Kalipuja: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি বিখ্যাত কালীপুজোর কথা জেনে নিন

হাতে মাত্র গোনা আর কটা দিন বাকি। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু পাড়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। সামনেই বাঙালির অন্যতম আলোর উৎসব, কালীপুজো(kalipuja)। চলুন জেনে…

kali puja

হাতে মাত্র গোনা আর কটা দিন বাকি। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু পাড়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। সামনেই বাঙালির অন্যতম আলোর উৎসব, কালীপুজো(kalipuja)। চলুন জেনে নেওয়া যাক, পশ্চিমবঙ্গের কিছু খ্যাতনামা কালীপূজার সম্বন্ধে।

  • দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী

মা কালীর কথা বলি প্রথমেই যে মন্দিরের কথা সাধারণ মানুষের মাথায় আসে তা হল দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর কালী মন্দির। দক্ষিণেশ্বরে মা কালীকে ভবতারিণী রূপে পূজা করা হয়। দক্ষিণেশ্বরের মা কালী এই দিন দেবী রূপে নয় বাড়ির মেয়ে রূপে পূজিতা হন। সতীর ৫১ পীঠের মধ্যে এটি না হলেও, রানী রাসমণি দেবী প্রতিষ্ঠাতা বলে এবং পরবর্তীকালে এই মন্দিরের সমস্ত ভার ছিল স্বয়ং রামকৃষ্ণের হাতে বলে এই মন্দিরের সাথে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এর পরেই সতীর ৫১পীঠের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হল কালীঘাটের মায়ের মন্দির।

   
  • দক্ষিণেশ্বরী মা

দীপাবলির অমাবস্যার রাতে কালীঘাটের কালীপুজো হয় না হয় ধনলক্ষ্মীর আরাধনা। দক্ষিণেশ্বরী এই বিশেষ দিনে পূজিত হন লক্ষ্মী রূপে। প্রাচীন শাস্ত্রীয় রীতি মেনে কালীঘাটের মন্দিরের মাকে কালী রূপে পুজো না করে ধনলক্ষ্মী রূপে পূজা করার রীতি আছে। প্রাচীন কাল থেকে যা রীতি চলে এসেছে তা আজও বিদ্যমান।

  • তারাপীঠের তারা মা

এরপরে মা কালীর স্থান স্বরূপ যে জায়গার কথা মাথায় আসে তা হল তারাপীঠ। তারাপীঠের কালীকে মা তারা রূপে পূজিতা হন। নিশি রাতে তারা অঙ্গে কালী মায়ের কাছে দেড় কেজি ওজনের শোল মাছ পোড়া দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। এই দিন ভোর চারটে নাগাদ দেবীকে স্নান করানো হয় এবং সকাল ৬ টায় শুরু হয় মঙ্গল আরতি। সন্ধ্যায় মা তারাকে কয়েক ভরি সোনার গয়না ও ডাকের সাজে সুসজ্জিত করে তোলা হয়। নিশি রাতে মা তারা শ্যামা কালী রূপে পূজিতা হন।

  • নৌহাটির বড় মা


এই সকল কালীপুজোর পর যে জাগ্রত কালী মায়ের কথা পশ্চিমবঙ্গের বুকে শুনতে পাওয়া যায় তাহল নৈহাটির বড় মা। রাজ্যের ভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা বড়মার টানে পুজোর দিনে ছুটে আসে নৈহাটিতে। ভক্তদের বিশ্বাস জাগ্রত দেবী ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ করে থাকেন। ইচ্ছে পূরণ হলে ভক্তরা দেবীকে সোনা ও রুপার অলংকার দিয়ে ভরিয়ে দেন। এই পুজোতে অন্যতম বিশেষ দিক হল এই পুজোতে কোনরকম চাঁদা নেওয়া হয় না আগে এখানে পাঠা বলি হতো কিন্তু বর্তমানকালের সময় সঙ্গে সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে পাঠা বলির প্রথা বিলুপ্তি ঘটেছে।