Bardhaman: ব্যাটিং পিচ সহায়ক, উপড়ে ফেলা হবে ঘাস! তৃণমূলকে বার্তা বাম সংগঠনের

বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান (Purba Brdhaman) জেলা পরিষদ ভবন অভিযান ঘিরে রাজনৈতিক হাওয়া গরম। এমনিতেই দাবদাহের কবলে এই জেলা। বর্ধমান শহরে ৪০…

বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান (Purba Brdhaman) জেলা পরিষদ ভবন অভিযান ঘিরে রাজনৈতিক হাওয়া গরম। এমনিতেই দাবদাহের কবলে এই জেলা। বর্ধমান শহরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা। এর মধ্যে CPIM এর ছাত্র ও যুব সংগঠন (SFI-DYFI) এর প্রচার অভিনব। অভিযানকে ক্রিকেট ম্যাচ ধরে নিয়ে দুটি সংগঠনের ‘পিচ রিপোর্ট’ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, “বর্ধমানে ব্যাটিং পিচ সহায়ক হওয়ায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেবে”।

দুটি বাম সংগঠনের এমন দাবি জেলা প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করা বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর জেলা পরিষদ ভবনের সামনে আসার আগেই বাম মিছিল আটকে দিকে মরিয়া পুলিশ। আর এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই নেত়ৃত্বের দাবি, ব্যারিকেড ভেঙে যাবে।

দুটি সংগঠনও জেলা প্রশাসনকে ইঙ্গিতে আক্রমণাত্মক বার্তা দিয়েছে, “পিচে দু একটি সবুজ ঘাস থাকবে, আশা করা যায় ছাত্রযুবরা সেই ঘাস উপড়ে ফেলবে কেননা ঘাস থাকলেই গরুর উৎপাত বাড়ে।”

সিপিআইএম জেলা কমিটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্ধমানে জেলা পরিষদ ভবন অভিযানে থাকবেন DYFI রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি ও SFI নেতা প্রতীকউর রহমান, সৃজন ভট্টাচার্য। সব মহকুমা থেকে মিছিল আসবে বর্ধমানে। চোর তাড়াও ঘুঘুর বাসা ভাঙো, শিক্ষা ক্ষেত্র ও পঞ্চায়েতে দুর্নীতি, কর্মসংস্থান সহ একাধিক দাবি নিয়ে হবে জেলা পরিষদ অভিযান।

বাম যুব-ছাত্র সংগঠনের মিছিল ঘিরে পূর্ব বর্ধমান  জেলা পুলিশ বিশেষ সতর্ক। ফিরে আসছে সিপিআইএমের মিছিল থেকে বিশ্ব বাংলা স্ট্যাচু উপড়ে ফেলা ও ধুন্ধুমার পরিস্থিতির স্মৃতি।

শুক্রবার বাম যুব সংগঠন DYFI ও ছাত্র সংগঠন SFI একযোগে জেলা পরিষদ অভিযানের আগে পূর্ব বর্ধমানের সদর বর্ধমানে প্রবল গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ বা়ড়ছে।

গত বছর ৩১ আগস্ট বর্ধমানে সিপিআইএমের মিছিল আটকানো নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। শহরের কার্জনগেট এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রিয় বিশ্ব বাংলা ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলেন বাম সমর্থকরা। পুলিশ ও বাম সমর্থকদের সংঘর্ষ ছড়ায়। তৃ়ণমূল কংগ্রেস বিধায়কের একটি কার্যালয়ে হামলা হয়েছিল।

এবার দুই বাম সংগঠনের হুঁশিয়ারি শান্তিপূর্ণ মিছিল যেন জোর করে তৃণমূল সরকারের পুলিশ না আটকায়। জবরদস্তি করলে পরিস্থিতির দায় বর্তাবে প্রশাসন ও সরকারের উপর।

তৃণমূল কংগ্রেস পূর্ব বর্ধমান নেতৃত্বের কটাক্ষ, সিপিআইএম গরমে খানিকটা গা ঘামানোর কাজ করবে। তবে তৃণমূলের একাংশ নেতা বলছেন, সিপিআইএম পঞ্চায়েত ভোটে বড় ফ্যাক্টর হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। বর্ধমানে বিশ্ব বাংলা লোগো উপড়ে ফেলার প্রসঙ্গটি বারবার ঘুরে আসছে।

অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠিদ্বন্দ্বে জর্জরিত বিরোধী দল বিজেপির জেলা নেতারা অবশ্য বাম সংগঠনের মেজাজ পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান। গত পুরভোটের পর থেকে বর্ধমানে বিজেপির ভাঙন স্পষ্ট বলে ঠারে ঠোরে স্বীকার করে নিয়েছেন তারা।