এফসি গোয়ার (FC Goa) বিরুদ্ধে বুধবার, খেলতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল এফসির (East Bengal) হেডকোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন (Stephen Constantine) লাল হলুদ সমর্থকদের উদ্দ্যেশে বার্তা রেখে বলেছিলেন, “ইস্টবেঙ্গলের গর্ব পুনরুদ্ধার করতে চাই, কিন্তু আমি জাদুকর নই।”
সঙ্গে লাল হলুদ শিবিরের হেডকোচ আরও বলেন, মাত্র চার সপ্তাহের প্রস্তুতিতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL) খেলতে নেমেছে,তাই পাশে পেলে তিনি অনেক ভাল কিছু করে দেখাতে পারেন এবং ইস্টবেঙ্গলের হৃত গৌরব ফিরিয়েও আনতে পারেন। কিন্তু সে জন্য সমর্থকদের ধৈর্য্যশীল হতে হবে।
এদিন শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল গোল খেয়ে বসে, ম্যাচের ৭ মিনিটে। ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ক্লেইটন সিলভার গোলে ইস্টবেঙ্গল ১-১ গোলের সমতায় ফিরেও আসে। কিন্তু ম্যাচের এক্কেবারে শেষ মুহুর্তে ৯৫ মিনিটে লাল হলুদ ফুটবলারদের মনসংযোগে ঘাটতি পড়ে, লাল হলুদ খেলোয়াড়রা ভেবেই নিয়েছিল ম্যাচ এখন ড্র’র পথে। স্কোরলাইন ১-১ গোলে ড্র রেখে, সমর্থকদের সামনে ঘরের মাঠে না হেরে, মুখ লুকিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হবে না।আর এই মানসিকতার জেরেই লাল হলুদ ফুটবলারেরা সাংঘাতিক একটা কাজ করে ফেলে,তা হল ঢিলেমি দেওয়া ম্যাচ চলাকালীন।
এফসি গোয়া ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের এই ঢিলেমির সুযোগে গোল করে ফেলে,এদু বেইতিয়ার গোলে কার্লোস পেনা লাল হলুদ সমর্থকদের সামনে থেকে তিন পয়েন্ট পকেটে পুরে ফেলে। ড্র হতে যাওয়া ম্যাচ হেরে বসে ইস্টবেঙ্গল এফসির ফুটবলারেরা ম্যাচ টেম্পারমেন্ট অর্থাৎ মানসিকতার জন্য। ঠিক এই কারণেই লাল হলুদ হেডকোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন লাল হলুদ খেলোয়াড়দের মানসিকতা বদলের ওপর জোর দিয়েছেন,যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।
বুধবার অবশ্য, স্টিফেন কনস্টাটাইনের ভবিষ্যৎবাণী মিলে গেল। মিলে গেল এইভাবে যে, শেষ মুহুর্তে ঢিলেমি না দিলে ইস্টবেঙ্গল এফসিকে গোয়ার বিরুদ্ধে অন্তত পক্ষে হারতে হতো না। লাল হলুদ ফুটবলারদের খেলা চলাকালীন ঢিলেমি মানসিকতার কারণেই লাল হলুদ সমর্থকদের ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে।