Sayan Banerjee: চাকরি ছেড়ে ফুটবলকে বেছে নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের সায়ন

কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। ম্যাচকে কেন্দ্র করে আলোচনা চলছে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে। নাড়াচাড়া হচ্ছে পরিসংখ্যান নিয়ে। তার মধ্যেই তরুণ…

Sayan Banerjee Quits Job

কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। ম্যাচকে কেন্দ্র করে আলোচনা চলছে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে। নাড়াচাড়া হচ্ছে পরিসংখ্যান নিয়ে। তার মধ্যেই তরুণ এক ফুটবলার নজর কেড়েছে কলকাতার ফুটবল প্রেমীদের। তিনি সায়ন ব্যানার্জী (Sayan Banerjee)।

সুপার কাপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ দল জুনিয়র ফুটবলারদের পরখ করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে রিজার্ভ দলের ছেলেদের। মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন সায়ন ব্যানার্জী। সুপার কাপের দুটো ম্যাচে গড়ে মিনিট দশেক মাঠে ছিলেন। তাতেই তাঁর খেলা ফুটবল প্রেমীদের নজর কেড়েছে।

Sayan Banerjee Quits Job

কে এই সায়ন ব্যানার্জী?
কলকাতার ক্লাবে খেলার আগে মুম্বই, দিল্লির লীগে খেলেছেন সায়ন ব্যানার্জী। সেখান থেকে কলকাতার ক্লাবে। সায়ন ব্যানার্জীর উত্থানের পিছনে কালীঘাট এমএস ও ক্লাবের প্রাণপুরুষ অজিত ব্যানার্জীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সায়নের প্রতিভা চিনতে ভুল করেনি অজিত ব্যানার্জীর জহুরীর চোখ। সঙ্গে সঙ্গে সই করিয়ে নিয়েছিলেন কালীঘাট এমএস-এ। সায়ন এবার কলকাতা ফুটবল লীগে খেলেছেন। করেছেন টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অন্যতম দ্রুততম গোল। সায়ন ব্যানার্জীর নামের পাশে রয়েছে এক মিনিটের মধ্যে গোল করার রেকর্ড।

কালীঘাট এমএস থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে আসেন সায়ন। কোচ বিনো জর্জ ও কার্লেস কুয়াদ্রতের পর্যবেক্ষণে নিজের খেলা আরও ঘষামাজা করার সুযোগ পাচ্ছেন। সুপার কাপের সেমিফাইনালে দলের জন্য এনে দিয়েছিলেন একটি পেনাল্টি। সায়নের দৌড় ও ড্রিবলের প্রশংসা করছেন এখন অনেকেই

কিন্তু এখানেই থামলে চলবে না। সায়নকে খেলতে হবে ভারতের হয়ে। এখনো অনেক পথ বাকি, সবে শুরু। সায়নের বাবা-মা আগলে রাখছেন ছেলেকে। ছেলে দেশের হয়ে খেলুক এটাই চাইছেন সোমনাথ ব্যানার্জী ও অভয়া ব্যানার্জী। সায়নের পাশে রয়েছে তাঁর পুরো পরিবার।

আসানসোলের ব্যানার্জী পরিবারে খেলাধুলার চল রয়েছে। সায়নের মা ও বাবা দুজনেই খেলাধুলো ভালোবাসেন। ছেলেও তাই। কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশুনা শুরু করলেও সায়নের প্রেম ফুটবলের প্রতি। নেইমারকে নিজের আইডল মনে করেন। নেইমারের মতো ড্রিবল করার চেষ্টা করেন, নেইমারের অনুশীলন ফলো করেন সায়ন।

“দুটো চাকরি প্রস্তাব ছিল। চাকরি ছেলে সায়ন বেছে নিয়েছে ফুটবলকে। ও বলেছিল, আমি ফুটবল খেলবো। আমরা বারণ করিনি। আমাদের ইচ্ছা সায়ন ভারতের হয়ে খেলুক। কালীঘাট এমএস ও অজিত ব্যানার্জীর ভূমিকা আমরা কোনো দিন ভুলবো না”, বলেছেন সায়নের বাবা সোমনাথ ব্যানার্জী।