Akshay Bhagat: সাইকেলে বিশ্বের সর্বোচ্চ পাস জয় বাঙালির

বিশেষ প্রতিবেদন: প্রথম বাঙালি হিসাবে সাইকেলে উমলিঙলা জয় করলেন পুরুলিয়ার ছেলে অক্ষয় ভগত। এর আগেও বহুবার বহু পথে বিভিন্ন বার্তা নিয়ে সাইকেল নিয়ে গিয়েছেন অক্ষয়।…

Akshay bhagat climbs worlds highest pass umlingla

বিশেষ প্রতিবেদন: প্রথম বাঙালি হিসাবে সাইকেলে উমলিঙলা জয় করলেন পুরুলিয়ার ছেলে অক্ষয় ভগত। এর আগেও বহুবার বহু পথে বিভিন্ন বার্তা নিয়ে সাইকেল নিয়ে গিয়েছেন অক্ষয়। এবার অক্ষয় পা বাড়িয়েছিলেন লাদাখের পথে।

সাধারণ জনগণের অনুমতি নেই এখানে যাওয়ার। এর পূর্বে কেউ সেখানে সাইকেল নিয়ে যায়ওনি। সেটাই করে দেখালেন বাঘমুন্ডির ছেলে অক্ষয়। তিনি জানিয়েছেন, “এটা আমার কাছে একটা গর্বের মুহূর্ত। আমার সঙ্গে ছিলেন আরও পাঁচজন। বিশ্বের প্রথম টিম হিসাবে আমরা উমলিঙলা জয় করলাম। আমাদের দলে ছিল পীযূষ মঙ্গা , যোগেশ রাওয়াল , সুমিত ডাঙ্গী , সঞ্জয় শ্রীকুমার। প্রথমবার সাইকেলে বিশ্বের সবথেকে উঁচু পাস উমলিঙলাতে পৌঁছল, যার উচ্চতা ১৯,৩০০ফুট। পুরো যাত্রায় সেনা এবং বিআরও আমাদের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব হতো না , আমাদের সাথে পুরো রাস্তা সেনার গাড়ি ছিল।।ওনাদের সহযোগিতা এই ছাড়া সম্ভব ছিল না। কাঞ্চনা ম্যাডাম খুব সহযোগিতা করেছেন সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”

umling la

প্রসঙ্গত, লাদাখের দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলে উম লিং লা। দুনিয়ার এখানে সম্প্রতি রাস্তা বানিয়েছে ভারত। এত উঁচুতে রাস্তা তৈরীর রেকর্ড ছিল বলিভিয়ার। সেই দেশকে টপকে কিছু বছর আগে তৈরি হয় এই রাস্তা।”

বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) তৈরি এই রাস্তার উচ্চতা এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের থেকেও বেশি বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রশাসিত লাদাখের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত উমলিংলা পাসে ৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা সড়ক বানানো হয়। ওই এলাকায় রাস্তা তৈরি করা খুবই কঠিন কাজ ছিল। শীতে ওই অঞ্চলে তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে যায়।

অক্সিজেনের পরিমানও স্বাভাবিকের থেকে ৫০ শতাংশ কম থাকে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন অসাধ্য সাধন করেছে। তাদের কর্মীদের পরিশ্রম ও দক্ষতার ফলেই এই রাস্তা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।’ এর আগে সবচেয়ে উঁচুতে সড়ক নির্মাণের রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়ার। দেশটির ওই সড়ক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮ হাজার ৯৫৩ ফুট উঁচুতে অবস্থিত ছিল। ‘Project Himank’-এর আওতায় এই কাজ সফল হয়েছিল।

ওই রাস্তা লেহ থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে হানলের কাছে ৮৬ কিমি সড়ক চিসুমলে এবং দেমচোক গ্রামকে জুড়ে দেয়৷ পূর্ব দিকে ইন্দো-চিন সীমান্ত থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে এই গ্রামগুলি৷