Santosh Trophy : ফাইনালে বাংলা, ইস্টবেঙ্গলের জন্য রয়েছে একাধিক ইতিবাচক দিক

চলতি সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) ফাইনালে উঠেছে বাংলা (Bengal)। টুর্নামেন্টের তেত্রিশতম খেতাব জয়ের হাতছানি। রাজ্য ফুটবলের সাফল্য বা ব্যর্থতার সঙ্গে যুক্ত থাকে ক্লাবের সাফল্য বা…

চলতি সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) ফাইনালে উঠেছে বাংলা (Bengal)। টুর্নামেন্টের তেত্রিশতম খেতাব জয়ের হাতছানি। রাজ্য ফুটবলের সাফল্য বা ব্যর্থতার সঙ্গে যুক্ত থাকে ক্লাবের সাফল্য বা ব্যর্থতা। প্রতিবেদনে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), কিছু ইতিবাচক দিক।

এবারের বাংলা দল থেকে বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। আগামী মরশুমে তাঁদের লাল হলুদ জার্সিতে দেখার সম্ভাবনা প্রবল। আলাদা করে বলতে হয়ে মহিতোষ রায়ের কথা। কেরালার গরমেও অক্লান্তভাবে ছুটে চলেছেন তিনি। মাঝমাঠে তিনি এবং তন্ময় দাস বাংলার খেলা গড়ার অন্যতম কারিগর।

আরও পড়ুন: Santosh Trophy : বাংলা ফাইনালে, টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন বাগান ফরোয়ার্ড

শুরুতেই গোল করে চমকে দিয়েছিলেন শুভম ভৌমিক। এই বঙ্গজ ফরোয়ার্ডকে আগামী মরশুমের জন্য নিশ্চিত করেছে ক্লাব। প্রতিযোগিতার শুরুতেই গোল করেছেন। শেষ কয়েক ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করতে না পারলেও প্রতিপক্ষের কোচের নজরে থাকেন সব সময়। গতি এবং ফিটনেস নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। আশা করা যায় আরও একটু ঘষামাজা করলে গোলের বন্যা বইয়ে দিতে পারেন শুভম। দীর্ঘ দিন ভালো কোনো বাঙালি স্ট্রাইকার পায়নি ভারতীয় ফুটবল।

মনিপুরের বিরুদ্ধে গোল পেয়েছেন সুজিত সিং। সুজিতের সঙ্গেও রয়েছে ইস্টবেঙ্গল যোগ। লাল হলুদ অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েট এই ফুটবলার এবারের সন্তোষ ট্রদিতে ধারাবাহিক। 

Santosh Trophy
ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে বাংলা প্রিয়ান্ত সিং।

বাংলাকে ফাইনালে তোলার পিছনে অন্যতম ভূমিকা রয়েছে প্রিয়ান্ত সিং এর। দুর্গের শেষ প্রহরীর গ্লাভস জোড়া সত্যি বিশ্বস্ত। কলকাতা ফুটবলের পরিচিত মুখ। ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন সিনিয়র কেরিয়ারের শুরুতে।

বোদ্ধারা মাঝে মধ্যে একটা কথা বলে থাকেন। শুধু ট্রফি দিয়ে বিচার না করে সার্বিকভাবে একটি দলের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করা দরকার। বিগত কয়েক মরশুমে দল হিসেবে ইস্টবেঙ্গল পারফর্ম করতে না পারলেও অতীতে লাল হলুদ ক্লাবে খেলেছেন, আগামী দিনে ক্লাবে খেলবেন এমন ফুটবলারের সংখ্যা বহু। ফলত রাজ্য ফুটবল তথা দেশের ফুটবলে ইস্টবেঙ্গলের অবদান যে রয়েছে তা অনস্বীকার্য ।