চিরুণিতে চুল, বালিশে চুল, গামছায় চুল, চারিদিকে চুল… এতো পরিমান চুল উঠছে যে (Hair Care Tips) আপনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন? তবে আজই ব্যবহার করুন আপনার বাড়িতে থাকা এই কয়েকটা জিনিস। আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় মেতে উঠবে সকলে। পুজোর এই কয়েকদিন নিজেকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তুলতে কে না চায়। কিন্তু রোজকার স্ট্রেস, দূষণ, অনিয়মিত লাইফস্টাইলের কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু উপায় কী? দামি শ্যাম্পুতেও কোনও কাজ হচ্ছে না? তবে বাড়িতে থাকা উপাদানগুলো দিয়েই এই সমস্যার সমাধান করুন
।
নারকেল তেল: কথাতেই আছে জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা। আর চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করতে নারকেল তেলের বিকল্প আর কিচ্ছু হয়না।
আপনার বাড়ির ছাদ থেকে অ্যালোভেরা তুলে নিয়ে এসে তার ভেতরের সাদা অংশটাকে ভালো করে মাথায় মাখুন। তারপর ৩০ মিনিট রেখে যেমন শ্যাম্পু করেন সেরকমভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন করে এই কাজটি করলে আপনার চুল যেরকম সিল্কি হবে, সেরকম চুল পড়ার পরিমাণও কমবে।
কলা: শুধু শরীরের জন্যও এই ফল খুব উপকারী। একটি পাকা কলাকে ছাড়িয়ে, সেটাকে ভালো করে ম্যাশ করে নিন। তারপর এটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন, পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। কলা চুলকে মসৃণ ও সজীব করে।
টক দই: ত্বকের ট্যান তোলা ছাড়াও দই চুলকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে। তবে ঘন ঘন দই মাখলে চুল পেকে যাবারও সম্ভাবনা আছে।
মধু: শুনে অবাক হচ্ছেন? মধু দিয়ে চুল ধুলে, চুলের রুক্ষতা দূর হয়। চুলের গোড়া শক্ত হয়।
মেথি: রান্নায় মেথি দিলে রান্নার স্বাদ বাড়ে ঠিকই, কিন্তু চুলকে ঘন ও কালো করে তুলতে মেথির জুড়ি মেলা ভার। মেথি মাখলে চুলের গোড়া শক্ত হয় ও চুল পড়ার প্রবণতা কমে।
মেহেন্দি: হাতের জন্য নয়, এবার চুলের জন্য ব্যবহার করুন মেহেন্দি। সারারাত মেহেন্দি ভিজিয়ে রেখে সেটাকে টক দই, লিকার চা-এর সঙ্গে মাথায় মাখুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন। একবার ব্যবহার করার পরেই হাতেনাতে উপকার পাবেন।
পেঁয়াজ: সবজির ঝুড়িতে থাকা পেঁয়াজ-এর রস চুল পড়াকে রোধ করে। আর এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান নতুন চুলও গজাতে সাহায্য করে।
তাহলে আর দেরি কেন? পুজোর আগেই চুলের যত্ন নিতে শুরু করে দিন।