমূলের কার্যালয়ে সোমবার রাত ৯টা নাগাদ সিপিএমের ১০-১২ জন কর্মী গিয়ে চড়াও হন। অভিযোগ, সেখানে শ্যামল মুখোপাধ্যায় নামে এক তৃণমূল কর্মী বসেছিলেন। তাকে মারধর করা হয়। রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গলসি থানার পুলিশ। খবর পেয়ে ছুটে আসেন এলাকার লোকজনও। আহতকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।

পোতনা-পুরষার অঞ্চল সভাপতি তৃণমূলের রবিউল মল্লিকের বক্তব্য, “মদন সামন্তের নেতৃত্বে এই ঝামেলা হয়। আমাদের লোকেরা পার্টি অফিসে বসেছিল। জনা ১২ লোক এসে আমাদের তৃণমূল কর্মীকে মারধর করে। সিপিএমের লোকজনের সঙ্গে এমনও কয়েকজন ছিল যারা দিনে তৃণমূল আর রাতে সিপিএম।” নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, রবিউল তা মানতে চাননি।

আবার, ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য মনসিজ হোসেনের দাবি, ভোটের ময়দানে না পেরে এখন জনপ্রতিনিধিকে টপকে কাজ দেখাতে চাইছে তৃণমূল। যা গ্রামের মানুষ ভালভাবে দেখছে না।

মনসিজ হোসেনের কথায়, “পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ব্লক প্রশাসন ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বামপন্থীদের মনোনয়ন আটকানোর চেষ্টা করেছে। সফল না হলে ভোটে রিগিং করেছে। তাতেও না পেরে গণনার সময় কারচুপি করেছে। তারপরও পোতনা-পুরষার রামপুরে গ্রামপঞ্চায়েতের একটা আসন আমাদের। সেখানে তৃণমূল আমাদের না জানিয়ে কাজ করতে চাইছে। তার বিরোধিতা করছে গ্রামবাসী। গ্রামের মানুষ দলগতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। এরসঙ্গে সিপিএমের কোনও সম্পর্কই নেই।”