Interview with Arun Ghosh: বলরামকেই তাদের সময়ের সেরা বলছেন অরুণ ঘোষ

Interview with Arun Ghosh: তার বয়স এখন ৮১। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা চেহারাটায় স্বাভাবিকভাবেই বয়সের ছাপ পড়েছে। লাঠি হাতে এখন তার মর্নিং-ওয়াক করা বাড়ির…

Arun Ghosh

Interview with Arun Ghosh: তার বয়স এখন ৮১। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা চেহারাটায় স্বাভাবিকভাবেই বয়সের ছাপ পড়েছে। লাঠি হাতে এখন তার মর্নিং-ওয়াক করা বাড়ির ছাদে। বাড়িটা একই জায়গায় রয়েছে। হাওড়ার শিবপুর পেরিয়ে চারমন্দির। তার একটু দূরেই ছোট ভট্টাচার্য পাড়া। ফুটবল পাড়াও বলা হত পাড়াটাকে। প্রয়াত সুদীপ চ্যাটার্জি, প্রদীপ তালুকদারদের বাড়িও একই পাড়ায়।

অরুণ ঘোষের বাড়িটা দ্বিতল, বড় পুরনো বাড়ির মত। একতলায় কিন্টারগার্ডেন স্কুল চালান মেয়ে। দু’তলায় বাস ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তির। ১৯৬২-র এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য। অভিমান আছে। খেলা ছাড়ার পর কেউ যোগাযোগ রাখেনি তার সঙ্গে। না তার চিরদিনের ক্লাব বিএনআর, না ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানও নয়। স্বল্পভাষী অরুণ ঘোষের মুখে শুধু একটা বাক্য, “জানি না ময়দান কীভাবে ভুলে গেল!” এখন তার সারাদিনের সঙ্গী টিভি। সব দেখেন। সিনেমা, সিরিয়াল থেকে খেলাধুলো। আর রয়েছে একটি পোষ্য কুকুর আর খরগোশ।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

আর ফুটবল? সতীর্থ বলরামের সঙ্গে ফোনে শুধু যোগাযোগ। নির্দ্বিধায় বলে দেন, “চুনীকে (গোস্বামী) মাথায় রেখেও বলছি, বলরামই আমার সময়ের সেরা ফুটবলার। যে কোনও পজিশনেই দুর্দান্ত। অসম্ভব বুদ্ধি দিয়ে খেলত। আর তখনই আজকের আধুনিক ফুটবল দেখতাম ওর পায়ে! ৬২-র এশিয়ান গেমসে বলরামের অসাধারণ ধারাবাহিকতার জন্যই সোনা জিতেছিলাম।”

টিভি-তে এখনকার ভারতীয় ফুটবল দেখেন। কিন্তু মন মজে না। বললেন, “আমার গুরু ছিল দাশু মিত্র। তার একটাই কথা ছিল, মাথা দিয়ে খেলতে হবে। আজীবন সেটাই করে গিয়েছি। এখনকার ফুটবলারদের খেলায় বুদ্ধির বড় অভাব দেখি। বিশেষত ডিফেন্ডারদের মধ্যে।” তার পরবর্তী সময়ে চোখে পড়ার মত স্টপার? অরুণ ঘোষের স্বতঃস্ফুর্ত জবাব, “সৈয়দ নঈমউদ্দিন। মাথা দিয়ে ফুটবলটা খেলত।”

ফুটবল নিয়ে আর কথা বলতে চান না। ফোন রাখার আগে তার শেষ কথা, “ময়দান, ফুটবল থেকে দূরে আছি, শান্তিতে আছি।”