দুদিনের জন্য মানসিক শান্তি খুঁজতে চান? পাহাড় ডাকছে? তাহলে বেড়িয়ে (Travel) পড়ুন সামসিংয়ের উদ্দেশ্যে। মনোরম এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সাথে, সবুজ-কমলা পাহাড়ি সামসিং একটি আদর্শ অফবিট ট্যু্র হয়ে উঠবে আপনার জীবনে।
পশ্চিমবঙ্গ ও ভুটান সীমান্তে জলপাইগুড়ি জেলার পাদদেশে এই গ্রামটি সবুজ চা বাগান, বন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জনপদ সামসিং। তবে আরও একটা রং আপনার চোখে পড়বে সামসিংয়ে। কমলা রং!
চা ও কমলালেবু চাষ করাই এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা। পাইনের বদলে শাল, শিমুলের বিশাল বৃক্ষরাজির দখলে থাকা সামসিং-এ প্রচুর কমলালেবু গাছ আর নানা পাখির দেখতে পাবেন। শীতে এখানে একটি বিশেষ কমলালেবুর ফেস্টিভ্যাল হয়।
কাছেই রকি আইল্যান্ড। সামসিং থেকে দেড় কিমি দূরে অবস্থিত মূর্তি নদী দেখতে গেলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। প্রায় ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এলে দেখবেন এক অপূর্ব সুন্দর উপত্যকা।
সামসিং থেকেও আরও কিছু জায়গা ঘুরে নিতে পারবেন, যেমন সুনতালেখোলা নেচার ক্যাম্প কিংবা নেওড়া ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক। নানা ধরনের পশুপাখির বাস এই পার্কে।
কলকাতা থেকে সামসিং-এর দূরত্ব ৬৩৮ কিমি। কিন্তু শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৮১ কিমি দূরে। চালসা পার করে পথ গিয়েছে চা বাগানের ভিতর দিয়ে। ডাইনে বাঁয়ে যতদূর চোখ যায় সবুজ চা-বাগান। মূর্তি নদীর কোলে পাহাড় পাইন শাল সেগুনের বন দিয়ে ঢাকা বন্য গ্রাম।
*ট্রিপ টিপস*
কীভাবে যাবেন–শিলিগুড়ি মিত্তাল বাসস্ট্যান্ড থেকে সামসিং যাওয়ার জন্য বাস ছাড়ে। তবে সারাদিনে মাত্র দুটি বাস যায়। তাছাড়া যে-কোনও বাসে করে চালসা চলে যান। সেখান থেকে শেয়ার জিপে বা গাড়ি রিজার্ভ করে চলে যান সামসিং। চালসা থেকে সামসিং-র দূরত্ব ১৮ কিমি। কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসও যায় নিউ মাল জংশনে। সেখান থেকে মেটেলি হয়ে সামসিং ৩০ কিলোমিটার।
কোথায় থাকবেন–সামসিং-এ থাকার জন্য রয়েছে সামসিং ফরেস্ট রেস্ট হাউস। প্রাইভেট হোটেলও আছে। অনেক বেসরকারি লজও রয়েছে।সামসিংয়ে এখন একাধিক হোম-স্টে হয়েছে।
কখন যাবেন–বছরের যে কোনো সময়ই যেতে পারেন, কিন্তু কমলা রং দেখার জন্য যেতে হবে শীতকালে এই সবুজ-কমলা পাহাড়ি অফবিট গন্তব্যে।