Himalayan Marmot: ভারতে হিমালয়ান মারমটের প্রথম ছবি ক্যামেরাবন্দি

মারমটের কথা কখনও শুনেছেন? এই প্রাণীটিকে এতদিন ভারতে দেখা যেত শোনা গেছিল। এবার সত্যিই দেখা গেল। গবেষক স্কলার হিরণ্ময় চেতিয়া (Hiranmoy Chetia) অরুণাচলে প্রথম ছবি…

Himalayan Marmot

মারমটের কথা কখনও শুনেছেন? এই প্রাণীটিকে এতদিন ভারতে দেখা যেত শোনা গেছিল। এবার সত্যিই দেখা গেল। গবেষক স্কলার হিরণ্ময় চেতিয়া (Hiranmoy Chetia) অরুণাচলে প্রথম ছবি তুললেন হিমালয়ান মারমটের (Himalayan Marmot)। ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা রীতিমত ভাইরাল। এই প্রথম এই প্রাণীটিকে ভারতে ক্যামেরাবন্দি করা গেল।

হিমালয়ান মারমট আসলে কাঠবিড়ালির আরেক প্রজাতি। এর আগেও মারমটকে লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমে দেখা গেছিল বলে দাবি করা হয়। কিন্তু প্রমাণস্বরুপ কোন ছবি নেই। গত চার বছর ধরে হিরণময় চেতিয়া নয়ডার অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রজাতিকে নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। তাঁর গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্যা জার্নাল অফ থ্রেটেন্ড ট্যাক্সা।‘ (The Journal of Threatened Taxa)

   

মারমটদের মধ্যে ‘হিমালয়ান মারমট’ সব থেকে বড় প্রজাতির। তাদের আকার প্রায় একটা বাড়ির বিড়ালের মতন। তাদের গায়ে ঘন লোম থাকে, সঙ্গে পিঠের দিকে ছাঁই রঙ এবং কান-পেট-হাত পা গুলোয় হলুদ রঙ।

তিন ধরণের কাঠবিড়ালি হয়–ট্রি কাঠবিড়ালি, গ্লাইডিং কাঠবিড়ালি এবং গ্রাউন্ড কাঠবিড়ালি। তবে এই সকলের মধ্যে চেতিয়ার পছন্দ হিমালয়ান মারমট। তিনি জানান যে তাঁর গবেষণার লক্ষ্য হচ্ছে বৈচিত্র্য, বিতরণ এবং এই এলাকার কাঠবিড়ালিদের থাকাটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা বোঝা।

চেতিয়া গবেষণাটি করেছেন তাওয়াং-এর থিংবু মাগো গ্রামে। ছবিগুলি তোলা হয়েছে জ়িথাঙ্গে। হিমালয়ান মারমটদের স্থানীয় ডিরাং মনপা ভাষায় ‘গোমছেন চিকপা’ বলা হয় (Gomchen Chikpa)। যেহেতু এই এলাকার মানুষ তিব্বতি ও বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী তাই তারা এই প্রাণীর শিকার করেনা বলে দাবি করেন।

তবে অনেকবার হিমালয়ান মারমটদের ‘এথনোমেডিসিন’ এর জন্য ব্যবহার করার মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। মারমটের শরীরের চর্বি ব্যাথা-যন্ত্রণা দূর করে। মারমটের চামড়া বেল্টের মতন করে যন্ত্রণার জায়গায় পরিয়ে দিলে ব্যাথা দূর হবে বলে মনে করা হয়।