দুর্নীতি করলে কাউকে রেয়াত নয়। চলতি সপ্তাহে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ফেসবুক পোস্ট করে নিজের অফিসে অভিযোগ জানানোর আর্জি করেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এরপরেই সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন বিভাগ। এর মধ্যে রয়েছে তেহট্টর তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কুমার কয়াল।
মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সরাসরি বলেছিলেন, দল না দেখে দুর্নীতির অভিযোগ করতে। তার পরেই অভিযোগ এসেছিল তেহট্টের বিধায়কের বিরুদ্ধে। এর জেরে সাংসদ মহুয়া হন বিব্রত।
জনগণকে আশ্বাস দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র বার্তা দেন, যদি মানুষকে প্রতারণা করে তবে নির্ভয়ে এখুনি পুলিশ বা আমার অফিসে লিখিত অভিযোগ করুন। এর পর নদিয়া সরগরম। দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধেই বিস্তর অভিযোগ আসতে শুরু করে। এক্ষেত্রে হতচকিত কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
তেহট্টের বিধায়কের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এত বেশি আসে যে সাংসদ আদৌ কিছু করতে পারবেন কি এমন প্রশ্ন উঠেছিল।
জেলা বিজেপির দাবি সবই আই ওয়াশ চলছে। কারণ সামনে পঞ্চায়েত ভোট। নদিয়া জেলা সিপিআইএমের অভিযোগ, যে তৃণমূল সেই বিজেপি। দুপক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া আছে। যেভাবে দুর্নীতি মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তাতে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।