ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ফোন উদ্ধার করল CBI

পুরুলিয়ার ঝালদায় (Jhalda) গত ১৩ মার্চ খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। আর তারপর থেকেই উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট…

murdered Congress councilor in Jhalda

পুরুলিয়ার ঝালদায় (Jhalda) গত ১৩ মার্চ খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। আর তারপর থেকেই উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পরিবারের তরফ থেকে। ঝালদা থানার এসআইকে গ্রেপ্তার করার জন্য বারবার দাবি জানানো হয়েছিল। এই ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই কাউন্সিলর খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় তার বাড়ি থেকে।

এবার নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ফোন উদ্ধার করা গিয়েছে। তার বাড়িতে আসে সিবিআই। তালা খুলতে বলা হয় যার কাছে চাবি ছিল। এরপর নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বৌদিকে নিয়ে ঘরে ঢোকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

   

প্রত্যক্ষদর্শীর ঘর থেকে একটি পেন এবং তাঁর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে সিবিআই। এখন সিবিআইকে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বৌদি জানিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলা নিরঞ্জন বৈষ্ণব তার ফোন সুইচ অফ করে টেবিলের উপরে রেখে দিতেন। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফোনটিকে উদ্ধার করে।

প্রসঙ্গত, পরিবারের পক্ষ থেকে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে, পুলিশ নিরঞ্জন বৈষম্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কারণেই তিনি সুইসাইড করেছেন। এমনকি শুধু পরিবারের নয়, নিরঞ্জন বৈষ্ণবের দেহ উদ্ধারের সময় যে সুইসাইড নোটটি পাওয়া যায় তাতেও লেখা ছিল যে পুলিশের চাপ তিনি নিতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে তিনি সুইসাইড করলেন।

কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তার প্রত্যক্ষদর্শী মৃত্যুর ঘটনা। তাই দুটি ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। খতিয়ে দেখছে তারা আসল দোষী কারা।