Sanjib Chattopadhyay: প্রথম ভোটের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে সামিল হতে চলেছে সারা দেশ। এই নিয়ে সারা ভারতে উত্তেজনা। আমাদের রাজ্যেও ভোটের রেশ সরগরম। ভোটের বাজারে চারদিকে উড়ছে…

Sanjib Chattopadhyay

লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে সামিল হতে চলেছে সারা দেশ। এই নিয়ে সারা ভারতে উত্তেজনা। আমাদের রাজ্যেও ভোটের রেশ সরগরম। ভোটের বাজারে চারদিকে উড়ছে পোস্টার ব্যানার। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত নানা দল। চারদিকে সাজো সাজো রব। কোথাও নির্বাচনী প্রচারকে ঘিরে হই হট্টগোল। ভোটের আবহে কী ভাবছেন সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় (Sanjib Chattopadhyay)?

আজকের ভোট আর তাঁদের যৌবনকালের ভোটের মধ্যে তফাৎ কোথায়? সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিকথায় উঠে এল ভারতের প্রথম ভোটের প্রসঙ্গ। সেবার নাকি বরানগরে জমজমাট লড়াই হয়েছি। আর ভোটকে কেন্দ্র করে সারা কলকাতার নজর ছিল বরাহনগরে। কংগ্রেস থেকে দাঁড়িয়েছিলেন হরেন্দ্রনাথ চৌধুরী। তিনি তখন বিধান রায়ের মন্ত্রীসভার শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর বিপরীতে ভোটের দাঁড়িয়েছেন সিপিয়াইয়ের তরুণ নেতা জ্যোতি বসু।

১৯৫২ সালে প্রথম ভোট দিয়েছিলেন সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। ভোটকেন্দ্র বরাহনগরের ভিক্টোরিয়া স্কুল। সঞ্জীব বাবুর কথায়, ‘গঙ্গার ধারে সেবার উৎসবের মেজাজ। নানা রঙের পতাকা উড়ছে। ভোট মানে ফেস্টিভ্যাল। আজকের ভোটের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। তখন স্বার্থান্বেষী লড়াই ছিল না। আর আজ ভোটকে ঘিরে জীবন-মরণের লড়াই।’

অথচ ১৯৫২ সালে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা হত, আড্ডাও হত বেশ। দেখতে দেখতে এসে পড়ত রেজাল্ট ঘোষণার দিন। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জবানিতে ‘নিজের পছন্দের প্রার্থী জয়ী হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য মনে বড় কৌতূহল থাকত। হারলে মনখারাপ হত ঠিকই তবে জিতলে বেশ আনন্দ হত। ফলাফল ঘোষণার দিন কয়েক পরেই সব যা কি তাই হয়ে যেত। জিনিসপত্রের দাম একই থাকত। তবে আজকের মতো স্বার্থকে কায়েম করার চেষ্টা ছিল না। আজকের ভোট মানেই কেবল গোলাগুলি!’