Santosh Trophy : অটোচালকের ছেলে এক ম্যাচে করেছেন পাঁচ গোল

সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) সেমিফাইনালে একাই পাঁচ গোল করেছেন কেরালার (Kerala) টিকে জেসিন (TK Jesin)। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে তাঁর বিস্ময় পারফরম্যান্স লেখা থাকবে ইতিহাসে পাতায়। তাঁর…

সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) সেমিফাইনালে একাই পাঁচ গোল করেছেন কেরালার (Kerala) টিকে জেসিন (TK Jesin)। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে তাঁর বিস্ময় পারফরম্যান্স লেখা থাকবে ইতিহাসে পাতায়। তাঁর বাবা মহম্মদ নিশার একজন অটোচালক। সংসার চালাতে দিন-রাত ছুটে চলেছে তাঁর অটোরিকশা।

আরও পড়ুন: Santosh Trophy : ফাইনালে বাংলা, ইস্টবেঙ্গলের জন্য রয়েছে একাধিক ইতিবাচক দিক

মহম্মদ নিশার নিজেও এক সময় যুক্ত ছিলেন খেলাধূলার সঙ্গে। জেসিন এখন যে কলেজের (এমইএস কলেজ) ছাত্র, সেই কলেজেই পড়াশুনা করেছেন তাঁর বাবা। ছিলেন একজন অ্যাথেলেট। অংশ নিতেন ১০০, ২০০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতায়।

পরিবার, সন্তানদের কথা ভেবে অনেক দিন আগেই তুলে রেখেছিলেন নিজের বুট জোড়া। বদলে বেছে নিয়েছিলেন অটো চালকের পেশা। ‘কেএল ১০ এএইচ ৮৮৪০’ ডিজেল ইঞ্জিনের একটি অটোরিকশাই এখন তাঁর ভরসা।

আরও পড়ুন: East Bengal : কেরালার ফুটবলারকে নেওয়ার জন্য হায়দরাবাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের টক্কর

মহম্মদ নিশার তিন সন্তানের বাবা। অন্য ছেলেটিও খেলা পাগল। জশিদও দাদার মতো ফুটবল খেলেন। উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলার। বোন আমিনাও খেলাধূলা ভালোবাসে। দাদার ট্রফি, খেলার সরঞ্জাম গুছিয়ে রাখে নিজের হাতে।

ঘরের কাজ সামলানোর পাশাপাশি জেসিনের মা সুনয়না ইভেন্টের কাজ সামলান। ফুটবল প্রেমীদের এক জায়গায় নিয়ে আসার কাজ তিনি সামলান নিপুণ হাতে।

গ্রুপ পর্বে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাড়ির বড় ছেলের বুট জোড়া ছিঁড়ে গিয়েছিল। সেই কথা জেনে জেসের চাচাতো ভাই সফদর কেরালার নীলাম্বুর থেকে নতুন বুট কিনে পৌঁছে দিয়েছিলেন জেসের কাছে। সেই বুট পরেই কর্ণাটকের বিরুদ্ধে পাঁচটি গোলই করেছিলেন তিনি। টিভিতে ছেলের সেই ম্যাচ দেখেছিল গোটা পরিবার।