ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী (Krishna janmashtami) প্রতি বছর একটি বড় উৎসব হিসেবে পালিত হয়। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, এই পবিত্র উৎসবে আচারানুযায়ী কৃষ্ণের পূজা করলে মানুষের সমস্ত কষ্ট চোখের পলকে দূর হয়ে যায় এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার উপর অপার আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। সনাতন ঐতিহ্যে, শ্রী কৃষ্ণের উপাসনা করার জন্য এমন অনেক ব্যবস্থার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাকে ভগবান শ্রী বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার বলে মনে করা হয়, যা করলে একজন ব্যক্তি জীবনে অলৌকিক ফল লাভ করেন। আসুন জেনে নিই জন্মাষ্টমীর রাতে কৃষ্ণ পূজার নিশ্চিত উপায়।
হলুদ রঙের পোশাক: হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ হলুদ রঙ খুব পছন্দ করেন, যা পরার কারণে তাকে পীতাম্বরধারীও বলা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীর দিন হলুদ রঙের পোশাক পরে পূজা করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শীঘ্রই প্রসন্ন হন এবং কাঙ্খিত আশীর্বাদ দেন। জন্মাষ্টমীতে হলুদ বস্ত্র, খাদ্য, ফুল, ফল ইত্যাদি দান করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।
শঙ্খের নিশ্চিত প্রতিকার: হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান শ্রী বিষ্ণু এবং তাঁর অবতার শ্রী কৃষ্ণের পূজায় শঙ্খের ব্যবহার বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, জন্মাষ্টমীর রাতে যদি কেউ দক্ষিণাবর্তি শঙ্খ জল ও দুধে ভরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অভিষেক করেন, তাহলে তিনি কানের বিশেষ আশীর্বাদ পান, যার ফলে সারা বছর তাঁর গৃহ ধন-শস্যে পরিপূর্ণ থাকে।
জাফরান প্রতিকার: আপনি যদি এই দিনগুলিতে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন এবং কঠোর পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার পরেও অর্থের অভাব কাটিয়ে উঠতে না পারেন, তাহলে জন্মাষ্টমীর রাতে আপনার ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে জাফরান মিশ্রিত দুধ দিয়ে অভিষেক করা উচিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, জাফরানের এই প্রতিকার একজন ব্যক্তির সুখ, সৌভাগ্য এবং সম্পদ বৃদ্ধি করে।
তুলসীর প্রতিকার: হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা এবং তাঁকে দেওয়া নৈবেদ্য তুলসী ছাড়া অসম্পূর্ণ। এমতাবস্থায় জন্মাষ্টমীর দিন কৃষ্ণর আশীর্বাদ পেতে বিশেষ করে তুলসীর পুজো করুন এবং তার নীচে খাঁটি দেশি ঘির প্রদীপ জ্বালিয়ে চারদিকে প্রদক্ষিণ করুন। এর সাথে কৃষ্ণর ভোগে অবশ্যই তুলসী ডাল যোগ করুন।
দুর্ভাগ্য দৃষ্টি থেকে দূরে চলে যাবে
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পেতে হলে জন্মাষ্টমীর দিন রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরে গিয়ে বিশেষ পূজা করা উচিত। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কৃষ্ণর ধামে হলুদ রঙের ফুল নিবেদন করলে ব্যক্তির দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং সবচেয়ে বড় ইচ্ছা শীঘ্রই পূরণ হয়।